অপরকে ঘৃণার চোখে উপহাস করিও না, যেহেতু তাহারা তোমাদের অপেক্ষা ভাল হইতে পারে৷ অপরের ত্রুটি অনুসন্ধান করিও না, এবং একজনের অসাক্ষাতে নিন্দা করিও না৷ আল্লাহকে ভয় কর, যেহেতু আল্লাহ দয়ালু ও ক্ষমাকারী ৷ – 49/11/12

— আল কোরআন

সহবাসের কতদিন পর গর্ভবতী হয়?

সহবাসের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে ডিম্বস্ফোটনের সময়। ডিম্বস্ফোটন সাধারণত মাসিক চক্রের ১৪তম দিনের কাছাকাছি হয়। তাই, যদি আপনার মাসিক চক্র ২৮ দিনের হয়, তাহলে ডিম্বস্ফোটন সাধারণত চক্রের ১৪তম দিনের কাছাকাছি হয়। এই সময়ে যদি সহবাস হয়, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিম্বস্ফোটনের আগে এবং পরেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে, তবে তা ডিম্বস্ফোটনের সময়ের তুলনায় কম থাকে। ডিম্বস্ফোটনের আগে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে যদি ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে বেরিয়ে আসার আগেই শুক্রাণু ডিম্ববাহী নালীতে পৌঁছে যায়। ডিম্বস্ফোটনের পরে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে যদি শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে।

সুতরাং, সহবাসের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা নির্ভর করে ডিম্বস্ফোটনের সময়ের উপর। যদি আপনি গর্ভধারণের চেষ্টা করছেন, তাহলে আপনার মাসিক চক্রের হিসাব রাখা এবং ডিম্বস্ফোটনের সময় সহবাস করা উচিত।

এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে সহবাসের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য সাহায্য করতে পারে:

আপনার মাসিক চক্রের হিসাব রাখুন এবং ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করুন।
এই সময়ে নিয়মিত সহবাস করুন।
আপনার সঙ্গীর সাথে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।
যৌন সংক্রমণ এড়াতে কনডম ব্যবহার করুন।
আপনি যদি গর্ভধারণের চেষ্টা না করে থাকেন এবং গর্ভধারণ এড়াতে চান, তাহলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করুন।

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0