মানুষ যখন পথ চিনিবার জন্য চেষ্টা ও পরিশ্রম করে তখন আমি তাহাদিগকে আমার পথ চিনাইয়া থাকি৷ – পারা 21, সুরা আনকাবুত-7

— আল কোরআন

আমায় ভাসাইলি রে…উত্তম দত্ত

আমার প্রথম সর্বনাশটা আপনিই করেছিলেন স্যার। একটা মলাট-ছেঁড়া গীতবিতান
আমার সর্বনাশ করে দিয়েছিল
পথে বসিয়েছিল আমাকে।
তখন কি জানতাম
হিসেব নিকেশ না করে
আপনাকে উন্মাদের মতো ভালোবাসলে
মফসসলে সাড়ে তিনশ টাকার
স্কুল-মাস্টারি ছাড়া পৃথিবীর সমস্ত চাকরির দরজা
আমার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে?
তখন কি ভেবেছিলাম
সারাদিন আপনার সজল দিঘিতে
উদভ্রান্ত ডাহুকের মতো স্নান করলে
বুদ্ধিমতী প্রেমিকাও একদিন
অনিশ্চিত অর্থনীতি দুপায়ে মাড়িয়ে
ভুল মানুষের হাত ধরে প্রবালদ্বীপে চলে যাবে?
এক ফোঁটা জলের জন্য
সারা গায়ে বীভৎস আগুন নিয়ে
আমি ছুটে গিয়েছিলাম বৈশাখের শান্তিনিকেতনে।
নিষ্ঠুর আপনি, আমাকে দুহাতে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন
আরো বড় একটা অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে।
সুপ্রাচীন জাদুকরের মতো বদলে দিয়েছিলেন
সুখ আর অসুখের পরিযায়ী পাখিদের জন্ম-পরিচয়।
ক্রমে দিন যায়
অলৌকিক ডানা মেলে অগণন নক্ষত্রের আলো
নেমে আসে রাতের বাসায়…
‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়’।
২৫ বৈশাখ

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0