কেউ গোপনে ব্রোথেলে যাচ্ছে
আত্মতৃপ্তি শেষে এসে মুখে বিদ্রোহের ফুলঝুরি,
কেউ খাবার জোটাতে জোটাতেই ব্যস্ত
বিদ্রোহের সময় কই?
যাদের থাকার জায়গা নেই
তারা বোঝে না বিদ্রোহের মানে,
আর কেউ চুপিচুপি থাকে
রাষ্ট্রের কী হয়ে গেল তাতে কী যায় আসে!
আর যারা রাজপথে
তাদের লাশও পাওয়া যায় না সময় সময়!
এভাবেই চলে-
চায়ের কাপে ঝড় ওঠে,
সিগারেট হাতে নিয়ে রাষ্ট্র বদলে দেবার বক্তৃতা হয়,
রেললাইনের ধারে গাঁজায় টান দিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ছেলেটাও-
রাষ্ট্রকে গালি দেয়।
যেন কিছুই করার নেই,
খাও, দাও, ফূর্তি করো আর গালি দাও।
আসলে কিছু করার থাকে না,
এতসব করা হয় না হওয়ার নিমিত্তেই,
এভাবেই চলবে-
হয়ত স্লাট বলে গালি দেওয়া মেয়েটাও মিছিলে যোগ দিবে,
প্রেম করে বেড়ানো প্রেমিক ছেলেটাও ব্যারিকেড ভাঙবে,
কবিরা কবিতা না লিখে বন্দুক ধরবে,
ইমাম, রাব্বি, পুরোহিত কিংবা বৌদ্ধ সন্যাসীরা-
তুলে নিবে হয়ত বিভেদ বাণী,
রাষ্ট্রের চাকায় বোমা বেঁধে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি,
রাষ্ট্রীয় মনুমেন্ট ভেঙে ফেলা হবে রাষ্ট্র বাঁচানোর তাগিদেই!
তবুও এভাবেই চলবে-
রাস্তার ধারে পড়ে থাকবে কিশোরীর খুবলে খাওয়া দেহ,
ধর্মের দোহাই দিয়ে আগুনে পোড়ানো হবে মানুষ,
তোমাকে ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারব না আমি,
স্বাধীনতা বলে আসলে কিছুই ছিল না কখনও!
এভাবেই চলবে বলে থেমে থাকবে না কিছু
আমরা যা করতে পারি শুধু তা হচ্ছে বিদ্রোহ!
Writer: Raihan Forlan