Spread love everywhere you go. Let no one ever come to you without leaving happier

— Mother Teresa

সংবাদপত্র

সংবাদপত্র আজ পুরো পৃথিবী কে নিয়ন্ত্রণ করছে। সংবাদপত্রের শক্তিকে আজ পৃথিবীর সকল দেশ নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ।আজকের দিনে আমরা যে সংবাদপত্র দেখি যুগের পথ পাড়ি দিয়ে এই অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে ।পৃথিবীর নানা ঘটনা প্রবাহে সংবাদপত্র তার অবস্থানকে আরও বেশি শক্ত করেছে। আর সেই প্রবাহে বিজ্ঞান দান করেছে গতি।
গুটেনবার্গ এর ছাপাখানা আবিষ্কারের পর জার্মানিতে প্রথমে তাদের ধর্মগ্রন্থ ছাপা হতো ।1610 সালে সুইজারল্যান্ডে প্রথম সংবাদপত্র ছাপা হয়। তারপর জার্মানিতে এবং ধীরে ধীরে তার পুরো ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। 1680 সালের পরে আমেরিকাতে প্রথম সংবাদপত্র ছাপা হয়। ভারতবর্ষে উইলিয়াম বল্ট প্রথম সংবাদপত্র ছাপানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তা সফল হয়নি। পরবর্তীতে জেমস অগাস্টাস হিকি 1780 সালে “হিকির গেজেট “নামে সংবাদপত্র প্রকাশ করে। 1818 সালে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন এর উদ্যোগে প্রথম বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় “সমাচার দর্পণ”।বাঙ্গালীদের উদ্যোগে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র “বেঙ্গল গেজেট “।এরপর সংবাদপত্র প্রকাশ এগিয়ে আসেন রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ,দ্বারকানাথ ঠাকুর, ভবানীচরণ ,ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সহ প্রমুখ ব্যক্তিত্ব। সংবাদপত্র জগতে তাদের এই পদচারণা বাংলা সংবাদপত্রকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছে। সেই সময়ে সংবাদপত্রকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে এবং সংবাদপত্রের একটি আদর্শ তৈরি করেছিল। সে আদর্শ তারা বরাবর অনুসরণ করেছিল বলেই তাদের সংবাদপত্রের লেখা এত শক্তিশালী ছিল ও এত প্রভাব বিস্তার করেছিল পুরো উপমহাদেশে ।যদিও শুরু থেকেই ছিল সংবাদপত্রকে শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র ছিল মোহাম্মদ আকরাম খানের আজাদ পত্রিকা। সংবাদপত্র একদিকে যেমন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হতে উপমহাদেশ কে অনুপ্রাণিত করেছে, তেমনি নিজেদের জাতীয়তার ভিত্তিকে মজবুত করেছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হতে বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছে ।বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। একই সাথে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া ও থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে প্রচুর সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রচুর সংবাদপত্র হারিয়ে গেছে ।তারপরও সংবাদপত্র জনগণের পাশে আছে ।বাংলাদেশের সংবাদপত্রের পথচলা অবাধ হোক ,মসৃণ হোক এই প্রত্যাশা।

Writer: নুসরাত 

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply