To live is the rarest thing in the world. Most people exist, that is all.

— Oscar Wilde

ভূতুড়ে বাড়ির টিউশনি

জীবনের প্রথম টিউশনি পড়াতে যাচ্ছি।
নতুন এলাকায় এসে যে টিউশনি পেলাম এটাই ভাগ্যের বিষয়।
কোন মহান ব্যক্তি যে আমার নাম্বার দিয়েছেন তাও জানা নেই। তবে মোটা অংকের টাকা বেতন হিসেবে পাবো আর তাদের বাড়িটাও পাশে, এই সুযোগ তো আর ছেড়ে দেওয়া যায় না।
কিন্তু হতভাগী এই আমার মনেই ছিলো না এমন একটি নতুন এলাকায়, আমি যে একজন ভার্সিটির ছাত্রী তা কেউ কি করেই বা জানলো।
যাক ব্যাচেলর হিসেবে আর সাত পাঁচ না ভেবেই ঠিকানা লিখে নিয়েছিলাম।
যথারীতি ছাত্র-ছাত্রীর বাড়ির সামনে এসে দরজায় টোকা দিতেই দরজাটি খুলে যায়।
ভেতরে দুইটি ফুটফুটে বাচ্চা কি সুন্দর করে পড়ছে,
আর পড়াচ্ছিলাম আমি।
এই প্রথম আয়না ছাড়া নিজেকে নিজে সামনা সামনি দেখছি।
শুধু মাত্র আমি হতবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম, আর তারা মুচকি মুচকি হাসছিল।
যেন আমারই অপেক্ষায় ওরা।
এরপর কি হয়েছিল আমার মনে নেই।
জ্ঞান ফিরতেই দেখি আমি নার্সিং হোমে শুয়ে আছি আর লোকজন বলাবলি করছে,
“””মেয়েটি ঐ পোড়া বাড়ি থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরল মাবুদ জানেন”””

                         সমাপ্ত

লেখায় :: শারিয়া জান্নাত সুমি

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply