১. দ্বীপে সিজনের শুরুতে যখন যাই, তখন পুরো দ্বীপ ছিলো সতেজ ও পরিচ্ছন্ন। কিন্তু ৩ মাস পর আবার গিয়ে দেখি চারদিকে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়! অনেকে দ্বীপে পর্যটন বন্ধ করে দেওয়া, সহ নানান সমাধানের কথা বলতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে এটা কোনো সমাধান না। এদেশে এমনিতেই পরিবার নিয়ে ঘোরার জায়গা কম। কোনো পরিবার চাইলেই নাফাখুম ভ্রমণে চলে যেতে পারবেনা।
এত মানুষ দ্বীপে যাচ্ছে, কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে ময়লা পরিষ্কারের কোনো ভালো কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। দ্বীপে প্রতিদিন গড়ে ৪/৫ হাজার মানুষ যায়। সবার কাছ থেকে যদি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ গড়ে ১০০শ টাকা করেও নেওয়া হয়, তাহলেও মাসে ১২/১৫ লাখ টাকার ফান্ড হয়। ২০০ মানুষকে বেতন দিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রাখা যাবে। এটা চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলও করতে পারে। মানুষ থাকলে ময়লা হবেই। সবাই নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেললেই শুধু এটা পরিষ্কার থাকবে না।
২. দ্বীপের লোকজন মনে করে টুরিস্ট মানেই টাকা কামানোর মেশিন। অফসিজনে জেটি ঘাট থেকে পশ্চিম বিচ এর গলাচিপার ভাড়া থাকে ২০-৩০ টাকা। সেটা সিজনে হয়ে যায় ৩০০-৩৫০ টাকা। টাকা বাড়ে দশগুন! সবকিছুই এভাবে চলতেছে।
৩. সেন্টমার্টিন বাজারে একাধিক মিনারেল ওয়াটার কোম্পানির এজেন্ট আছে। সুতরাং ঢাকার দামেই ১/২ লিটার পানি বিক্রি করা উচিত। কিন্তু লিটার প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি নিচ্ছে। অন্যান্য জিনিসপত্রের অবস্থাও একই।
৪. বাজারের দিকে হোটেলের দাম কম। আর পশ্চিম বিচের দিকে রিসোর্টের খরচ তুলনামূলক বেশি। কিন্তু পরিবার নিয়ে থাকতে চাইলে পশ্চিম বিচই ভালো।
৪. ডাবের দাম ঢাকার চেয়েও বেশি।
৫. সেন্টমার্টিনে খাবারের ভালো স্বাদ পাওয়া মুশকিল। স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলো দামের প্রতিযোগিতায় নামে! মান দিতে তারা বাধ্য না।
এত নেগেটিভিটির মধ্যেও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ আপনার ভালো লাগবে। এটা কক্সবাজারের চেয়ে বহুগুণ উত্তম। যারা অনেকবার কক্সবাজার গিয়েও সেন্টমার্টিন যান নি, তারা অন্তত একবার সেন্টমার্টিন যাবেন। এরপর দেখবেন আপনি আর কোনোদিন কক্সবাজার না গিয়ে গিয়ে শুধু সেন্টমার্টিনই যাচ্ছেন!
দিগন্ত বণিক(Travelers of Bangladesh (ToB))
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.