Be patient, even if every possibility seems closed.

পুরনো সেই কবি

সৈয়দ মোঃ সাকিব আহমদ 

নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রেরা
দূরে সরে যায় আরো,
তারার রাত ঝরে পড়ে সমানে,
এখানে এসে জমা হয়
যত অশুভ আত্মা;
আরো কত অশুভ অস্তিত্ব।
বিস্তীর্ণ বীভৎস কালো হাত,
দুটো চোখ,
ঠোটের কোণে রক্ত আকা তার ;
কোনোএক অশরীরী।
গোলকধাঁধায় জমাট বাধে হিম
কত আলোকবর্ষ দূর থেকে
আসে মৃদুমন্দ বাতাস,
বাতাসে তার গন্ধ,
গন্ধে ভরে ওঠে সব গ্রহাণুপুঞ্জ।
কোনো কালপুরুষে,
পৌষ কিংবা মাঘের
কত সন্ধ্যা ক্ষয়ে আসে,
আবার নামে অন্ধকার।
সেই অশরীরীর আত্মচিৎকার!
সব স্তব্ধ!
কি ভয়ংকর!
হঠাৎ সব ধেয়ে আসে,
চূর্ণবিচূর্ণ হয় পৃথিবী,
যেনো নতুন কোনো শুরু,
শুরু তার কাল,
এখনই শুরু জিরো আওয়ার।
আবার নতুন বিশ্ব,স্বাদে,বিষাদে!
পুরনো সেই কবি অস্তিত্বহীন,
হারিয়ে গেছে কালের গহ্বরে,
যে কি না কবিতা লিখতো,
আনমনে,সন্ধ্যায়,
কখনোবা মাঝরাতে,ফাকারাস্তায়।
সেই অশরীরীর মায়া
তাকে ঘিরে রাখে।
অশরীরী হারায় না,
মিলিয়ে যায়না।
আবার সেই ভয়!
আবার যদি চূর্ণবিচূর্ণ হয়?
কিন্তু সেই কবিতো নেই,
নেই তার কোনো অস্তিত্ব মায়ার
; কবিতার।
অশরীরী হাসে,
কি বিকট সেই শব্দ!
কি ভয়ংকর!
কি বীভৎস!

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply