রসদ ফুরিয়ে গেছে
আঁধারের খড়্গ ধরে চেয়ে আছি
দূর নিক্ষেপের ভেতর পতন সামাল দিয়ে
ধরতে চাই আকাশ
এখন শুধু গর্জন
আর বাতাসের হল্লা
হে চাঁদের দোকান, দু’পেয়ালা বিষাদ দাও
রক্তমাখা দাও
আজকের আহার সবিনয়
রাস্তা কোথাও নেই
পথ জুড়ে পাহাড়ি বাজ
আলো-পুষ্প সাময়িক
রাত্রিও তৎসম—
ভোর ভোর দেশি মাদলের শব্দ
যদিও জাগাবে বলেছিল
যদিও উঠে আসবে সাঁওতাল বিদ্রোহ
সেসব কথাকে আর অপেক্ষার গাছে
জায়গা দিইনি
নিরন্তর বাহন এসে নিয়ে গেছে
শূন্যে কোথাও
আজ ঝুলে ঝুলে নামছি
দোদুল কোনো বিস্মরণী তীরে
স্রোতের ডিঙিও নেই
আলগোছে কে নিয়েছে তুলে!
বুকে বাজছে মাভৈ গান
ভাঙা ভাঙা স্বরলিপি
আর হৃৎপিণ্ড হারমোনিয়াম
এক একটি কৈশোরবেলা
দাঁতে দাঁত বিকিরণ খেলা
যৌবনের অভিষেক থেকে
দু-একটি মেধাবী কালো ঘোড়া
ছেড়ে দিই— বাধ্যত ব্যাকরণহীন
অসংলগ্ন দুলকি চাল্
পাহাড়ি গহনে আজ এই ধ্বস্ত কাল
রসদ বিহীন জীবিকায়
নামিয়ে দেয়—
ওপারে আগুন জ্বেলে
পতঙ্গদের ছবি তোলে মায়া
আজ শুধু সেঁক চেয়ে ঊর্ধ্বে চায়
কেশরে আগুনলাগা ঘোড়া
দুর্বিষহ শীতের প্রহর গুনে গুনে
নিয়ত বন্দনা ছুটে যায়
বন্দুকের নলে জমে জীবন
জীবনকে সীমানা পার করে দিই
পরপর লিখে রাখো ইতিহাস
পরপর লিখে রাখো দেশভাগ—
বুকের পাথর সরছে, পাথরে ঘষছে ইস্পাত!
রক্তের প্রবল ঢেউ এসে
ভাসিয়ে দেবে বেড়া—
কাঁটাতারে বিঁধে তবে আমারই পতাকা!
ছেড়ে যাচ্ছে সমঝোতা
সমঝোতায় বিকেল যাচ্ছে
চাদরমুড়ি মুখ
সমঝোতায় পিষ্ট হচ্ছে মরণ চাবুক
হে শতক বিলাসী রাস্তা আমাকে জাগাও
রসদবিহীন একা নামছি—
নামতে নামতে অথই ধোঁয়া
ধোঁয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে কার মুখের অবয়ব?
Writer: তৈমুর খান
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.