- স্পয়লার ফ্রি *
খোকন (মাস্টার সুমন) বাথরুমে আটকা পড়ে ট্যাবের পানি খেয়ে কিছুদিন কাটালো। তারপর ক্ষুধা বাড়তে থাকে। শরীর নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে, পানি খেয়ে আর কতদিন! বন্দি জীবনে নিজে নিজেই আনন্দ খোঁজে। মনে করছে মাস্টারমশাই নামতা পড়াচ্ছেন ক্লাসে। বন্ধুরা দুএকজন ক্লাসে দুষ্টুমিও করছে। মনে পড়ছে মায়ের(সুজাতা) কথাও। সেসব স্মৃতি স্মরণ করে একটু করে হাসার চেষ্টা করছে খোকন। আস্তে আস্তে গাইছে
‘একদিন ছুটি হবে অনেক দূরে যাব
নীল আকাশের সবুজ ঘাসে খুশিতে হারাবো’
স্বপ্নে জুয়েল আইচ এসে জাদু দেখিয়ে যান যেখানে খোকন রঙিন দুনিয়ায় বিভোর হয়ে গাইছে-
‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী
সাথী মোদের ফুলপরী,
লালপরী নীলপরী নীলপরী লালপরী
সবার সাথে ভাব করি’
স্বপ্ন কেটে গেলে সামনে আসে ক্ষুধা কলের পানিও শেষ হয়ে গেছে এবং দেয়ালে সেটা লিখেও রেখেছে। কি খাবে তাহলে সে! দর্শক যা চিন্তাও করে না তাই ঘটে দেয়ালে চলতে থাকা তেলাপোকাটা খপ করে ধরে ফেলে খোকন! ক্ষুধা কি জিনিস! দেয়াল লিখন শেষ হয় না-‘মা কাঁদছে দরজাটা খুলে দাও না দপ্তরি চাচা!’ স্কুল ছুটি শেষ হয়। মেথরানী শাবানা আসে বাথরুম পরিষ্কার করতে। তারপর দেখে খোকনের নিথর দেহ পড়ে আছে এবং শাবানা চিৎকার দেয়। তারপর দপ্তরি রাজ্জাক এসে নিজের ভুল বুঝতে পেরে হাহাকার করতে থাকে। মা কাঁদে।
আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘ছুটির ঘণ্টা’ ছবির হার্ট টাচিং পার্ট ছিল এটা। শিশুশিল্পী মাস্টার সুমনের অভিনয় বিখ্যাত হয়ে আছে। নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হয়েছিল। ছবির বক্তব্য ছিল স্কুল ছুটির আগে ভালোভাবে তদারকি করা কোনো শিক্ষার্থী আটকে পড়েছে কিনা।
What’s your Reaction?
+1
+1
+1
+1
+1
+1
+1