আত্মীয়-স্বজনকে তার প্রাপ্য দেবে৷ -17:26

— আল কোরআন

এলাচের উপকারিতা ও অপকারিতা(Advantages and disadvantages of cardamom)

এলাচ ক্ষুদ্র দেখতে একটি মশলা যার রয়েছে অনেক গুন এবং যা রান্নায় ব্যবহার করা হয় স্বাদ ও সুগন্ধের জন্য। এলাচ সবার রান্না ঘরেই পাওয়া যায়। এলাচের গুনের কারনে একে বলা হয় মশলার রানি। এলাচের ব্যবহার রান্নায় স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়িয়ে খাবারকে অসাধারণ করে তুলে। এলাচের চাষ অনেক দেশে করা হয়- নেপাল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এর মাঝে উল্লেখযোগ্য। এলাচের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিচে আলোচনা করা হলোঃ
এলাচের পুষ্টিগুণঃ
এলাচে অনেক পুষ্টিগুন রয়েছে। যা মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এলাচে রয়েছে ক্যালরি,ফাইবার, সোডিয়াম, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন-সি, ক্যালরি, প্রোটিন ইত্যাদি।


এলাচের প্রকারভেদঃ
এলাচ অনেক ক্ষুদ্র দেখতে একটি মশলা। এর গাছ দেখতে আদা গাছের মতো। এলাচ গাছের কান্ডে ধরে ও এটি সম্পূর্ণ গোল হয় না সামান্য লম্বাটে হয়ে থাকে । এলাচ প্রধানত দু’প্রকার পাওয়া যায়।

  1. সবুজ এলাচ
  2. কালো এলাচ
    এলাচের উপকারিতা(benefits of cardamom):
    এলাচ এমন একটি মশলা যার রান্নায় কোনো তুলনা হয় না। এই মশলা গরম মশলার একটি অবিচ্ছেদ্য উপকরণ। এটি যেমন রান্নায় ব্যবহার করলে রান্না হয়ে উঠে অসাধারণ তেমনি এটি খেলে শরীরের অনেক উপকারও হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে না। এর উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
    • হার্টের জন্য উপকারীঃ
    হার্টের সমস্যা হলো অনেক বড় ও ভয়ংকর একটি রোগ।এটি বর্তমানে মানুষ মারা যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হিসেবে দেখা যায়। এলাচে থাকা এ্যান্টি অক্সিডেন্ট হার্টের জন্য অনেক উপকারি। হার্টের রোগীদের প্রতিদিন একটি করে এলাচ খাওয়া উচিত।
    • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তাঃ
    উচ্চ রক্তচাপেরও মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে এলাচ। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের প্রতিদিনের খাবারে এলাচ খাওয়া উচিত। যার ফলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
    • হজম ও ক্ষিদা বৃদ্ধিঃ
    এলাচের অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। এলাচ মানুষের হজমে সহায়তা করে ও বিভিন্ন পেটের সমস্যা থেকে নিস্তার দেয়। হজম শক্তি বাড়ায় ফলে পেট খারাপ ও বুকে জ্বালা করে না। হজম শক্তি বাড়ায় ফলে মানুষের খওয়ার ইচ্ছেও বৃদ্ধি পায় ও মানুষের খাওয়ার অনিহা দূর করে।
    • শ্বাস কষ্ট দূরঃ
    অনেক কারনেই অনেক মানুষের শ্বাস কষ্টের সমস্যা হয়। এই সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে এলাচ। এলাচ প্রতিদিন খেলে শ্বাস কষ্ট থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ এছাড়াও এটি সর্দি ও কাশি নিরাময়েও সাহায্য করে।
    • ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
    ক্যান্সার অনেক কারনেই হতে পারে । কিন্তু প্রতিদিন এলাচ খেলে তা ক্যান্সার রোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এলাচ শরীরে ক্যান্সারের টিউমার ও কোষ গুলো বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। এটি শরীরে কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
    • স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিঃ
    সাধারনত মানুষ স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির জন্য বাদাম খেয়ে থাকে। কিন্তু এলাচও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এলাচের সুগন্ধ মস্তিষ্ককে সতেজ করে তুলে ও শান্ত রাখতে সহায়তা করে। এটি প্রতিদিন পানীয়ের সাথে মিশিয়ে পান করলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া ডিপ্রেশনেও এলাচ অনেক উপকার করে।
    • ত্বকের উকারিতাঃ
    এলাচ ত্বকের জন্যও অনেক উপকারি। এলাচে এ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যার ফলে এটি এ্যার্লাজির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে ও ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এলাচে ভিটামিন -সি রয়েছে যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এলাচ ত্বক মোলায়েম করে থাকে। এলাচ অনেক বিউটি প্রোডাক্ট বানানোর সময় ব্যবহার করা হয়। এলাচ ত্বক পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে এবং ঠোঁটের গোলাপি ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন এলাচ গুঁড়ো, অলিভ অয়েল ও এ্যালোভেরা জেল বা মধু মাখিয়ে মুখে ও ঠোঁটে ১৫/২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে নিলে ফলাফল পাবওয়া যায়।
    • চুলের উপকারিতাঃ
    এলাচ স্বাস্থ্যের ও ত্বকের জন্য যেমন উপকারি তেমনি চুলের জন্য ও অনেক উপকারি। এলাচ চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য উপকারী। এলাচের গুঁড়ো, নারকেল তেল ও ডিম দিয়ে মেখে চুলে লাগালে এটি চুল পরিষ্কার ও মজবুত করে থাকে।

মারজান আক্তার

What’s your Reaction?
+1
3
+1
1
+1
0
+1
1
+1
0
+1
1
+1
0

Leave a Reply