খাল কাটিয়া কুমির আনিয়াছি
কুমির এখন ধীরে ধীরে বাড়িতেছে
প্রথম প্রথম কুমির হাঁস-মুরগি খাইত
তারপর গরু-ছাগল খাইতে লাগিল
এখন মানুষও খাইতে শুরু করিয়াছে
নিজেরই পোষা কুমিরকে নিজেই ভয় পাইতেছি
আমাকে খাইবে, আমার সংসারও খাইবে
গিন্নিকে বারণ করি: অমন আলতা পরা পা দেখাইয়া
নূপুরের ধ্বনি তুলিয়া সূর্যাস্তকালে তুমি জল তুলিও না!
অমন নিশি রাতে তুমি কদম্ব তলায় যাইও না!
সাঁতার দিতে দিতে এপার হইতে ওপার হইও না!
কুমির কৃষ্ণ সাজিয়া কদম্বের ডালে বসিয়া থাকিবে।
কুমির মাঝি হইয়া নৌকা পারাপার করিবে।
কুমির কখনও কখনও নৌকা হইয়া জলেও ভাসিবে।
কুমির বড় হইতেছে
কুমির রহস্যময় হইতেছে
কুমির জলে ও ডাঙায় কত লীলা করিতেছে
কখনও লেজ তুলিয়া হা করিয়া ছুটিতেছে
কখনও মরার মতো ঘুমের ভান করিতেছে
সব আবেগই এখন কুমিরে আকৃষ্ট হইয়াছে
কুমির যে এযুগেরই রাজপুত্র নির্বাচনে জিতিয়া
তাহার প্রমাণও করিয়াছে…..
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.