সুদীপ্ত কুমার রায়
গাঁয়ের নামটি ছিল সোনাইমুড়ী। সেখানে কিশোর জাল্লাল উদ্দীনের বেড়ে উঠা। মা সারা দিন অন্যের বাড়িতে কাজ করত, রাতে তাদের সাথে থাকত। জাল্লাল উদ্দীনকে তার মা অনেক গল্প শোনাতো। একদিন তার মা গল্পের ছলে জাল্লাল উদ্দীনকে এদেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে লাগল। দেশের মানুষকে কীভাবে প্রতি নিয়ত মার খেতে হয় তার কথা গল্পের পরিভাষায় তুলে ধরলেন।
এই করেই ছোট জাল্লাল বড় হতে লাগল। এর কিছু কাল পার হওয়ার পর – হঠাৎ একদিন জোড়ে জোড়ে তিনটি শব্দ শুনতে পেল কিশোর জাল্লাল উদ্দীন। তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। ছোটে চলে গেল, কি হচ্ছে তা নিরীক্ষণ করার জন্য। তখন সে জানত না, বন্দুক কেমন দেখতে? বা তার আওয়াজের শব্দটাই বা কেমন? পাশের তিন গায়ের মানুষ চমকে উঠল গুলীর আওয়াজ শুনে। সকলে ছোটা ছোটি করতে লাগল। হঠাৎ সে শুনতে পেল কারা যেন মোটা গলায় জোড়ে জোড়ে বলছে ‘কাহা গেয়া, মূর্খ সিপাহির দল ‘? সাহস থাকেতো বাহিরে আসো; “face to face ” লড়াই করিয়া যাও।
গলার আওয়াজ শুনে ভীত চোক্ষু প্রানে তাকিয়ে গায়ের মানুষ চমকে উঠল গুলীর আওয়াজ শুনে। সকলে ছোটা ছোটি করতে লাগল। হঠাৎ সে শুনতে পেল কারা যেন মোটা গলায় জোড়ে জোড়ে বলছে ‘কাহা গেয়া, মূর্খ সিপাহির দল ‘? সাহস থাকেতো বাহিরে আসো; “face to face ” লড়াই করিয়া যাও।
গলার আওয়াজ শুনে ভীত চোক্ষু প্রানে তাকিয়ে জাল্লাল ভাবতে লাগল এ লোকগুলো কারা? কাদের কেই বা এ ভাবে খুজছে? তখন সে এসব কথা ভাবতে ভাবতে পিছন দিকে দৌড়াতে লাগল। সকলের মতো সেও ভয়ে একটি বদ্ধ কুটিরে আশ্রয় নিল। কুটির বন্ধ করে ঘরে ঢুকতেই দেখতে পেল, এই বদ্ধ কুটিরে কয়েকজন মানুষ বন্দুক হাতে বসে আছে। তাদের দেখে জাল্লাল ভয় পেয়ে গেল। ” কিন্তু তারা স্বদেশী সৈনিক ছিল”। তারা জাল্লালকে কাছে ডাকলো। তাদের মাঝে একজন জাল্লালের ভয় দূর করলেন, বললেন তারা স্বদেশী যোদ্ধা। তাদের দেখে ভয়ের কিছু নেই।
ইংরেজ সৈন্যদের অতর্কিত হামলার কারনে তারা এ বদ্ধ কুটিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এরপর থেকে জাল্লাল সব সময় যোদ্ধাদের সাহায্য করতে লাগল।