—আজ আবার আমার কাছে কেন এলে?
—একটি ভিক্ষা চাইতে!
—আমি তো হতভাগ্য। পরিত্যক্ত। আজ সর্বহারা। আমার কাছে তো কিছুই নেই! কী ভিক্ষা দেবো আমি?
—আছে। তোমার কাছে যা আছে তা অন্যকারও কাছে নেই। পৃথিবীতে তা কেবল তুমিই দিতে পারো।
—শুনেছি। খুব ধনী পরিবারে তোমার বিয়ে। বরও ডাক্তার। কোনো কিছুর অভাব নেই। আমি সামান্য মানুষ।
—থামো,আর কিছু বলবে না! আমার কষ্ট হচ্ছে। পূজা আমি একজনকেই করি। আর যাকে করি তা তুমিও জানো!
—কিন্তু!….
—না, কোনো কিন্তু নয়। যদি আজ ভিক্ষা না পাই তবে পৃথিবীতে আমার থাকার দিন আজই শেষ!
—কী ভিক্ষা দিতে পারি আমি?
—আমার বিয়ের দিন মণ্ডপে উপস্থিত থেকে আমাদের আশীর্বাদ করতে হবে। জানি, তোমার কষ্ট হবে; তবু তো তোমার একটা বড় মন আছে! যে মন ক্ষমা করতেও জানে!
একটা কথাও বলতে পারল না সুচরিত। তার বুক ফেটে কান্না এল। স্নিগ্ধা স্ট্যাচুর মতো দাঁড়িয়ে এই প্রথম উপলব্ধি করল তার প্রিয় পুরুষের কী গভীর কান্না!