নিশ্চয়ই যারা পিতৃহীনদের সম্পদ গ্রাস করে তারা তাদের উদরে অগ্নি ভক্ষণ করে, তারা জ্বলন্ত আগুনে জ্বলবে ৷ –4:10

— পবিত্র কোরআন

কোজাগরি -সব্যসাচী দেব

শহরতলির গলি, ছোটো আকাশেও ওঠে কোজাগরি পূর্ণিমার চাঁদ।
একটু আগে বৃষ্টি হলো, এ-রাস্তায় লোকজন কম;
পাশের ফ্ল্যাটের ছেলে লেন্সে ধরে জ্যোৎস্নাকে, মেঘের চূড়ার নীচে খাদ।
গর্তে জল, চাঁদ ডোবে, অথবা সে অযথা বিভ্রম।
লোকশ্রুতি, আজ রাতে লক্ষ্মী নাকি ঘুরে ঘুরে দেখে যান কে কে জেগে আছে!
গৃহস্থের চোখে তবু ঘুম নামে; ভারি ঘুম ক্লান্তি বা উল্লাসে।
ফাটকা বাজারে স্বস্তি। লক্ষ্মী তো ঘরেই বাঁধা। কাঁঠাল ঝুলুক গাছে গাছে–
গোঁফে তবু তেল মাখা, আরো ঘুম, অচ্ছে দিন আসে।
শহর সুন্দর সাজবে, তার জন্য ঘর বাড়ি যার গেল উচ্ছেদের কোপে,
তার কোনো লক্ষ্মী নেই। কোনোদিন ছিল না তা। তাও
সামান্য সম্বল ছিল, আর কিছু স্বপ্ন ছিল আগলে রাখা, অন্ধকার খোপে।
শহরে আলোর মালা। সেও যাবে হারিয়ে কোথাও–
পূর্ণিমার চাঁদে ছায়া, কবিতায় লেপ্টে যায় কিছু ক্রোধ কিছু দীর্ঘশ্বাস;
লক্ষ্মী নয়, অলক্ষ্মীকে ডেকে নিক কুলোর বাতাস।

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0