Tag: article

  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ

    প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া সব বস্তুই প্রাকৃতিক সম্পদ। মানুষ প্রকৃতি থেকেই এসব সম্পদ আহরণ করে। এর ফলে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের অগ্রগতি ঘটে। প্রাকৃতিক সম্পদ পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। প্রকৃতির মধ্যে নানা মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। যেমন:- পানি, বায়ু, মাটি, গাছপালা, জীবজন্তু, ফসল, খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি। এসব প্রাকৃতিক বস্তুকে মানুষ নিজেদের চাহিদা মতো রুপান্তরিত করে ও কাজে লাগায়। মাটি বাংলাদেশের মুল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। এদেশে সমতল ভূমি খুবই উর্বর। বেশির ভাগ এলাকায় বছরে তিনটি ফসল উৎপন্ন হয়। দেশের ১০ ভাগের এক ভাগ অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা। পাহাড়ে প্রচুর প্রাণিজ, বনজ, ও খনিজ সম্পদ রয়েছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে ছোট-বড় অনেক নদী আছে। নদীগুলো মালামাল পরিবহনের সহজ মাধ্যম। নদীর পানি-প্রবাহ থেকে বিদ্যৎ উৎপাদন করা যায়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মৎস্য সম্পদ রয়েছে আমাদের নদ-নদীতে। বাংলাদেশের মাটির নিচে রয়েছে নানা রকম মল্যবান খনিজ সম্পদ। এগুলোর মধ্যে কয়লা, গ্যাস, চুনাপাথর, চিনামাটি, সিলিকা বালি উল্লেখযোগ্য।
    বাংলাদেশের মোট বনভুমির পরিমাণ ২৪৯৩৮ বর্গ কিলোমিটার। দেশের মোট ভূ-ভাগের 16 ভাগ হচ্ছে বন। বনে রয়েছে মূল্যবান গাছ পালা। এগুলো আমাদের ঘরবাড়ি ও আসবাব তৈরীর কাজে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বনে রয়েছে পাখি ও প্রাণিসম্পদ। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের আরো বেশি অর্থাৎ ২৫ পার্সেন্ট বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অনেক নদ-নদী খাল-বিল ও দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। এসব খাল-বিল নদ-নদীতে রয়েছে প্রচুর মিঠা পানির মাছ। এছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করছে। মাছ ধরে বহু মানুষ জীবিকা অর্জন করছে। আমাদের প্রাণিসম্পদের মধ্যে রয়েছে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া হাঁস মুরগি প্রভৃতি। এগুলো গৃহপালিত প্রাণী। এছাড়াও রয়েছে নানা প্রজাতির প্রচুর পাখি। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে বঙ্গোপসাগর। সাগর তীরে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর। সাগরের পানি থেকে আমরা লবণ উৎপন্ন করি। তাছাড়া সাগর থেকে আহরন করি প্রচুর মাছ। এগুলো আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।

    Writer: Humayra Hanna

  • Letter

    “When it is dark and quite I think I hear things! Things that I shouldn’t hear. Things that tell me to quit . Almost every night I want to give up. I see nothing except memories. It’s like teasing myself with my own memories. And I am the one who laughed at me. I want to cry, someday I actually cry. Though there are no visible tears now. I cry like no one should, because I don’t actually cry. I just sit back and watch the walls and I keep seeing it until it’s morning. Until I have to get up, brush my teeth, get dressed up, fake a smile and go to work and other places.This cycle continues till I get real sick or tired. And finally I can sleep without thinking of anything. It feels like my body is begging to me for some sleep.Then I sleep for days.
    Sometimes I don’t eat for days. A day or two later my head starts spinning but I still don’t eat, I don’t feel like eating. I don’t feel hungry anymore, though I remember being a foodie .
    There are days when I can’t get out of my house, the day light bothers me.
    The Last day I went to a shop and bought two bottles of sleeping pills, again. I don’t know why I am collecting them anyway. Now when I sit on my terrace I want to jump, but I don’t ! I can’t !
    When I cross the roads I close my eyes . And suddenly open them in the middle of the road. Maybe it’s like wanting to die but don’t have enough courage to do anything.
    Maybe one day I would actually die. And I know that I would leave a perfect life behind me, I could have lived it happily. But I didn’t. I really didn’t. I didn’t want to anymore.

    I said, I could not live without you . But I didn’t die after you left. I am living, I am living anyway.
    My heart should have stopped beating right after you left, but it’s beating anyway.
    I know you are angry with me, you would have beaten me if you were here. You would have scolded me for not eating, not sleeping, not laughing the same anymore. What else can I do? I said that, I could not live without you but I am living anyway. Isn’t that already enough?
    You shouldn’t have leave me like this. I hate you.
    If I knew you would leave me like this, I would have hugged you and never ever leave. I wouldn’t let you go. I would hold you like the dying ocean holds it’s last drop of water.
    But I couldn’t.
    Take care.
    P.s – I love you. “

    This one folded letter held more agonies than she could even wrote. Words were never enough for her. But she wrote every year for him.
    It was letter number seven. She recited the letter to him herself. She was crying while reading.
    Time passed. It was time to leave.
    She kissed his grave. And she kissed again, this time a little longer.

    short_stories | By Sneha
  • সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট বা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল

    সবাই নিজেকে অন্যদের তুলনায় জ্ঞানী ও সচেতন হিসেবে প্রদর্শন করতে চায়। নিজের পান্ডিত্য জাহির করতে চায়। নিজেকে অন্যের সামনে গ্রহণযোগ্য করার কিছু কৌশল আছে। চলুন জেনে নেই মানুষের প্রাথমিক মনস্তাত্ত্বিক কৌশলগুলো।
    মনস্তাত্ত্বিক কৌশল বা হিউম্যান সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।মনস্তাত্ত্বিক কৌশল সম্পর্কে জানলে আশেপাশের মানুষের আচরণ ও ভাব ভঙ্গি সহজে বুঝতে পারা যায়।
    • যোগাযোগের ক্ষেত্রে:
    কারো কাছ থেকে কিছু জানার হলে কপালের দিকে তাকিয়ে বা চোখের দিকে তাকান। মিথ্যা বললে চোখ নামিয়ে ফেলবে।
    কাউকে কিছু জানাতে হলে লিখে জানাতে পারেন। এখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্ৰাম বা এস এম এস মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা কে উন্নত করেছে।
    • ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে:
    ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে নিজের অঙ্গ ভঙ্গি, কথা বার্তায় পরিপাটি হন।
    কোনও কাজে যাচ্ছেন বা পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন নার্ভাস লাগছে? ব্রেইন কে বুঝান আপনি পারবেন, আপনার পক্ষে সব সম্ভব। দেখবেন সহজেই কাজটা করতে পারবেন। নার্ভাস লাগবেনা।
    • শান্ত থাকতে:
    কোনও কারণে উত্তেজনা বোধ করলে ঘরে একটি নীল বা সবুজ আলোর লাইটের ব্যবস্থা রাখুন। এটি আপনাকে শান্ত ও স্থির থাকতে সাহায্য করবে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করবে।
    • রাগ সংবরণে:
    কারো দ্বারা অপমানিত হলে বা কারো কটু কথায় কষ্ট পেলে প্রতিবাদ না করতে পারলে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকতে হয় সারাজীবন। সেক্ষেত্রে ডায়রিতে সব লিখে রাখুন।দেখবেন ভালো অনুভব করছেন।
    জীবনে চলার পথে অনেক কিছুই ঘটবে। এই কৌশল গুলো মেনে চলুন। দেখবেন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।

    Writer: শায়লা নাজনীন

  • জাপান সৃষ্টির কিংবদন্তি

    প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম তলদেশ থেকে উত্থিত,চারদিকে জলবেষ্টিত ছোট বড় প্রায় ৬৮৫২ টি দ্বীপ সমবেতভাবে জাপান দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত। জাপানের বৃহত্তম ৪ টি দ্বীপ হোনশূ,হোক্কাইডো, শিকোকূ,ক্যুশূ মোট ভূখণ্ডের ৯৭% এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। জাপানের এই সহস্রাধিক দ্বীপ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে চমৎকার এক পৌরাণিক কাহিনী।
    জাপানিরা বিশ্বাস করে, মর্ত্য সৃষ্টির পর বিশৃঙ্খল ও বসবাসের অনূপযোগী পৃথিবীকে সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে দেবতারা আবির্ভূত হন। তন্মধ্যে “ইজানাগি” নামে এক দেবী ছিলেন। দেবী “ইজানাগি” স্বর্গে বসবাসকালীন সময়ে ভাসমান সেতুর প্রহরী হিসেবে নুবাকো নামের রত্নখচিত এক বর্শা হাতে দন্ডায়মান ছিলেন। মর্ত্যে অবতরণের সময়ে তাঁর বর্শার অগ্রভাগ নিম্নস্থিত তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে প্রবিষ্ট হয়। সমূদ্র তৎক্ষনাৎ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে এক দ্বীপের উৎপত্তি হয় যা জাপানের আদি বা মূল ভূখন্ড হিসাবে ধরা হয়। অতঃপর বর্শাটি সমূদ্র থেকে উত্তোলনের সময় বর্শা থেকে চর্তূরদিকে জল ঝরে পড়তে থাকে।যেখানে যেখানে জলবিন্দু পড়ে, সেইসব স্থানে একটি করে দ্বীপের সৃষ্টি হয়।
    জাপানদ্বীপপূঞ্জ সৃষ্টির এই কিংবদন্তি জাপানিদের প্রাচীনতম গ্রন্থ “কোজিকি” ও “নিহন শোকি “তে লিপিবদ্ধ আছে।

    তথ্যসু্ত্রঃ ইন্টারনেট,
    জাপানের ইতিহাস, ড.হরপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

    Writer: Shirin Nila

  • ইচ্ছাশক্তি (Willpower)

    মানুষ করতে পারে না এমন কোনো কিছু নেই বলে একটি কথার প্রচলন আছে। গুরুজনেরা বলে সব সময় সময়ই নিজের উপর বিশ্বাস করে সবকিছু করার জন্য এগিয়ে যাও। ইচ্ছাশক্তিই মানুষকে আত্নবিশ্বাসী করে তোলে।
    নিজের ক্রিয়া, আবেগ বা আহ্বান নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা, দৃঢ়ভাবে কোনোকিছু করার ইচ্ছাই হলো ইচ্ছাশক্তি। ইচ্ছাশক্তি মানুষকে জীবনে অনেক সাহায্য করে তার অনেক বাস্তব প্রমান আমাদের সমাজের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিজনের জীবনের গল্পে দেখা যায়।
    উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ব্যক্তির গল্প হলোঃ

    নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা ১৮ জুলাই ১৯১৮ জন্মগ্রহণ করেন এবং ৫ ডিসেম্বর ২০১৩ মৃত্যুবরন করেন।তিনি বনর্বাদ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী, রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি।
    নেলসন ম্যান্ডেলা ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকার এমভেজোর এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সশস্ত্র সংগঠন উমখন্তো উই সিযওয়ের নেতা হিসাবে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে ও অন্তর্ঘাতসহ নানা অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তিনি দীর্ঘ ২৭ বছর কারাগারে কাটান।কারাগারের থেকে মুক্তি লাভের পর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকারের সঙ্গে বর্ণবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টায় তিনি আলোচনায় অংশ নেন। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ম্যান্ডেলা তার দল এএনসি’র হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং জয়লাভ করে রাষ্ট্রপতি হয়। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটে এবং গনতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
    তার বর্নবাদ দূর করার ইচ্ছে তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।
    তার একটি উক্তি হলোঃ
    “সবসময়ই, কোন কাজ শেষ মা হওয়া পর্যন্ত অসম্ভব বিষয় বলেই মনে হয়- নেলসন ম্যান্ডেলা”

    শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ই মার্চ ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরন করেন।তিনি একজন অন্যতম রাজনীতিবিদ এবং আমাদের জাতির পিতা। তিনি ভারত বিভাজন,ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা দাবি, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে পথ দেখানো, সবাইকে সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভাষনে অনুপ্রাণিত করা, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাস কারাগারে থাকা, স্বাধীনতার পর জনগনের জন্য কাজ করে যাওয়া এই সব কিছুর কারনে তিনি আজ জাতির কাছে সম্মানিত হয়ে আছেন। তার অবদান সকলে আজীবন মনে রাখবে।

    তিনি এইসব কাজ করেছেন তার ইচ্ছার কারনে, জনগনের জন্য তার ভালেবাসার কারনে, মাতৃভূমির জন্য। তার ইচ্ছাশক্তি না থাকলে তিনি এইসকল কাজ করতে পারতেন না। তার ইচ্ছাশক্তিই তার জীবনে আসা সকল বাধাঁ পার করে যেতে তাকে সহায়তা করেছে।
    শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উক্তি হলোঃ
    “আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না”-শেখ মুজিবুর রহমান।

    ইংরেজিতে একটি কথা আছে – There is a way if there is a will অর্থাৎ “ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়”। তাই ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবে সফল হওয়া অনেক দৃঢ় মনোবলের বিষয়। ইচ্ছাশক্তি মজবুত হলে মানুষ করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই।
    ইচ্ছাশক্তি বাড়ানোর জন্য একজন মানুষের যা করা উচিত তা হলোঃ
     পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও সঠিক পরিমানে খাওয়া। খাবার ঠিকমত খেলেও মন-মেজাজ ভলো থাকে যা কাজ করার ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
     ঠিকমতো ঘুমাতে যাওয়া ও সকালে তাড়াতাড়ি উঠা। পরিমান মতো ঘুম একজন মানুষের জীবনের জন্য ও মস্তিষ্কের চাপ কমানোর জন্য উপকারী। মস্তিষ্কের উপর চাপ না থাকলে একজন মানুষ সতেজ অনুভব করবে যা তার কোনো কিছু করার ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
     সকালে উঠে ব্যায়াম করা। কারন একজন মানুষ যখন শারিরীকভাবে সুস্থতা লাভ করবে তখন সে তার কাজ করায় মনোনিবেশ করতে পারবে।
     অনুপ্রাণিত করে এমন কাজ করা। যেমনঃ বই পড়া, বাগান করা, ঘুরতে যাওয়া, গান গাওয়া, জোকস শোনা, বিশেষ ব্যক্তিজনের ভাষন শুনা।
     স্ট্রেস কমানোর জন্য পছন্দের কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।
     কাজে বাধাঁ আসলে তা পার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।

    ইচ্ছাশক্তি যখন থাকবে তখন জীবনে সফলতা অর্জন করে এগিয়ে গিয়ে জীবনকে সুন্দর করে বাঁচতে কোনো কিছু আর মানুষকে আটকতে পারবে না।

    Writer: মারজান আক্তার

  • দৌর্মনস্যতা জাগিলে শির

    স্থিত মজ্জা অতলে সহস্র বাক্য চক্রবৎ পরিভ্রমণ করিতে থাকে।আবেগ খন্ডে বিনিদ্রতা উপলব্ধি হয়। তাহা থেকিয়া একটি বাক্য চিত্তপটে গভীর ভাবে আহরন হয়। সেটা আমরা সবার নিকট প্রদর্শন করি। আর তখনই আমাদের মানসলোকে কিঞ্চিৎ আমোদ অনুভূত হয় নিজেকে হালকা ভেবে!
    -ফারিয়াদ তামিম জিসান

  • নষ্ট

    আমি নষ্ট!
    ধোয়াশার প্রেমে আমার নিবাস,
    অন্ধ প্রদেশে তাই শ্রেষ্ঠ।

    আমি ভালোবাসার বিনাশে অভিযুক্ত,
    দুর্বোধ্য হাসিতে মত্ত;
    অন্ধকূপের লালসায় জড়িত,
    শিহরনের জয়ে আমি উল্লসিত।

    আমি রক্তমাখা তরবারি নিয়ে হাটা পথিক,
    আমি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে পোড়া ছাই।
    মানবের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমার নিকট,
    ক্ষিপ্ত ধনুক ছোড়ার আগে আমি চলে যাই।

    আমি অধিকতর নষ্ট!
    আমি জানিনা ঘটেছে কার মৃত্যু!
    নষ্ট- আত্না নাকি গাত্র?

    মোঃ ফারিয়াদ তামিম জিসান

  • ক্রিস্পারের বিপ্লব

    আমাদের প্রায় সকলের ক্ষেত্রে যেটা হয় একজন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের কথা জানতে পারি তার নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরে| মানে যখন একজন বিজ্ঞানী তার কাজের জন্য নোবেল পুরস্কার পান ,তারপরে আমরা জানতে পারি ও উনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন? তার মানে উনি একজন অনেক বড় বিজ্ঞানী|কিন্তু এবার রসায়নে নোবেল পুরস্কারটা নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানতাম| এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমগুলোতে অনেকে অনেক কথাই বলেছেন এবং পত্রিকাগুলোতেও অনেক লেখালেখি হয়েছে|
    নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আগেও হয়ত আপনারা অনেকে Crispr শব্দটা দেখেছেন, হয়তোবা শুনেছেন ,হয়ত বা অনেকেই গবেষণা করেছেন এরই মধ্যে|
    অর্থাৎ এবারের রসায়নে নোবেল পাওয়ার বিষয়টা একটু হলেও পরিচিত|কিন্তু ক্রিসপার জিনিসটা আসলে কি? এবং এটা নোবেল পেয়ে গেল কেন?
    খুব সহজ করে যদি বলতে হয় Crispr এমন একটা রাসায়নিক যৌগ, যেটা দিয়ে ডিএনএ এডিটিং করা যায়| ব্যাপারটা বোঝার জন্য সহজ একটা উদাহরন চিন্তা করুন, আমরা যখন কম্পিউটারে বা ফোনে কোনো কিছু লিখতে থাকি বা টাইপ করতে থাকি তখন মাঝে মাঝে আমাদের লেখায় ভুল হয়ে যায়, আর আমাদের কম্পিউটার বা ফোনের মধ্যে এই প্রযুক্তি আছে যে আমরা ভুলটা কেটে সঠিকটা লিখতে পারি| কিন্তু টাইপরাইটারে এই সুব্যাবস্থা ছিল না | এভাবে লেখার মধ্যে কোন পরিবর্তন করাকে বলা হয় এডিটিং, এটা যে শুধু ভুল সংশোধনে ই হবে তা কিন্তু না, যেকোনো ধরনের পরিবর্তন করাকেই এডিটিং বলে|
    এবার চিন্তা করুন, আমাদের দেহে নীল নকশা বলে যদি কিছু থাকে তা হল ডিএনএ| ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে গাছপালা ,মানুষ, হাতি এমনকি ডাইনোসর এবং যত রকমের জীব আছে সব ধরনের জীবের গঠন বৈশিষ্ট্য এবং কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত তথ্য যে অণুর মধ্যে লেখা থাকে তাহলে ডিএনএ| সেভাবে দেখলে ডিএনএ কিন্তু এক ধরনের ভাষাই| ডিএনএ তে চারটি অক্ষর ATGC ব্যবহার করে এই তথ্যগুলো লেখা থাকে| Crispr হচ্ছে এমন একটি রাসায়নিক যৌগ, যেটা ব্যবহার করে এই নীল নকশা তে পরিবর্তন আনা যায় বা এডিটিং করা যায়| খুব সহজে বলতে গেলে Crispr এর কাজ এটাই|
    লক্ষ্য করুন এবার, রসায়নে নোবেল পুরষ্কার কিন্তু বিজ্ঞানীরা ডিএনএ এডিটিং এর জন্য পান নি বরং তারা পেয়েছেন Crispr এর জন্য| Crispr আবিষ্কারের পূর্বে ও ডিএনএ এডিটিংয়ের প্রযুক্তি ছিল, এবং Crispr আবিষ্কারের পর ও পূর্বের পদ্ধতিগুলো ক্ষেত্রবিশেষ ব্যবহৃত হয়| তাহলে প্রশ্ন হল এই Crispr এর নতুনত্ব কোথায়?
    সেটা বোঝার জন্য মনে করুন কেউ আপনাকে কম্পিউটারে একটা লেখা দিয়ে বললো, এই লেখাটার অমুক বাক্যে একটা জায়গায় বানান ভুল আছে, যেটা সংশোধন করতে হবে| আপনি সেটা কিভাবে করবেন? প্রথমে আপনাকে ভুল বানান দেয়া শব্দ টা খুঁজে বের করতে হবে , এরপর আপনার কাজ হচ্ছে ভুল বানান টা কেটে সঠিক শব্দ টা লিখে দেয়া,মানে এডিটিং করা| ডিএনএ এডিটিং করার সময়ও বিজ্ঞানীদের এই দুটো কাজই করতে হয় ১) খুঁজে বের করা ও ২) কেটে ঠিক করা| ডিএনএ এক্ষেত্রে এই কেটে ঠিক করা বা মেরামত করা কাজটা কিন্তু আপেক্ষিক ভাবে অনেক সহজ| কারণ বিজ্ঞানীদের কাছে এ কাজটা করার খুব সহজ প্রযুক্তি অনেক আগে থেকেই আছে| কাজেই ডিএনএ কে কেটে মেরামত করা আসলে ডিএনএ এডিটিং এর মূল চ্যালেঞ্জ নয় ,এর মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডিএন এর মধ্যে সংশোধনের নির্দিষ্ট জায়গাটা খুঁজে বের করা|
    লক্ষ্য করুন কোষের মধ্যে কয়েক শ’ কোটি অক্ষরের ডিএনএ থাকা অস্বাভাবিক নয়| [ একজন মানুষের সম্পূর্ণ ডিএনএ এর দৈর্ঘ্য 300 কোটি অক্ষরের] এত এত ডিএনএ এর মধ্যে কোথায় কোন জায়গায় সংশোধন করতে হবে তা নির্দিষ্টভাবে খুঁজে বের করা আসলেই মাথা ব্যথার বিষয় |Crispr এই জিনিসটাই সহজ করে দিয়েছে| crispr এরমধ্যে একটা অনু আছে যেটাকে আমরা গাইড আরএনএ (gRNA )বলে থাকি| এই পথ প্রদর্শক আরএনএ এর মধ্যে নির্দিষ্ট করে লেখা থাকে ডিএনএর কোন জায়গায় গিয়ে Crispr এর এডিটিং এর কাজ করতে হবে|
    এখন আপনাদের Crispr এর মজার বিষয়টা বলি| একজন গবেষক চাইলেই এই গাইড আরএনএ এর মধ্যে পরিবর্তন করে নিজের পছন্দমত তথ্য লিখে দিতে পারেন| এটা খুবই সহজে সম্ভব| কম্পিউটারের ভাষায় বললে Crispr এই গাইড আরএনএ ভাষা প্রোগ্রাম করা যায়| তার মানে গবেষক ডিএনএ-এর যেখানে চাইবেন Crispr সেখানে গিয়ে এডিটিংয়ের কাজ করবে|
    আমরা আবার সেই পুরোনো উদাহরণে চলে যাই, কম্পিউটারের মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ফাইন্ড দ্য রিপ্লেস বলে একটি ফাংশন থাকে সেখানে রিপ্লেস এর ঘরে আমরা লিখি কি পরিবর্তন করতে হবে … আর ফাইন্ড ঘরে লিখি লেখার কোথায় এই পরিবর্তনটা করতে হবে| Crispr হচ্ছে এমন এক প্রযুক্তি যা দিয়ে আমরা ডিএনএ এর মধ্যে ফাইন্ড এন্ড রিপ্লেস এর ফাংশন সহজেই ব্যবহারব করতে পারব| এত সুবিধা এর আগে কোন ডিএনএ এডিটিং প্রযুক্তিতে ছিল না| এটাই হচ্ছে Crispr এর বিপ্লব|
    সোর্স: ইন্টারনেট
    নাবিলা রব

  • Why Bookworms Are Fascinating People

    Reading a book takes us to another secret world of our own. A good book gives more than just a momentary escape from real life while making wonders to life. Books encourage us to flee to other lives, experiences, and universes. It also helps us in learning unique ideas, messages, and methods to decipher the lives around us. The bookworms appear with some unusual habit that might make them seem enigmatic but the world created in their mind is truly fascinating. And if you come across these people, here are a few characteristics that you will notice:
    Showing an intensely sensitive response after completing a book/ chapter- to the world, it might appear as a mere flip of a page. But the bookworm might have a shattered heart while his beloved character was killed.
    Buying more extra: When there is a full shelf of books, there will always be an extra book that they want to buy and they will definitely get it as soon as they get the chance.
    Ignore all vital needs: these people will ignore going to the bath, have food, and even hunger could not sway them from finishing their favorite part.
    Hours of explanation: If ever asked to suggest a good book, you would presumably be taken aback by the recommendations of numerous books.
    visiting with wonder: ever looked at their eyes while visiting a bookstore? you will see their eyes beam!
    From loving the smell of old books to buying heaps till they go out of money, you can pick up a lot of weird facts about them. Even there will be times they would buy books and accessories over jewelry items. Nevertheless, they are good souls yearning for adventure and knowledge. Do have face to face chat with them, they will not disappoint you.

    Writer: Lubana Akter

  • হাসিমুখ

    হাসিমুখ

    -গত বর্ষার দিনগুলো মনে পড়ে?
    -দিব্যি পড়ে,আপাদমস্তক ভেজা শরীর নিয়ে তোমার প্রতিবার লেইট করে আসা।
    -আর?
    -এক গুচ্ছ কদম হাতে আমাদের নিত্যকার ভালোবাসা।
    -সময় বদলেছে বেশ দেখেছো?
    -ভীষণ রকমে।এটাই স্বাভাবিক তাই না?
    -বছর ঘুরে আবার বর্ষা এসেছে,অতীত ফেরানো যায় না?
    -বছর ঘুরেছে।জেনেও ভুলছো কেনো সেটা?
    -নতুন বছরে নতুন গল্প পুরোনো প্রেমে হয় না বোধহয়?
    -গল্প ফুরালে এতো হতাশা কেনো?
    -হয়ত অবশিষ্ট প্রেমের দাবীটা জানান দিচ্ছে,তোমার নেই কিছু বাকি?
    -বেশ আছে,তুলে রেখেছি।প্রতিবার হাসিমুখের জন্য এইটুকু নাহয় তোলা থাক নিজেদের কাছে।সবটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হতে চাই না।আমাদের গল্পটুকু থাকুক নাহয় নিখাদ অসমাপ্ত প্রেমের পঞ্জিকার এককোণে।
    -ভালো বললে।শেষ হিসেবে কিছু চাইবে?
    -পরিণয় না হয় নাই রইলো,পরিচয়ে হাসিমুখটা রেখো প্রিয়…

    হাবীবা ফারহানা

  • ক্ষুধা

    খাবারের কারণে কাদছে হাজার মানুষের প্রাণ।

    সব কিছু শুনিয়া যেন বন্ধ
    আমাদের কান।

    মানবতা যেন আজ ঘুমিয়ে আছে
    জেগে আছি আমরা।

    সার্তের জন্য কুকুরের মতো একে অন্যকে কামরাই।।

    সরকারের থেকে সাহায্য এলে রাস্তায় তা শেষ।।

    বাটপারি আর চুরি এইটা আমরা করতে জানি বেশ।।

    সরকারের টাকা মারিয়া করছি বাড়ি গাড়ি।।

    আমরা মন্ত্রিরা কিন্তু এইটা ভালোই পারি।।

    মানবতাকে জাগিয়ে তুলো খুল তোমার কান।।

    গরিবের মুখে খাবার তুলে দিয়ে ভরাউ তাদের প্রান।।

    তামান্না আক্তার
    তারিখঃ০৫/০৪/২০২০

  • অভ্যাস(Habits)

    অভ্যাস(Habits)

    অভ্যাস(Habits)
    বাবা -মা বা পরিবারের সদস্যদের কাছে শুনতে পাওয়া যায় যে, মানুষ অভ্যাসের দাস।এটি শুনে হয়ত অনেক প্রশ্ন আসে মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে।
    “অভ্যাস কি? অভ্যাস বলতে কি বুঝানো হয়ে থাকে? অভ্যাস ভালো-খারাপ কিভাবে বোঝা যায়? ভালো অভ্যাস মানুষের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? খারাপ অভ্যাস মানুষের জীবনে কেন বাদ দেওয়া উচিত?”
    অভ্যাস হলো মানুষের প্রত্যেকদিনের বিভিন্ন কাজ যেগুলো মানুষ পুনরায় বার বার করে থাকে।মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজ করে থাকে। অভ্যাস হলো মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে কাজ করার একপ্রকার নির্দিষ্ট চিন্তাভাবনা যা মানুষ বার বার ব্যবহার করে থাকে তাদের প্রাত্যহিক জীবনে। অভ্যাস হলো মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও ইচ্ছা যা তাদের মানিসক এবং শারীরিক আচরনে প্রকাশ পায়। মানুষের আচরণ মানুষের ব্যাক্তিত্বের প্রকাশ ঘটায়।
    ভালো অভ্যাস(good habits)
    অভ্যাস ভালো-খারাপ দুই প্রকারই হয়ে থাকে। ভালো অভ্যাস হলো প্রীতিকর আচরন বা কাজকর্ম,যেগুলো মানুষের জীবনে মেনে চলতে বলা হয়ে থাকে।ভালো অভ্যাস গঠন করার অনেক উপায় রয়েছে। তাছাড়াও অভ্যাস পরিবারের সদস্যদের অনুকরণ করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে চলে আসে। ভালো অভ্যাস যেগুলো মানুষের মাঝে ধারন করা উচিত সেগুলো হলোঃ
    ১.স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণঃ
    বর্তমানে মানুষ তেলযুক্ত খাবার,ফাস্ট-ফুড জাতীয় খাবার,মিষ্টি, চকলেট ইত্যাদি খাবার বেশি খেয়ে থাকে।যার ফলে মানুষের অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগছে। বর্তমানে শিশুরা শাক-সবজি খাওয়া পছন্দ করে না। কিন্তু শিশু, যুবক,প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের শাক-সবজি, ফল,দুধ ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। ফল, শাক-সবজি, দুধ ইত্যাদি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার।

    ২.ব্যায়াম করাঃ
    ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। ব্যায়াম শিশু,যুবক,বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয়।শারীরিক কার্যককলাপ বা ব্যায়াম মানুষের শরীরের অতিরিক্ত মেদ,ক্লান্তি দূর করে। এটি মানুষকে মানসিক ভাবে ফুর্তি দিয়ে থাকে,মানসিক চাপ দূর করে।


    ৩.পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমঃ
    ঘুম মানুষের মস্তিষ্কের ও শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে তা মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলে,মানুষের মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে ঘুম। কম ঘুম হলে মানুষের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে ঘুমানো এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে সকালে উঠে সতেজ ও সক্রিয় বোধ হয়।


    বাচ্চাদের জন্য সঠিক সময়ে ঘুমানোর ও সকালে তাড়াতাড়ি উঠা রুটিন করে তা মেনে চলার অভ্যাস গঠন করলে তা তাদের পরবর্তী জীবনে ভালো প্রভাব ফেলে।


    ৪.সময়ের মূল্যঃ
    সময় আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস গঠন করা অনেক দরকারি। সময়ের কাজ সময়ে করানোর অভ্যাস যেমনঃ সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্কুলের জন্য রেডি হওয়া, দৈনিক সনয়সূচি অনুসরন করার অভ্যাস শিশুদের ছোটকাল থেকে গঠন করালে তা তাদের পরবর্তী জীবনে তাদের কাজে ভালো ফল আনবে।
    ৫.সকলের সম্মান করাঃ
    পরিবারের বড়দের এবং বাইরেও সবকলের সম্মান করতে শেখানো উচিত শিশুদের। এতে করে তাদের আচার-আচরণে ভদ্রতা দেখা যায় এবং ছোটদের সাহায্য করা, তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা, স্নেহ করা ইত্যাদি শেখানো উচিত।
    ৬.পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাঃ


    পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ইমানের অঙ্গ। পরিষ্কার থাকলে অনেক রোগ-জীবাণুর আক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়।প্রত্যেকদিন গোসল করা,বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ ধোয়া, খাবার আগে হাত ধোয়া,হাত ধোয়ার সময় সবান বা হ্যান্ডওয়াসের ব্যাবহার করা, অগোছালো জিনিস গুছিয়ে রাখা ইত্যাদি শিশুদের শেখানো উচিত। এতে এটি তাদের একটি ভালো অভ্যাসে পরিনত হয়।
    ৭.সকল কাজে অংশগ্রহণঃ
    সকল কাজে অংশগ্রহণের ইচ্ছা ও উৎসাহ শিশুদের দেওয়া উচিত। স্কুলের কোনো অনুষ্ঠানে বা পারিবারিক কোনো কাজে অথবা বন্ধুদের সাথে খেলা ইত্যাদি সকলে কিছু করতে শিশুদের উৎসাহিত করা উচিত। এতে করে তারা অন্যান্য কাজ করার বা নতুন কাজ করার সাহস পায়। তারা সকলের সাথে মিশতে ভয় পায় না বা নতুন কোনো কাজ করতে ভ্য় কম পায়।
    এগুলো ছাড়াও আরো যে অভ্যাস সবার থাকা উচিত সেগুলো হলোঃ
    • নম্র হওয়া।
    • কারো হাসি-ঠাট্টা না করা।
    • কাজে বা জীবনের সকল ক্ষেত্রে ধৈর্য্-ধারন করা।
    • পরিবারের সবার সাথে একসাথে খাবার খাওয়া।
    • সহযোগিতা মনোভাবের অধীকারি হওয়া।
    • খেলাদুলা করা।
    • বই পড়া অবসর সময়ে।
    খারাপ অভ্যাস(bad habits):
    ভালো অভ্যাস যেমন প্রীতিকর তেমনি খারাপ অভ্যাস হচ্ছে অপ্রীতিকর আচরণ। খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত তাই সবার। খারাপ অভ্যাস মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে। অনেক গুলো খারাপ অভ্যাস যেগুলো মানুষের ত্যাগ করা উচিত সেগুলো হলোঃ
    • বেশি খরচ করা।
    • বড়দের অসম্মান করা ও সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করা।
    • নখ কামড়ানো।
    • অস্থির হয়ে উঠা।
    • পড়া-লেখায় ফাঁকি দেওয়া।

    অভ্যাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভালো অভ্যাস যেমন জীবনে সাহায্য করে জীবন সুন্দর করে তুলবে তেমনি খারাপ অভ্যাস জীবনের অনেক সমস্যা তৈরী করবে যা পরবর্তী সময়ের জন্য হয়ত ক্ষতিকর হবে।তাই সবার উচিত খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে ভালো অভ্যাস গঠনের জন্য চেষ্টা করা।
    “Take action before it’s too late. Your action will decided how your future will be and what will you gain.”

    Writer: মারজান আক্তার

  • রহস্যময়ী লজ্জাবতী গাছের অবাক করা উপকারিতা

    লজ্জাবতী গাছ অন্যান গাছ থেকে একটু আলাদা । গাছটির নামের সাথে তার আচরনে অতুলনিয় মিল রয়েছে । হাত ও পায়ের স্পর্শে লজ্জ্বাবতীর পাতা বুঁজে এসে বন্ধ হয়ে যায়। লজ্জাবতী গাছটিকে আবার কেউ কেউ লাজুক লতা ও বলে থাকে। লজ্জাবতী গাছটির অনেক অবাক করা ঔষধি গুণ রয়েছে।

    প্রাপ্তি স্থানঃ

    আমাদের বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানে এই গাছটি দেখা যায়। এই গাছটিকে সচরাচর রাস্তার পাশে ,নদীর পাশে দেখা যায়। এই গাছটি গ্রাম অঞ্চলে একটি অবহেলিত গাছ। লজ্জাবতী গাছটিকে আবার কিছু কিছু স্থানে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে।

    উপকারীতাঃ

    • হাত-পা জ্বালা
    • অর্শ্ব, রক্তপিত্ত
    • যোনির ক্ষত
    • নাড়ি সরে আসায়
    • আঁধারযোনি ক্ষতে
    • আমাশয়
    • দমকা ভেদ
    • মল কাঠিন্যে
    • দাঁতের মাড়ি ক্ষতে
    • বগলে দুর্গন্ধ
    • কানের পুঁজে, গ্রন্থিবাত, কুজ্জতা বিভিন্ন রোগে লজ্জাবতী বেশ উপকারী।

    ব্যবহারবিধিঃ

    • হাত-পা জ্বালা নিরাময়েঃ হাত-পা জ্বালার সঙ্গে শরীরে জ্বর থাকে। এ ক্ষেত্রে লজ্জাবতীর গাছ মূল পাতা ১০ গ্রাম ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেবন করলে উপকারে লাগে।
    • অর্শ্ব রোগঃ এক্ষেত্রে গাছে ও মূলে ১০ গ্রাম আন্দাজ এক কাপ দুধ ও তিন কাপ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একত্রে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রত্যেক দিন সকাল-বিকেল দু’বার খেতে হবে। ছাগলের দুধ হলে ভাল হবে।
    • ঘামের দুর্গন্ধ দূরেঃ অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং পোশাকে হলদে দাগ লাগে। এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মাখতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দূর হবে।
    • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ এক্ষেত্রে মূল ৭ /৮ গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং ছেঁকে ঐ পানিটা খেতে হবে। তাহলে উপকার হবে।
    • আমাশয়ঃ লজ্জাবতীর ডাঁটা পাতা মিলিয়ে ১০ গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে খেতে হবে। আর যাদের আমযুক্ত গাঁজলা দাস্ত হয়, তারা শুধু পাঁচ বা ছয় গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে ওই পানি খেলে উপকার পাবেন।

    Writer: Mukta Akter

  • ভালবাসা

    ভালবাসা

    ভালবাসা প্রত্যেক মানুষ এর জীবনে আসে সে কখনো তুলতে পারে না।জীবনের এই নাটকীয় মুহুর্তে সবকিছু চেঞ্জ হয়ে যায়।মানুষের মন মানসিকতাও পরিবর্তন ঘটে। পছন্দ করা জিনিসটাও একসময় খুব বিরক্ত হয়ে ওঠে।জীবনের বাগীচায় তখন নতুন কিছু উকি দেয়।নতুনভাবে নতুন কিছু পাওয়া থাকে যা পূর্বের বিষয় কে বিশ্বাসঘাতক এর মতো পিছনে পিছনে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে।অথবা সুযোগে অপদস্ত করে।

    লেখা: Samiul Islam

  • কৈশোরে সমাজ ও পরিবারের প্রভাব

    কৈশোর  জীবন হল শৈশব ও যৌবনের সন্ধিস্থল।শৈশব ছাড়িয়ে কৈশোরে সদ্য পা রাখা কিশোর- কিশোরীর ওপর  পরিবারের  জীবনযাত্রা ও পরিবেশ পরিস্থিতি গুরুতর প্রভাব ফেলে। প্রতিটি পরিবার ভিন্ন,তাদের জীবনযাত্রা ও ভিন্ন।তাই পরিবারগুলোর সন্তানদের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে।

    যেমন মধ্যবিত্ত পরিবারে সন্তান ভবিষ্যতে কি করবে সে চিন্তা করে বড় করা হয়।পরিবার চায় সে স্কুল এ জাবে,ভাল রেসালট‍ করবে,কোনও আক্রমণাত্মক কাজে অংশগ্রহণ করবেনা।ভবিষ্যৎ জীবন গড়ে তোলার জন্য প্রতিযোগিতা করবে।কোথাও নিজেদের ক্ষতি করবেনা।

    অপরদিকে, নিম্নবিত্ত পরিবারে সন্তানরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোটবেলা থেকে ঘরের কাজে বেশি সময় দেয়। এটাই  তাদের নিয়তি জেনে বড় হয়। কৈশোরে তাদের ওপর পবিবারের নিয়ন্ত্রন কম থাকে।

    নানা সমীক্ষায়ে দেখা গেছে, কিশোর-কিশোরীর মানসিক ও শারিরিক বিকাশের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকের অভিযোজন খুব প্রয়োজন এবং এসব পর্যায়ের ভিতর দিয়ে তারা প্রকৃত মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠে। আসলে পৃথকভাবে বেড়ে উঠার মূল কারন হল পিতামাতার কাছ থেকে পাওয়া জিনগত গুন,পরিবেশের ভিন্নতা, যে পরিবেশে বড় হচ্ছে তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া,পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক ,দেহগত বিকাশের হার।

    কিশোরদের দৈহিক বিকাশ ছোটবেলা থেকে ভাল হলে বড় হতে হতে পরিবেশের সাথে মানিয়ে জায়। অপরদিকে কিশোরীদের দৈহিক বিকাশের কারণে অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। তাদের সারাদিন জীবন এইসব হয়রানির খারাপ অভিজ্ঞতা বয়ে বেড়াতে হয়।

    এসময় বাবা-মায়ের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা জায়। এর মূল কারন হল-

    • পড়াশোনার প্রতি অনিহা
    • বাইরে বেশি ঘুরাঘুরি করা
    • বন্ধুদের সাথে অতিরিক্ত আড্ডা দেয়া
    • নেশা করা
    • প্রেম করা
    • ব্যক্তিগত খরচের আকাঙ্খা
    • ধর্ম পালনে অনীহা

    কৈশোরে সমস্যা গুলো সমাধান করা না হলে  বড় হয়ে সম্পর্ক আরও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। রাগ,অভিমান,খুব,হতাশা বাড়তে পারে।বাবা-মায়ের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকলে তারা স্বস্তি বোধ করে। হতাশা কেটে যায়।

    বাবামায়ের করণীয়ঃ

    • ধৈর্য ধরে সন্তানের কথা শুনতে হবে।
    • ওর প্রতি আগ্রহ আছে বিশ্বাস করাতে হবে।
    • বন্ধুদের সম্পর্কে যে কথা বলছে পছন্দ না হলেও বুঝতে দেয়া যাবেনা
    • সমাজে তার কর্তব্য বুঝাতে হবে, দায়িত্বশীল করে তুলতে হবে।
    • নিজস্ব মূল্যবোধ গড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে হবে।
    • জীবনের লক্ষ্য কি হওয়া উচিৎ সে ব্যাপারে জানাতে হবে।
    • সন্তানের বন্ধু হতে হবে যাতে সবকিছু শেয়ার করতে পারে।
    • স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
    • ভালো খারাপের পার্থক্য শিখাতে হবে।
    • যে প্রত্যাখান করেছে তার সঙ্গে বা অন্য বন্ধু ও বয়স্কদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যাবেনা।
    • খোলাখুলি আলোচনা করা
    • জীবন যাত্রায় কৌতুক ও রসবোধ জাগাতে হবে।
    • জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে।
    • শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে হবে।
    • অতিরিক্ত সমালোচনা করা যাবেনা।
    • অন্ধের মতো অনুকরণ বন্ধ করতে হবে।
    • বয়স উপযোগী  বিভিন্ন কাজে তাদের নিয়োজিত রাখা।
    • যথাপযুক্ত  পুরস্কার ও প্রশংসার মধ্যে কিশোরদের উৎসাহিত করা।

    এ বয়সের সুস্বাস্থ্য পরবর্তী জীবনে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সন্তানের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। কৈশোর বয়সে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ওজন কম বা বেশি হতে পারে। তাই কিশোর–কিশোরীদের পুষ্টি ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা জানার জন্য মাঝেমধ্যে তাদের ওজন–উচ্চতা মাপতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, চর্বি, শর্করা, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি অবশ্যই থাকতে হবে।

    লেখা: Shaila Nazneen

  • নামাজ

    ভোর হলো ফজরের আযান দিলো
    নামাজিরা ওঠ রে,,,,
    ওইযে মসজিদ
    তারাতাড়ি নামাজ পড়তে চলরে‌।

    নামাজ দিয়ে শুরু করো
    শিশিরের সকাল বেলা,,,
    ফজরের নামাজ শেষে,,
    কুরআন পড়তে কেউ করোনা অবহেলা।

    কষ্ট হলেও নামাজ সবাই পড়ো ভাই,,
    নামাজ ছাড়া কিয়ামতের দিন
    বাঁচার উপায় নাই।
    যোহর,আসর, মাগরিব পড়ো,,
    জামায়াতের সঙ্গে হায়,,
    দিন তো তোমার,,
    ফুরিয়ে যায়।

    এশার এলো নামাজকে
    অবহেলা করো না হায়,,
    কাল সকাল নাও দেখতে পারো
    আমার ভাই।
    এশার পড়ো জামায়াতের সাথে হায়,,,
    আরো পড়ো নফল নামাজ,,
    গভীর রাতে ।
    নামাজ শেষে দোয়া করো
    রবের কাছে,,
    তোমার দোয়া কবুল হবে
    আল্লাহর দরবারে,,
    জান্নাত পেতে তোমার
    সহজ হবে

    Writer: মোঃ মেহেদী হাসান

  • তোমার কন্ঠ

    ঈশানি,তোমার কন্ঠ যেন কোকিলের কলরব,
    ক্যাম্পাসে শুনিয়ে ছিলে
    রৌদ্র ভরা ক্লান্ত দুপুরে।
    আসবে কি আবার ফিরে?
    সেই কন্ঠে মুগ্ধ করিতে
    কোনো এক সময়ে।
    তোমার কন্ঠে মুখোরিত হয়ে যায়!
    আমার সকল হৃদস্পন্দন,
    তোমার কন্ঠে বেজে উঠে
    এখনো আমার সেই টেলিফোন।
    আসবে কি আবার ফিরে?
    সেই মায়া ভরা কন্ঠ নিয়ে,
    ভোর প্রভাতে কোকিল বেশে হয়তো বা বৃষ্টি হয়ে।
    এখনো ইচ্ছে করে শিশির বেশে
    তোমার কন্ঠে মিশে যেতে,
    আসবে কি আবার ফিরে
    ঈশানি তোমার মায়াভরা কন্ঠ নিয়ে।

    লেখা: মোস্তাক আহম্মেদ সাগর

  • Leaf Sheep:These Cute Sea Slugs are the Sheep of the Sea

    Costasiella kuroshimae, known as leaf sheep, is a type of slug that lives in the sea. They are shell-less marine opisthobranch gastropod mollusks in the family Costasiellidae. These cartoon sea sheep only grow to a length of 5 mm to 1cm. They have two dark eyes and two rhinophores that emerge from the tops of their heads that look not unlike sheep’s ears or insect antennae, hence the common name “leaf sheep.” The rhinophores have fine hairs that sense chemicals in the water, enabling Costasiella kuroshima and other sea slugs to find food sources. They eats green algae in the sea and produce energy from their food’s chloroplasts through a “kleptoplasty” process. These are unique because they are the only organisms in the world that are not plants and can still conduct photosynthesis. They can produce enough energy through this kleptoplasty to stay alive for a couple of months. Kleptoplasty is a chemical process, in which they retain the chloroplasts from algae, which they eat. Absorbing the chloroplasts from algae then enables them to perform photosynthesis. This ability to perform photosynthesis gives them “glow” under water, as they become bioluminescent. It is one of the only creatures in the world that can use algae to photosynthesize. When it consumes green algae, it is only partially digested in its body. Chloroplasts, major double-membrane organelles containing chlorophyll, are left intact. It was discovered in 1993 off the coast of the Japanese island Kuroshima, leaf slugs have been found in the waters near Japan, the Philippines, Indonesia and many places.

    Writer: Nabila Rab

  • ধর্ষনফোবিয়ার প্রতিকার ও প্রতিরোধে করনীয়

    বর্তমান সময়ের বহুল আলোচিত সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধর্ষন এবং যৌন হয়রানি ।প্রতিনিয়ত পত্রিকা কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ বুলালে প্রায়শই ভেসে উঠে এই সম্পর্কিত প্রচুর খবর ।বর্তমানে দেশের অঘোষিত মহামারী হিসেবে এই সমস্যাটিকে অন্তর্ভুক্ত করলেও ভুল হবেনা।প্রতিনিয়ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধবয়স পর্যন্ত সববয়সী মানুষ কোন না কোনভাবেই যৌন হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন । মূলত,যৌন হয়রানী বা ধর্ষন বলতে আমরা বুঝি একজন পুরুষ বা নারীর অসম্মতিতে যৌন আবেদন প্রকাশ করে জোরপূর্বক যৌনচাহিদা মেটানোর নিকৃষ্ট এবং কূরুচিপুর্ন চেষ্টাকে ।কিন্ত আমাদের দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় প্রধানত নারীরাই যৌন হয়রানীর স্বীকার হয়ে থাকেন।বাংলাদেশের অধিকাংশ নারীই যদি শতকরায় বলতে হয় তাহলে প্রায় ৮৫ শতাংশ নারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যৌন হয়রানী বা হেনস্থার স্বীকার।সেটা পথেঘাটে ,যানবাহনে,প্রতিষ্ঠানে কিংবা বাসাবাড়ীতে ঘটছে এবং ১ বছরের নিষ্পাপ নবজাতক থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত সববয়সীর নারী্রা বিভিন্নভাবে এই হেনস্থার স্বীকার হচ্ছেন ।এই যে একটা বিরাট অংশ এইভাবে প্রতিনিয়ত এমন কুরুচীপুর্ন হেনস্থার স্বীকার হচ্ছেন একবারো কি ভেবে দেখেছেন যে ঠিক কি কারনে আজ এটি মহামারীকারধারন করেছে। আসলে ধর্ষনের কারন নিহিত করা খুবই দুরুহ একটা ব্যাপার ।তারপরও যদি ব্যাখার খাতিরে বলতে হয় তাহলে বলা যায় ,ধর্ষন বা যৌন হয়রানি একটি মানসিক বিকৃতি বা নৈতিকতার অবক্ষয়জনিত ফোবিয়া ।একজন মানুষের নৈতিকতা বা মনুষ্যত্ব যখন শূন্যের কোটায় নেমে আসে তখন তারকাছে যেকোনো অপরাধই স্বাভাবিক মনে হয় আর তখনি তারা ধর্ষননামক পৈশাচিক অপরাধ সংঘটিত করে থাকে ।যেহেতু আমাদের পুরুষতান্ত্রিকসমাজ তাই বেশীরভাগ সময়ে ধর্ষনের কারন হিসেবে মেয়েদেরকেই দোষী হিসেবে ধরা হয় ।আরেকটু স্পষ্ট করে বললে মেয়েদের পোশাকজনিতকারন,তাদের চলাফেরাজনিত কারনকেই দায়ী করা হয়।অনেকেই এটার সাথে একমতপোষন করে থাকেন।আবার অনেকে মনে করেন পুরুষদের অতিকামনাময়ী চরিত্রও এক্ষেত্রে দায়ী।আর যেখানে অধিকাংশের মতেই এমন ধারনা প্রচলিত তাই সেখানে ধর্ষনের আসল কারনটা খোজা এবং সেটা তুলে ধরাটা খুব দূরুহ যেটা আমি আগেই বলেছিলাম। তবে আমার কাছে মনে হয় ধর্ষনের মূল কারন হচ্ছে ব্যক্তিমানসিকতার বিকৃতি,পারিবারিক শিক্ষার অভাব,নৈতিকতার চরম অবক্ষয়,দৃষ্টিভঙ্গির ভুল প্রয়োগ ,বিকৃত পর্ণোগ্রাফির সহজল্ভ্যতা এবং সর্বোপরি আইনের শাসনের সঠিকভাবে প্রয়োগ না হওয়া। তাই ,ধর্ষন বা যৌন হয়রানির মতো অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে এখনি সময় এসেছে সকলকে সোচ্চার হওয়া আর এরজন্য দরকার সকলের আন্তরিক সংঘবদ্ধতা। আর সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে আইনের সঠিক প্রয়োগ ।কেননা আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং শাস্তির বিধান কার্যকর সঠিকভাবে হলে অভিযুক্তদের শাস্তি পাওয়ার মাধ্যমে সবার কাছে এটি একটি বার্তা হিসেবে পৌছাবে যার মাধ্যমে অনেকাংশে কমতে পারে।যদিও ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হয়েছে।এটি অবশ্যই একটা প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে যদি এর সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়।এছাড়াও,পরিবার ,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যবোধের চর্চা সম্বলিত নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে,বিভিন্ন সামাজিক সচেতনামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সবার মধ্যে নৈতিকতার বার্তা পৌছিয়ে দেয়ার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।যদি পুলিশের কাছে কোন ধর্ষনের অভিযোগ আসে তাহলে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে সর্বপ্রকার সাহায্য পুলিশকে করতে হবে এবং তাদের কার্যক্রম কতটা ফলপ্রসু হচ্ছে ,কতটা সাহায্যবান্ধব হচ্ছে তা তদারকির জন্য বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়াও,নারীদের আত্নরক্ষার প্রশিক্ষন দিয়ে নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করতে হবে যাতে করে নারীরা আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারে এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো নিজেকে তৈরি করতে পারে।এইভাবে ধাপে ধাপে কার্যকমগুলোর সঠিক প্রয়োগ করতে পারলে অচিরেই এই সমস্যা থেকে উত্তরন করা সম্ভব । পরিশেষে বলবো ধর্ম,বর্ন,গোত্র,লিঙ্গ নির্বিশেষে যদি আমরা সবাইকে সবাইকে ন্যুনতম সম্মান প্রদর্শন করে চলতে থাকি তাহলে যেকোনো সমস্যায় খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে,সবাই নিরাপদেও থাকতে পারবে আর পৃথিবী হয়ে উঠবে আরো অনেক সুন্দর।স্বপ্ন দেখতে যেহেতু কোন বাধ্যবাধকতা নেই সেহেতু আমরা দিনবদলের এই স্বপ্নগুলো দেখতেই পারি।

    লেখাঃ মির্জা আল – তাহলীল লিখন

  • স্তূপ

    স্তূপ শুধু ময়লার হয় কি?
    স্মৃতির হতে কি হয় না?
    হলে তো বেশ হতো,
    অতীত নামক দুঃস্বপ্ন টাকে তাহলে,
    স্তূপ বানিয়ে বাইরে ফেলে আসতাম।

    সুক্তা✏️