ভাইসাব রে তুই, জলে ভাসা সাবান আইনা দিলে না’


































































			
			











আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভয়৷

— ফেরোরিনাস

ভাইসাব রে তুই, জলে ভাসা সাবান আইনা দিলে না’

ভাইসাব রে তুই, জলে ভাসা
সাবান আইনা দিলে না’
সাবান আইনা দিলে না রে,
সাবান আইনা দিলে না
ভাইসাব রে তুই, জলে ভাসা
সাবান আইনা দিলে না।।

সাবান আছে ঘরেঘরে,
বিকায় সাবান বিষ্যুদবারে
কার্বলিক সাবানে ভাইরে
শইলের ময়লা উডেনা ।।

যদি কর আমার আশা
সাবান আইনা জলেভাসা
নইলে সবই ভাসাভাসা
আশা পূরণ হবেনা ।।

** সংগৃহীত ঘেটু গান **
হুমায়ুন আহমেদ এর “ঘেটুপুত্র কমলা” সিনেমায় এই গানটি প্রথম শুনেছিলাম। চমৎকার একটি সংগৃহীত ঘেটু গান। এর মাঝে কেটে গেলো বহু বছর। প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম এই গান। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় হঠাৎ একদিন বন্ধু রোদেলের কন্ঠে এই গান শুনে, আড্ডার সকলে নষ্টালজিক হয়ে পড়লো। এবং রোদেল গানটি গেয়েছিলোও চমৎকার৷ সেই সূত্রধরে আইডিয়া আসলো “গান নিয়েছে চিলে” থেকে এই প্রিয় গানটা প্রোডিউস করার। তারপর যে কথা সেই কাজ। এই গানের প্রোডাকশনে নেমে পড়লো “গান নিয়েছে চিলে”র টিম।
** জলেভাসা সাবান **

  • শিল্পী তার প্রিয়ভাজন এর কাছে একটি “জলভাসা সাবান” আনতে অনুরোধ করেছিলো। যেটা প্রতি বিশুদবারে হাটে কিনতে পাওয়া যায়। কোনকারণে সেই প্রিয় ব্যক্তি সাবানটি আনেনি, বা আনতে পারেনি। তাই শিল্পীর মনে ভীষন অভিমান! সেই সুত্রধরে এই গানের পরিবেশনা।
  • উল্লেখ্য, তৎকালীন সময়ে “জলভাসা সাবান” রমনীদের সৌন্দর্য বর্ধনের প্রিয় উপযোগ ছিলো। জলভাসা এক ধরনের সুগন্ধিময় সাবান যা পানিতে ভেসে থাকে। প্রানীজ চর্বি থেকে বানানো সাবান পানিতে ডুবে যায়, এতে উন্মুক্ত জলাধারে গোসলে ভীষন সমস্যা হয়। আর কার্বলিক সাবানে শরীর পরিষ্কার হয়না ভালোভাবে। একমাত্র, উদ্ভিজ্জ চর্বি থেকে বানানো জলভাসা সাবান তার গুণগত বৈশিষ্টের কারণে পানিতে ভেসে থাকে। তাই গোসলের সময় জলাধারে ডুবে যাওয়া সাবান খুঁজে বেড়াতে হয়না। পুকুর নদী বা হাওরে গোসলের জন্য এ সাবান একটা চমৎকার অনুষঙ্গ। তাই তৎকালীন গ্রামীণ জীবনে নারীদের মধ্যে সরল এক সৌখিনতা প্রদশর্নের অংশ হিসেবে জলভাসা সাবান বহুল আকাঙ্খার ছিলো।
    ** ঘাটু গানের ইতিহাস **
  • ঘাট শব্দটি থেকে ‘ঘাটু’ শব্দটি এসেছে বলে মনে করা হয়; কারণ গান পরিবেশন ঘাটে নৌকা ভিড়িয়ে পরিবেশন করা হতো। একে অনেকে ‘ঘাটের গান’-ও বলে। এই গানের আসর নৌকায় বসতো। এই গান বর্ষাকালে পরিবেশন করা হয়।
  • ষোড়শ শতকের শেষের দিকে ঘাটু গানের প্রচলন হয় বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ গবেষকের ধারণা, শ্রীকৃষ্ণের প্রেম-মগ্ন কোন এক ভক্ত রাধা সেজে কৃষ্ণের অপেক্ষায় ছিলো, তখন তার কিছু ভক্ত গড়ে ওঠে; তখন এই ভক্তদের মধ্য হতে রাধার সখী সাজিয়ে নেচে নেচে বিরহ সংগীত পরিবেশন করা হত এবং এভাবেই প্রচলন ঘটে ঘাটু গানের। এই গানের শিল্পীরা বংশ-পরম্পরায় ঘাটু গান গেয়ে থাকে।
  • এটি বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের গান বলে পরিচিত। এই গান বৃহত্তর ময়মনসিংহের পূর্বাঞ্চল, বৃহত্তর কুমিল্লার উত্তরাঞ্চল ও সিলেট বিভাগের হাওর এলাকায় প্রচলিত।

Shaban Aina Dile Na | সাবান আইনা দিলে না | Gaan Niyeche Chile | Ragib Hasan Rodel X Aseer Arman

Vocal – Ragib Hasan Rodel
Guitar & Ukulele – Aseer Arman
Harmoniun, Khamak & Naal – Aseer Arman
Kazoo – Argha Dev
Kartaal – Nowpel Mahamood Chowdhury
Baya & Percussion – Mostakin Hossain Chowdhury

Studio Arrengement – Aseer Arman
Project Coordination – Nowpel Mahamood Chowdhury

Logo Designer – Shubhangi Majumdar
Logo Animator – Ragib Ekhwan

© Gaan Niyeche Chile – গান নিয়েছে চিলে

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0