ফাগুনের রঙে রেঙেছো তুমি, না বলা কথা আজ বলবো আমিঃ হৃদয়ের ডাক শুনবে কি তুমি?

— – সংগৃহীত

নির্ভানা

নির্ভানা আর নাদির সমুদ্রসৈকতে পাশাপাশি হেঁটে বেড়াচ্ছে। কিছুক্ষণ পরপর সমুদ্রের পানি এসে তাদের পা ভিজিয়ে দিচ্ছে ।খুব বাতাস হচ্ছে। নাদির নেমে পড়ল সমুদ্রের জলে ।নির্ভানা তীরের কাছাকাছি দাঁড়ানো ।হঠাৎ খুব বড় একটা ঢেউ উঠে এলো ।নাদির ডুব দিল ঢেউ থেকে নিজেকে বাঁচাতে। যখন ঢেউ থেকে উঠলো তখন সে তাকিয়ে দেখল নির্ভানার ভেসে যাওয়া। আর ঠিক এই সময়ে নাদির এর ঘুম ভেঙে গেল ।তার মনে পড়ল সে হাসপাতালে বিছানায় শুয়ে কোলন ক্যান্সারের সাথে লড়ছে ।লড়তে লড়তে ক্লান্ত হয়ে মাঝে মাঝে মৃত্যুর জন্য প্রতীক্ষা করে সে । নির্ভানার মৃত্যুর 19টি বছর পেরিয়ে গেছে ।কিন্তু আজ ও নাদিরের মনে হয় এই সেদিন বাসে আগুন লেগে নির্ভানা মারা গেল। নির্ভানার বড় সাধ ছিল সমুদ্র দেখার ।অর্থনৈতিক কারণে নির্ভানা কে নিয়ে নাদিরের তখন সমুদ্র দেখা হয়ে ওঠেনি ।কিন্তু তারপর অর্থনৈতিক অসঙ্গতি কাটিয়ে উঠলেও নির্ভানা কে ভালবেসে নাদির আর সমুদ্র দেখেনি। কিন্তু কল্পনায় নাদির নির্ভানা কে নিয়ে সমুদ্রের জলে ভেসে বেরিয়েছে বহুবার ।নাদিয়ার চোখ পানিতে বুজে এল ।এখন তাঁর শুধু প্রতীক্ষা নির্ভানার কাছে যাওয়ার।

Writer:  Nusart Tasnim

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply