Category: Travel

  • How to Start a Dropshipping Business in 2025: A Beginner’s Guide to E-Commerce Success

    Introduction:

    Dreaming of starting your own online store but worried about inventory costs and logistics? Dropshipping might be the perfect solution for you. With dropshipping, you can sell products without holding any inventory, making it one of the most accessible ways to start an e-commerce business. In this guide, we’ll walk you through the steps to launch a successful dropshipping business in 2025, even if you’re a complete beginner.


    What is Dropshipping?

    Dropshipping is an e-commerce model where you sell products without holding inventory. Here’s how it works:

    1. A customer places an order on your online store.
    2. You forward the order to a supplier.
    3. The supplier ships the product directly to the customer.

    This means you don’t have to worry about storage, packaging, or shipping—making it a low-risk business model.


    Why Start a Dropshipping Business in 2025?

    1. Low Startup Costs: No need to invest in inventory upfront.
    2. Flexibility: Run your business from anywhere with an internet connection.
    3. Scalability: Easily add new products or expand to new markets.
    4. Wide Product Selection: Partner with multiple suppliers to offer a variety of products.

    Step 1: Choose a Profitable Niche

    Your niche is the foundation of your dropshipping business. Here’s how to choose one:

    • Follow Your Passion: Pick a niche you’re interested in.
    • Research Market Demand: Use tools like Google Trends, Amazon Best Sellers, or AliExpress to identify trending products.
    • Check Competition: Look for niches with moderate competition—not too saturated, but with enough demand.

    Examples of Profitable Niches in 2025:

    • Eco-friendly products
    • Home fitness equipment
    • Pet accessories
    • Tech gadgets
    • Beauty and skincare

    Step 2: Find Reliable Suppliers

    Your suppliers are key to your success. Here’s how to find them:

    • Use Dropshipping Platforms: Platforms like Oberlo, Spocket, or AliExpress connect you with suppliers.
    • Check Reviews: Look for suppliers with high ratings and positive reviews.
    • Request Samples: Test the product quality and shipping times before committing.

    Step 3: Set Up Your Online Store

    Your store is your digital storefront. Here’s how to create one:

    1. Choose an E-Commerce Platform: Shopify is the most popular choice for dropshipping, but you can also use WooCommerce or BigCommerce.
    2. Design Your Store: Use a clean, professional theme and customize it to match your brand.
    3. Add Products: Import products from your supplier and write compelling product descriptions.
    4. Set Up Payment Gateways: Offer multiple payment options like PayPal, credit cards, and Apple Pay.

    Step 4: Optimize for Conversions

    Your store should be designed to convert visitors into customers. Here’s how:

    • High-Quality Images: Use clear, professional product photos.
    • Compelling Copy: Write persuasive product descriptions and headlines.
    • Easy Navigation: Make it simple for customers to find what they’re looking for.
    • Mobile-Friendly Design: Ensure your store looks great on all devices.

    Step 5: Drive Traffic to Your Store

    Without traffic, your store won’t make sales. Here’s how to attract visitors:

    • Social Media Marketing: Promote your products on Instagram, Facebook, TikTok, and Pinterest.
    • Search Engine Optimization (SEO): Optimize your store for Google search to attract organic traffic.
    • Paid Advertising: Run targeted ads on Facebook, Google, or TikTok to reach your ideal audience.
    • Influencer Marketing: Partner with influencers in your niche to promote your products.

    Step 6: Provide Excellent Customer Service

    Happy customers are more likely to return and recommend your store. Here’s how to keep them satisfied:

    • Respond Quickly: Answer customer inquiries within 24 hours.
    • Handle Complaints Gracefully: Resolve issues promptly and professionally.
    • Offer Easy Returns: Make your return policy clear and hassle-free.

    Step 7: Analyze and Improve

    Use analytics to track your performance and make data-driven decisions:

    • Track Sales and Traffic: Use tools like Google Analytics or Shopify’s built-in analytics.
    • Monitor Customer Behavior: Identify which products are popular and which pages need improvement.
    • Test and Optimize: Experiment with different marketing strategies, product offerings, and store designs.

    Step 8: Scale Your Business

    Once your store is profitable, it’s time to grow. Here’s how:

    • Expand Your Product Range: Add complementary products to your store.
    • Target New Markets: Use tools like Google Translate to reach international customers.
    • Automate Processes: Use tools like Zapier to automate tasks like order processing and email marketing.

    Tools to Start Your Dropshipping Business

    Here are some tools to make your journey easier:

    • Shopify: The go-to platform for dropshipping stores.
    • Oberlo: Find and import products from AliExpress.
    • Canva: Create professional graphics for your store and ads.
    • Mailchimp: Build email campaigns to engage your customers.

    Conclusion:

    Starting a dropshipping business in 2025 is an exciting opportunity to build a profitable online store with minimal upfront investment. By choosing the right niche, finding reliable suppliers, and driving targeted traffic, you can turn your dropshipping dream into a reality. Remember, success doesn’t happen overnight—stay consistent, keep learning, and adapt as you grow. Ready to take the first step? Your e-commerce journey starts today!


    Call-to-Action:

    What’s your biggest question about starting a dropshipping business? Share it in the comments below, and don’t forget to subscribe to our blog for more tips on e-commerce and entrepreneurship!

  • সোনারগাঁ পানাম যাতায়াত, সতর্কতা, খরচ

    সকাল থেকে সন্ধা যাদের সময় বাধা বা ঢাকার কাছাকাছি নিরিবিলি পরিবেশ খুজছেন,
    আপনাকে আমি রেফার করবো সোনারগাঁ,
    এই সময়টাতে ভ্রমন পিপাসু মানুষের সংখ্যা খুবই কম হয়,
    প্রথমে বাজেট এ আসি যেহেতু জায়গাটি ঢাকার আসেপাশে সে অনুযায়ি খরচ কম,
    আগেই বলে রাখি
    আর যদি দল বল নিয়ে আসেন তবে বাসা থেকে লান্চ নিয়ে আসাটাই ব্যটার,
    বেগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন,
    চাইলে সকালের নাস্তা গুলিস্থান এসে করে নিতে পারেন,
    যাইহোক প্রথমে
    গুলিস্থান ০ পয়েন্ট থেকে বাধন,বোরাক, (নন এসি)
    যে কোনো একটা বাস ধরুন, আগেই বলে রাখি এই বাস স্টপিজ টু স্টপিজ লেট করে,
    ভাড়া: ৪৫
    যদি একটু আরাম করে যেতে চান তবে
    বোরাক এসি বাস ধরুন গুলিস্থান টু চৌরাস্ততা
    ভাড়া ৫৫বা১০_৫টাকা এদিকসেদিক
    সময় সর্বোচ্চ ৪০-৫০মিনিট
    টিপুরদি অথবা চৌরাস্তা
    যে কোনো এক জায়গায় নেমে অটোতে ১০টাকা সরাসরি সোনারগাঁ জাদুঘর এর গেট এ,
    অবশ্যই ১) নাম্বার গেট দিয়ে ঢুকবেন,
    জাদুঘর এ ঢোকার টিকিট -৩০টাকা
    আপনার সময় অনুযায়ী ঘুড়াঘুরি করুন + কেনাকাটা
    একটা একতারা কিনে নিন লোক শিল্প যাদুঘর এর ঐতিহ্য হিসেবে,
    রয়েছে হাতে তৈরি করা নানান জিনিষ যা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে,
    আপুরা চাইলো হাতেবোনা জামদানি শাড়ি কিনে নিতে পারেন, দাম বেশি চাইবে, কিন্তু দিবেন না দামাদামি করে ১০০০-১২০০ মধ্যে নিতে পারবেন,
    অবশ্যই বাশের শাকে এবং ব্রিজে ছবি তুলতে ভূলবেন না।
    চাইলে ভারা করতে পারেন পেডেল বোট,
    যদি বাসা থেকে খাবার নিয়ে যান তবে শীমুল তলায় বা লেক এর ধারে গাছের ছায়ায় বসে দুপুরের খাওয়াদাওয়া শেষ করে নিতে পারেন,
    আবশ্যই আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলবেন।
    যদি খাবার না নিয়ে যান তাহলে সাথের একজনকে বাইরে পাঠিয়ে খাবার আনিয়ে নিতে পারবেন তবে খেয়াল রাখবেন গেট এ বলে একজন দাড়াবেন অন্যজন বাইরে যাবেন নয়ত আবার টিকিট নিয়ে ঢুকতে হবে।
    গেটের পাশেই একটা হোটেল আছে পছন্দমত খাবার নিন দাম দেখে,
    অত্তঃপর ঘোড়াঘুড়ি ফটোশুট
    ্্্্্্্
    ভূলেও কোনো কেবিন ওয়ালা ফুচকার দোকানে ঢোকবেন না,
    আর যদি ঢোকেন তবে আগে দাম জিগ্যেস করে নিবেন,
    চাইলে কিছু সময়ের জন্য ভেতরের লাইব্রেরিতে বই পড়তে পারেন,
    আনন্দ রাইড : ট্রেন,নৌকা,চরকগাছ,হাতি, ঘোড়ায় চরতে পারেন,
    সোনারগায়ের খাবারের সবচেয়ে বড় আকর্ষন : পুতা মিষ্টি,
    এক একটার ওজন ২থেকে ৮কেজি পর্যন্ত হয়,
    চাইলে চেখে দেখতে পারেন তারা পিস করেও বিক্রি করে,
    পাবেন ৪০ রকমের আচার, আরও অনেক কিছু
    পরিশেষে
    বের হবেন ১ নাম্বার গেট দিয়ে
    সেখান অহরহর ৫টাকাতে অটো আপনাকে পানাম নিয়ে যাবে,
    চাইলে হাটতে পারেন (৫মিনিট) লাগবে,
    পানাম ঢোকার জন্য টিকিট ১৫টাকা,
    গাছের ছায়ায় বসতে পারেন
    হাটাহাটি ফুচকা, চটটপটি,৩০রকমের সরবত,চেখে দেখে আসবেন,
    আর হ্যা
    কোনো ভবনে ওঠার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না,
    সিকিউরিটিরা দেখলে আপমান জনক কিছু বা জরিমানাও করতে পারে,
    কয়েক শ বছর আগের ভবন খুবই ঝুকিপূর্ন,
    ঘুড়াঘুড়ি,ফটোশুট শেষে পানাম থেকে ঢোকার গেট দিয়ে বের হবেন,
    বের হলেই একটু সামনে বাস দেখতে পাবেন,
    বাসে চলে আসবেন চিটাগাংরোড,(২৫গুলিস্থান)
    সেখান থেকে আবার বাস এ
    গুলিস্থান
    ভাড়া-২৫/৩৫

    panam sonargaon

  • ২৩৯৫ টাকায় সাজেক ঘোরার গল্প

    সরাসরি খরচের কথায় যাই
    ,ঢাকা থেকে বাস ভাড়া _______________________________ ৫২০/-
    মাঝপথে কুমিল্লা বিরতিতে নাশতা _______________________ ৩০/-
    খাগড়াছড়ি নেমে সকালের নাশতা _______________________ ৩৭/-
    সাজেকের পিক-আপ/ চাঁদের গাড়ি _____________________ ৬৪৫/-
    সাজেকে প্রবেশ টিকিট ________________________________ ২৯/-
    দুপুরের খাবার _______________________________________ ১৫০/-
    কটেজ ভাড়া _________________________________________ ১৬৪/-
    বার-বি-কিউ ________________________________________ ১৩৫/-
    সকালের নাশতা _____________________________________ ৪৫/-
    দুপুরের খাবার _______________________________________ ৯০/-
    ঢাকার বাস ________________________________________ __৫২০/-
    মাঝপথে কুমিল্লা বিরতিতে নাশতা ___________________৩০/-
    —————————————————————–
    মোট খরচ- ________________________________________ ২৩৯৫/-^^

    এগুলা একেবারে ব্যাসিক খরচ, যা না করলেই না তাই দিলাম। আমাদের খরচ হয়েছে ২৬০০ টাকার মত। তবে ১০-১২ জনের গ্রুপ হলে খরচ টা এমন থাকবে। এর কম হলে কিছুটা বাড়বে খরচ।এবার খরচ + খরচের বিষয়বস্তু গুলো ভেঙ্গে বলি,আমরা বন্ধুরা যাই ৮জন। খাগড়াছড়িতে ঢাকা থেকে আসা ৩জন বড় ভাই এসে জানায় যে আমাদের সাথে যেতে চান তারা। তাই তখন থেকে আমরা ১১জনের দল হয়ে যাই!> বাস ইকোনো পরিবহন,কলাবাগান থেকে রাত ১০ঃ৩০ মিনিটে> কুমিল্লা বিরতিতে রোল খাই।> খাগড়াছড়ি নেমে সকালের নাশতায় থাকে পরোটা+ভাজি/ডাল+ডিম ভাজি> সাজেকের চাঁদের গাড়ির রেট ফিক্সড করা ছিল ৭১০০/-, যা কোনোভাবেই কমানো যায় নাই। অনেক ধরনের চাঁদের গাড়ি থাকে ঐখানে। একটু ঘুরে দেখে আমরা গাড়ি নেই যার ছাদ খোলা যায়, কারণ গাড়িতে দাড়ায়া মজা নিতে না পারলে টেম্পু টেম্পু লাগে। আর আমরা যেই গাড়ি টা নিয়েছিলাম তাকে পিক-আপ ডাকে। আমাদের ড্রাইভার সমরঞ্জন মামাও সেই এক্সপার্ট ছিলেন।> সাজেকের প্রবেশ টিকেট জনে ২০/-, এবং গাড়ির জন্য ১০০/-> নেমেই দুপুরের খাবারের খোজ নিয়ে জানতে পারি, ১) দেশী মুরগি+ আলুভর্তা + ডাল + ভাত = ১৮০/- ; ২) ফার্মের মুরগি+ আলুভর্তা + ডাল + ভাত = ১৫০/- ; ৩) ডিম + আলুভর্তা + ডাল + ভাত = ১০০/-)আমরা দেশী মুরগী অর্ডার করি। এরপর চা খাই ১০/- করে কাপ।> কটেজ নিয়ে অনেকেই বলেছিল যেহেতু ১৬ই ডিসেম্বর যাচ্ছি কটেজ পাবোনা, কিন্তু আমরা অনেক কটেজ খালি পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের টার্গেট ছিল সাশ্রয়ী ট্যুর দেয়ার তাই আমরা আদিবাসিদের বাসায় খোঁজ নিতে থাকি। এবং ১১জনের জন্য ১৮০০ টাকায় ২রুম ম্যানেজ করে ফেলি!> বার-বি-কিউ এর অভিজ্ঞতা টা খুব বেশী মজার। আদিবাসিরা সবাই এই মৌসুমে ব্যাবসা কে পুরো দমে কাজে লাগাচ্ছে। কারো কাছেই বার-বি-কিউ এর সরঞ্জামাদি চেয়ে পাওয়া যাচ্ছিলো না। কেউ কেউ বলছিলো দোকানে এসে আপনারা ভেজে বানান! কিন্তু আমরা চাচ্ছিলাম নিজেদের মত করে করতে যা বার-বি-কিউ এ হয়ে থাকে। পরে অনেক খুজে জোনাশ নামের এক স্থানীয় কে ম্যানেজ করলাম। ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম মোট ওজনের ৩টা মুরগির দাম রাখলো ৮৫০/-, মুরগি বানানো, মেরিনেট, মসলা, বার-বি-কিউ বানানোর সরঞ্জাম, লাকড়ি, ডিজেল এর চার্জ চাইলো ৩০০/-। সন্ধ্যায় পরোটা অর্ডার করি বেঞ্জামিন নামের হোটেলে ৩৩টা ৩৩০/-। আমরা শুধু মুরগি গুলা জবাই দিয়ে চলে আসলাম। রাতে আমাদের ফোন করে জানিয়ে দিলো যে সব রেডি, নিয়ে যান। বার-বি-কিউ করলাম হেলিপ্যাড ২ তে।> সকালের নাশতা করি ঐ বেঞ্জামিন হোটেলে। পরোটা আর ডিম ভাজি।> দুপুরের খাবার খাগড়াছড়ি তে খাই। ঐখানে দাম রিজনেবল অনেক। ৬০ টাকায় মুরগি, বেগুন ভর্তা, মাছ ভর্তা আর আনলিমিটেড ঝোল এবং ১০ টাকা ভাত।> তারপর আবার একইভাবে ঢাকার বাস, আর কুমিল্লায় নাশতা।> ড্রাইভার আমাদের সাথেই খেয়েছিল সব বেলায়, তবে রাতে ছিল আলাদা।আমরা এক্সট্রা খরচ করি কমলা, কলা, ডাব, গেন্ডারি, পাকা পেঁপে, ফান্টা খেয়ে। সেখানকার ডাব গুলা অবশ্যই ট্রাই করবেন। প্রচুর পানি থাকে, আমরা ডাবের পানি খেতে খেতে হয়রান হয়ে গেসিলাম :3তাছাড়া আমরা ঢাকা থেকে ফানুশ নিয়ে গিয়েছিলাম বার-বি-কিউ এর পরে ওড়ানোর জন্য। আসার পথে রেসাং ঝর্নার শীর্ষে যাই আমরা দল বেধে। যারা খৈয়াছড়া ঝর্নায় উঠেছেন তাদের জন্য এই ঝর্না কোনো ব্যাপারই না। সময়ের অভাবে আলু টিলা যাওয়া হয়নি আমাদের। তবে চাঁদের গাড়ি/ পিক-আপ নেয়ার আগে অবশ্যই “সাজেক+ঝর্না+টিলার” ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে নিবেন ড্রাইভারের সাথে। নাহলে অনেক ড্রাইভার ই এক্সট্রা চার্জ চাইবে এর জন্যে।রবি, এয়ারটেল, টেলিটক সিম চলে সাজেকে।মোবাইল চার্জ দিতে পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখবেন।বাংলাদেশ আর্মির প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা যাদের সহায়তা ছাড়া এইসব কিছুই সম্ভব ছিলনা। তারা প্রায়ই আমাদের কাছে এসে খবর নিয়েছে, কথা বলেছে, সাবধান করেছে।এবং সকল প্রশংসাই আল্লাহর যিনি এত সুন্দর প্রকৃতি দান করেছেন… ❤হ্যাপি ট্রাভেলিং 😃
    পুরো এ্যালবামের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/media/set/…***
    পোস্টের বয়স ১ বছর ১ দিন আজকে (২১/১২/২০১৭)। ১ বছরে সব কিছুর দামেই কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে যারা পোস্ট দিচ্ছে সেখান থেকে ধারণা নিয়ে বাজেট করুন। ধন্যবাদ। — at কংলাক পাহাড়, সাজেক, রাঙ্গামাটি।

  • একদিনে রাতারগুল ও ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর ভ্রমণ

    ratargul sylhet bangladesh | bholaganj sada pathor sylhet | ratargul swamp forest

    বর্তমান সময়ে অনেকেই Tob helpline জানতে চান কিভাবে একদিনে সাদাপাথর ও রাতারগুল ঘুরবেন। আজ এ বিষয় নিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে প্রথমেই মনে রাখবেন একদিনে ২টি জায়গা কাভার করার জন্য আপনাকে সকালে ৮ টার দিকে রওয়ানা দিতে হবে। যদি সময় সচেতন না হন তাহলে ভালো ভাবে দুই জায়গা কাভার করতে পারবেন না।
    রাতারগুলঃ স্থানীয়দের কাছে সুন্দরবন নামে খ্যাত রাতারগুল।এটি সিলেটের গোয়াইঘাটে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির জলাবন বা সোয়াম্প ফরেস্ট এটি।জলমগ্ন বলে এই বনে সাঁপের আবাস বেশি, আছে জোঁকও; শুকনো মৌসুমে বেজিও দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে বানর, গুঁইসাপ; পাখির মধ্যে আছে সাদা বক, কানা বক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি।
    শীতকালে রাতারগুলে আসে বালিহাঁসসহ প্রচুর পরিযায়ী পাখি, আসে বিশালাকায় শকুনও। মাছের মধ্যে আছে টেংরা, খলিশা, রিটা, পাবদা, মায়া, আইড়, কালবাউশ, রুইসহ বিভিন্ন জাত। কিন্তু এই বনে একসময় দাপিয়ে বেড়ানো মেছোবাঘ, বানর, বনবিড়াল, মাছরাঙা, টিয়া, বুলবুলির কলকাকলি, নানা প্রজাতির সাপের বিচারণ এখন আর চোখে পড়েনা। মারা যাচ্ছে বনের নানা প্রজাতির গাছও।
    সাদাপাথরঃ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সাদাপাথর অবস্থিত। রোপওয়ে, পাথরকোয়ারী, ধলাই নদী ও পাহাড় মিলে ভোলাগঞ্জ। ভোলাগঞ্জের একপাশে ভারতের মেঘালয়ের বড় বড় পাহাড় হতে বয়ে আসা ঝর্নার পানিই ধলাই নদীর মূল উতস। ধলাই নদীর উৎসে পাথরের জায়গা সাদাপাথর বা ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট নামে পরিচিত। সিলেটের আম্বরখানা থেকে সাদাপাথরের দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। এক সময় রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে এই সামান্য জায়গা যেতে ২-৩ ঘন্টা লেগে যেত। তখন হাতে গুনা কিছু পর্যটক সেখানে যেত। সেই সময় সাদাপাথরে বড় বড় পাথর ছিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু দিন দিন সেখানে পাথর যেন হারিয়ে যাচ্ছে। গত দুই বছর থেকে ভোলাগঞ্জের সাদাপাথরে পর্যটকদের উপস্থিত ছিল অনেক বেশি। এখানে বন্ধের দিন গুলোতে নৌকা পেতে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়।


    ঢাকা থেকে সিলেট কিভাবে যাবেনঃ
    রাতের ট্রেন বা বাসে করে সিলেট আসতে পারেন। ট্রেন ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে ৮:৩০ মিনিটে (বুধবার বন্ধ) ছাড়ে। ভাড়া ১ম শ্রেণি চেয়ার ৪২৫, শোভন চেয়ার ৩২০, শোভন সিট ২৬৫ ও অন্যান্য। ট্রেন সাধারণত ভোর ৫-৬ টার মধ্যে সিলেট পৌছে যায়। স্টেশন থেকে বের হয়ে লোকাল সিএনজি করে চলে আসুন আম্বরখানা। জন প্রতি ভাড়া নিবে ২০ টাকা বা রিসার্ভ সিএনজি নিতে পারেন ভাড়া নিবে ১০০ টাকা।
    যদি বাসে আসেন তাহলে রাত ১০-১১ টার বাসে উঠলে ৬ টার আগে সিলেট পৌছে যাবেন। ইউনিক, শ্যামলী, এনা পরিবহনে ভাড়া পরবে ৪৭০ টাকা। সেমি লোকাল আল-মোবারক ও মামুন পরিবহনে ভাড়া ৩৫০ টাকা। কিছু লোকাল বাস আছে যেগুলোতে ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা। বাজেট ট্রাভেলার হলে লোকালে আসতে পারেন। বাস আপনাকে কদমতলী বাস স্টেশন নামিয়ে দিবে। যা রেল স্টেশনের পাশেই। এখান থেকে আম্বরখানা যেতে হবে। অনেক সময় বাস মাজার গেইট(দরগা) পর্যন্ত যায়। মাজার গেইট থেকে আম্বরখানা ২ মিনিটের রাস্তা হেটে যেতে পারবেন। তাছাড়া বাসে আসলে কদমতলী বাস স্টেশনের আগে হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বরে নেমে যেতে পারেন।এখানে আম্বরখানার লোকাল সিএনজি পাওয়া যায় জনপ্রতি ২০ বা রিজার্ভ নিবে ১০০ টাকা। এবার দ্রুত কোন রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে ফ্রেশ হয়ে আম্বরখানা পয়েন্টে চলে আসুন।
    চট্টগ্রাম থেকে সিলেট কিভাবে যাবেন:
    চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সকাল ৯ টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৬ টায় সিলেট পৌছায় (সোমবার বন্ধ)।
    চট্টগ্রাম থেকে উদয়ন রাত ৯ঃ৪৫ টায় ছেড়ে সকাল ৬ টায় সিলেট পৌছায়(শনিবার বন্ধ)।
    চট্টগ্রাম থেকে এনা, ইউনিক, সৌদিয়া , শ্যামলী ননএসি বাসে ভাড়া ৭০০ টাকা। গ্রীনলাইন এসি বাসে ভাড়া ১১০০ টাকা। সব গুলো বাস ৯-১০ টার মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসে।
    সিলেট থেকে কিভাবে সাদাপাথর ও রাতারগুল যাবেন:
    বিভিন্ন সংখ্যা ও ধরনের ভ্রমণকারীদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থাকে ৩ ভাগে ভাগ করেছি। আপনার জন্য কোনটি সুবিধাজনক তা নির্বাচন করুন।
    ক) ভ্রমণকারীর সংখ্যা ৫ হলে আম্বরখানা থেকে এয়ারপোর্ট রোডে গেলেই সিএনজি পাবেন। ভোলাগঞ্জ ও রাতারগুলের জন্য সিএনজি রিজার্ভ নিবেন সারা দিনের জন্য ১২০০-১৫০০ টাকা। এই দিকের সিএনজি গুলো রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ছাড়া চলাচল করে। তাই কম টাকা রিজার্ভ করা যায়। রিজার্ভ সিএনজি নিয়ে চলে যান ভোলাগঞ্জ ১০ নাম্বার ঘাটে। ঘাট থেকে নৌকা রিজার্ভ করে সাদাপাথর যেতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগে। নৌকায় ৮ জন বসা যায় ও ভাড়া ৮০০ টাকা নির্ধারিত। সাদাপাথর নেমে মাঝির নাম্বার রেখে দিবে। কারণ তারা সাদাপাথর নামিয়ে দিয়ে আবার ঘাটে চলে যায় নতুন যাত্রীর জন্য।তাই পরবর্তীতে ফেরার সময় ফোন দিলে নৌকা নিয়ে চলে আসবে। যদিও সাদাপাথর ইচ্ছেমতো সময় থাকতে পারবেন। কিন্তু আপনি রাতারগুল যাবেন তাই এখানে ১.৫ ঘন্টার বেশি থাকা উচিত হবে না। এবার সিএনজি নিয়ে সিলেটের দিকে ব্যাক করুন। ধুপাগুল হয়ে চলে যান রাতারগুল চৌরঙ্গী ঘাটে। এখানে ঘাট রয়েছে ৩ টি। তবে চৌরঙ্গী ঘাটে ভাড়া নির্ধারিত ৭৫০ টাকা। তবে পরিচিত থাকলে আরও কমেও পাওয়া যায়। ঘাট থেকে ডিঙি নৌকা নিয়ে রাতারগুল বনে প্রবেশ করুন। ডিঙি নৌকা গুলো ২ ঘন্টার জন্য ভাড়া দেয়া হয়। রাতারগুলে দেখার জন্য নির্ধারিত যে জায়গা আছে তার জন্য ২ ঘন্টাই যথেষ্ট। তবে ড্রাইভারের কথায় উল্টাপাল্টা ঘাটে গিয়ে জবাই হবেন না। রাতারগুল দেখা শেষ হলে সিলেটের উদ্দেশ্যে ব্যাক করুন।
    খ) ভ্রমণকারী ৫ জনের অধিক হলে লেগুনা রিজার্ভ নিতে পারেন। লেগুনায় সর্বোচ্চ ১৪ জন যেতে পারবেন। লেগুনা রিজার্ভ এর জন্য কদমতলী বাস স্টেশন বা হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর থেকে সিলেটের প্রান কেন্দ্র বন্দর চলে আসুন।লোকাল সিএনজি জনপ্রতি ১০ টাকা। এখান থেকে সারা দিনের জন্য লেগুনা রিজার্ভ নিবে ২২০০-২৫০০ টাকা। অবশ্যই দরকষাকষি করতে হবে। ড্রাইভারকে আগে বলে নিবেন ভোলাগঞ্জ ১০ নাম্বার ঘাট ও রাতারগুলের চৌরঙ্গী ঘাট যাবেন। এই ২ জায়গার যাওয়ার বর্ণনা ও নৌকা ভাড়া উপরে আলোচনা করা আছে।
    গ) আপনি যদি সলো বা বাজেট ট্রাভেলার হন তাহলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।আম্বরখানা থেকে সামান্য হেটে মজুমদারী পয়েন্টে গেলে বাস পাবেন। সাধারণ বাস ও দোতলা বাসের ভাড়া ৬০ টাকা এবং সাদাপাথর পরিবহন নামে একটি বিশেষ বাস পাওয়া যায় ভাড়া ৮০ টাকা। এই বাস গুলো আপনাকে ভোলাগঞ্জ বাজারে নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে ইজি বাইকে জনপ্রতি ১০ টাকা করে চলে যাবেন ১০ নাম্বার ঘাটে। ভ্রমণকারীর সংখ্যা কম হলে নৌকা কার সাথে শেয়ার করতে পারেন। সাদাপাথর ঘুরে আবার চলে আসুন ভোলাগঞ্জ বাজারে। উঠে পড়ুন সিলেটগামী বাসে। হেল্পারকে বলবেন ধুপাগুল পয়েন্টে নামিয়ে দেয়ার জন্য ভাড়া নিবে ৫০ টাকা। ধুপাগুল থেকে লোকাল সিএনজি করে সাহেববাজার জনপ্রতি ২০ টাকা। সাহেববাজার থেকে লোকাল ইজি বাইকে রাতারগুল চৌরঙ্গী ঘাটে জনপ্রতি ২০ টাকা।অনেক সময় ইজি বাইক চৌরঙ্গী ঘাটে যায় না। তখন চৌরঙ্গী ঘাটের রাস্তার মুখে নেমে ১ কিলোমিটার হেটে ঘাটে যেতে হবে। আপনি যখন বাজেট ট্রাভেলার তাই কিছুটা কষ্ট করতে হবে। রাতারগুলের নৌকা ভাড়া সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা আছে। ফেরার পথে ঘাট থেকে সাহেববাজার আসবেন। সাহেববাজার থেকে আম্বরখানা লোকাল সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা।
    বিঃদ্রঃ
    ১. সিএনজি / লেগুনা ছাড়াও অন্যান্য গাড়ি রিজার্ভ করেও এই দুই জায়গায় যেতে পারেন।
    ২. কেউ যদি ব্যাক্তিগত গাড়ি ড্রাইভ করে আসেন তাহলেও সমস্যা নেই রাস্তার অবস্থা ভালো। তাছাড়া ভোলাগঞ্জ ১০ নাম্বার ঘাট ও রাতারগুল চৌরঙ্গী ঘাটে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা আছে।
    ৩. খরচ বাচাতে ও শান্তিতে ভ্রমনের জন্য সম্ভব হলে শুক্রবার, শনিবার ও বন্ধের দিন ছাড়া আসুন। এই দিন গুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বেশি।
    ৪.পর্যটন স্থান সমূহে চিপসের প্যাকেট, বিরিয়ানীর প্যাকেট, পানির বোতল ইত্যাদি ফেলে নোংরা করা থেকে বিরত থাকুন ।

  • ধুপপানিছড়া মুপ্পোছড়া আদ্যোপান্ত!

    dhuppani jhorna / dhuppani waterfall tour

    ঈদের ছুটিতে দুই দিনে, দেদারসে ঘুরে আসুন রাঙ্গামাটি, বিলাইছড়ির ‌‌|| ধুপপানি ছড়া, মুপ্পোছড়া ও নকাটাছড়া ঝর্না || থেকে ২২৫০ বা তারও কম টাকায়।✌
    যা যা লাগবে —
    ১/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা যেকোন আইডেন্টিটি কার্ডের ফটোকপি (৩টা)।
    ২/ ট্রেকিং সু (ভাল গ্রিপ যুক্ত) যা বর্ষায় ভাল কাজে দিবে।
    ৩/ ঢিলেঢালা কাপড় যা পাহাড়ি উচু নিচু রাস্তায় হাটতে সুবিধা দিবে।
    ৪/ ছাতা যা রোদ, বৃষ্টির হাত থেকে বাচাবে। (বিশেষ করে বোটে খুব কাজে দেয় কারন বোটের নিচে ইঞ্জিনের আওয়াজের কারনে বসা যায় নাহ। আর উপরে রোদে ছাতা খুব কাজে দেয়। তাছাড়া ছাউনির উপর থেকে লেকের চারিপাশ দেখতে দেখতে যাওয়া যায়)
    ৫/ অতি অবশ্যই হাটার মন থাকতে হবে। আপুদের সমস্যা হবার কথা নাহ। এই রুটে প্রচুর মেয়ে ট্রেকার ট্রেকিং করে থাকেন।
    যেভাবে গিয়েছিলাম– ঠিক হল অগাস্টের ৯ তারিখ রাত্তিরেতে আমরা চার মুর্তি রওয়ানা হবো রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে। যেখানে তিনটি ঝর্না ঘুরব আর বিলাইছড়িতে লেকের পাশে রাত্রিযাপন করব। ইচ্ছাটার প্রতিফলন ঘটল সন্ধ্যায় শ্যামলী বাসের ঢাকা টু কাপ্তাই ★৫৫০ টাকার টিকিট কাটার মধ্য দিয়ে। আর বাস্তবে রুপ নিল সাড়ে দশটায় ঢাকা হতে বাস ছাড়ার মধ্য দিয়ে। অনেকদিন ঘুরা হয় নাহ তাই মনটা খুব আবেগী হইয়াছিল। যা দেখি তাই ভাল লাগে টাইপ অবস্থা। ফেনীতে ট্রাফিকের কারনে ১০ই আগস্ট আনুমানিক সকাল পৌনে দশটায় কাপ্তাই পৌছলাম। বাস থেকে নেমে কাউন্টারে ১১তারিখ রাতে ফেরার পথের বাসের টিকিট করে নেওয়া উত্তম। বাস একেবারে শেষ যে যায়গায় গিয়ে থামে ওইখানেই নেমেছি। তারপর একটু হাটলেই কাপ্তাই ঘাট( কাউকে জিজ্ঞেস করলেই পাবেন)। আগেই খোজ নিয়ে জেনে এসেছিলাম সকাল আটটা হতে কাপ্তাই থেকে বিলাইছড়ির উদ্দ্যেশ্যে লোকাল বোট ছেড়ে যায়। যার ভাড়া জনপ্রতি ★৫৫ টাকা। যেহেতু আমরা চারজন, তাই লোকাল বোট ছাড়া গতি নেই। ঘাট থেকে সোয়া দশটার ৪টা টিকিট কেটে নিলাম। এর ভিতরেই ঘাটের পাশের বাজারে নাস্তা সেরে নিলাম ডিম পরটা দিয়ে। ডিম ২০ আর পরটা ৫ টাকা করে রাখল মোট ★৩৫ টাকা। আর বোটে খাওয়ার জন্য কলা আর ঠান্ডা পানি কিনে নিলাম। যা প্রতিজনে ★২০ টাকা পড়বে। তো সময়মতই ছাড়ল বোট, পথিমধ্যে আর্মি ক্যম্পে পরিচয়ও দিলাম। লোকাল বোট হওয়ার কারনে লেকের পাশের ছোট্ট পাহাড়ি বাড়িতে যাত্রিদের উঠানামা দেখতে পেলাম। যেটাতে অতবেশী সময় নষ্ট হওয়ার ব্যাপার নেই। প্রায় দুইঘন্টা পর আমরা বিলাইছড়িতে পৌছলাম। লেকের পাশে বেশ স্বয়ংসম্পুর্ণ একটা উপজেলা বিলাইছড়ি। কারেন্ট আছে, তাই চার্জ দিতে সমস্যা নেই। আসার আগেই বিলাইছড়ির নিজাম ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। উনার কটেজ আছে আবার বিলাছড়ি থেকে ধুপপানি যাবার বোট ও উনি ঠিক করে দিবেন মোট কথা যা যা লাগবে উনি সবই ম্যানেজ করে দিতে পারবেন। খুবই অমায়িক একজন মানুষ। উনার কটেজ আগেই ফিলাপ হওয়ার কারনে, আমরা নিরিবিলি নামের একটি কটেজে উঠি। ওইখানে দুইজনের রুম তিনশ (প্রতিজন★১৫০)একজনের রুম দুইশ করে রাখে। ব্যাগ ব্যাগেজ রেখে নিজাম ভাইয়ের বলে রাখা বোট দরদাম করে ২৩০০(৮ জন হলে প্রায় ★৩০০ করে) টাকায় ঠিক করি। যা প্রথমদিন মপ্পোছড়া ও নকাটায় নিয়ে যাবে।পরদিন ধুপপানিতে নিয়ে যাবে। আপনারা চাইলে আরেকটা গ্রুপের সাথে শেয়ার করে যেতে পারেন। এই নৌকায় পনের বিশজন আরামসে যাতায়াত করতে পারবেন।
    কটেজ ও নৌকা ঠিক করেই কলা বিস্কুট পানি (প্রতিজন ★৩০ টাকা) নিয়ে প্রথমদিন মুপ্পোছড়া ও নকাটা ঝরনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। বোটে আধঘন্টা গিয়ে, সেনাবাহিনী নির্ধারিত ৫০০ টাকা (৮জন হলে ★৭০টাকা) দিয়ে স্থানীয় গাইড ঠিক করে হাটা শুরু করলাম। পথে অনেকগুলা সুন্দর ছোট ছোট ঝর্না পড়ল। মুপ্পোছড়ার লোয়ার স্ট্রিমই এইগুলা। প্রায় ৪০ – ৫০ মিনিট হাটার পর দেখতে পেলাম অবলীলায় পাহাড় বেয়ে নেমে পড়ছে মপ্পোছড়ার স্বচ্ছ পানি। ঠান্ডা শীতল পানিতে আধঘন্টা গা ভিজিয়ে ফিরতে শুরু করলাম নকাটার দিকে। আসার পথে নিচে কিছুক্ষন হেটে নকাটায় নেমে খুব আয়েশ করে ঝর্নায় গা এলিয়ে শুয়ে শুয়ে ভিজলাম। ট্যুর শুরু থেকে এই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল প্রতিবন্ধকতা নিমিষেই ভুলে গেলাম। সুবহানআল্লাহ!
    ফিরতি ৫০ মিনিট হেটে বোটে ফিরে গেলাম। পথিমধ্যে পাহাড়ি আদিবাসীদের ছাগল বেচাকেনা দেখতে পেলাম। বোটে উঠে যখন ফিরে যাচ্ছি তখন আদিবাসিদের একেকটা গ্রাম রুপকথার গ্রামের মত মনে হচ্ছিল যাদের দূর থেকে বিলাইছড়ি, মায়ের মত আগলে রাখছিল।
    সন্ধ্যায় পৌছে বিলাইছড়ি ঘাটের, ভাতের হোটেলে খাওয়া দাওয়া করলাম। ভাতের সাথে লেকের অস্থির মজার মাছ ( চাপিলা/ বাংলা/ আইর),ডাল, ভর্তা, কাচামরিচ দিয়ে বেশ সুখময়ী একটা ভোজন সেরে নিলাম যা জনপ্রতি ★১১০ টাকা করে পড়েছিল। খেতে খেতে রাত সাতটা বেজে যাওয়ায় রাতের খাবারের অর্ডার দিয়েও ভাতের ক্ষিধে না থাকায় রাতে আর খাওয়া হয় নি। খুব মিষ্টি হওয়ার কারনে সারাক্ষন কলা খেয়েছি। রাতে বিলাইছড়িটা ঘুরে বেড়িয়েছি, তেমন কিছুই নেই ভিতরে।
    পরদিন ১১ই আগস্ট সকাল ৫ টায় ধুপপানির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিব তাই রাতে নিজাম ভাইকে বলে ★৭০ টাকা করে খিচুড়ি অর্ডার করে দিলাম। পরদিন ভোর ৫টায় বোটের বিপ্লব ভাইকে কল দিয়ে ঘাটে এনে কটেজ এর ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে, খিচুড়ি ও ব্যাগ ব্যাগেজ সবকিছু নিয়ে কটেজ ছেড়ে নৌকায় উঠে গেলাম। চাইলে আপনারা ব্যাগ কটেজ মালিকদের কাছে রেখে যেতে পারবেন। যেহেতু আমরা রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হব তাই সবকিছু নিয়ে বের হয়ে গেলাম। বোটে করে ধুপপানির পথে যেতে সেনাবাহিনীর দুটি ক্যাম্পে বোট থামিয়ে দুবার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে দিয়েছি। ধুপপানি যাওয়ার পথে বিলাইছড়ি থেকে উলুছড়ি দুইঘন্টার নৌপথ। ওইখান থেকে সেনবাহিনী নির্ধারিত গাইড ৫০০ টাকা আর ডিংঙি নৌকা ৩০০ টাকা। মোট ৮০০ টাকা( ৮ জন হলে জনপ্রতি ★১০০ হবে) গুনতে হবে। ডিংঙি নৌকায় ২০ মিনিট আর হাটাপথ দেড়ঘন্টায় পৌছেছিলাম ধুপ্পানি। হাটাপথে যেতে দুইটা পাহাড় উঠতে হবে আসার সময় ওই পথটাই আবার নামতে হবে। ধুপপানি ছড়ার অভিজ্ঞতা আর কি বলব বিশাল একটা ঝরনাধারা। যেই পাহাড় বেয়ে ঝর্নাটা নেমেছে সেইটা উচ্চতায় আকাশ ছুই ছুই করছে। সামনে প্রচুর পানি জমে আছে বিশাল বিশাল পাথর পাশ কাটিয়ে হেটে ঝরনার প্রান্তে যখন পৌছাবেন তখন ঠান্ডা পানির একটা বাতাস আপনার গা ও মন ভিজিয়ে দিবে 😇
    চোখে মুখে পরিপূর্ণ তৃপ্তির ছোয়া নিয়ে, বিকাল পৌনে চারটায় আমরা বিলাইছড়ি পৌছাই। ঘাটের সেই হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে (★১১০টাকা), সাড়ে চারটার শেষ লোকাল বোটটি ধরে কাপ্তাই (★৫৫)পৌছাই। কাপ্তাই থেকে সাড়ে আটটার বাসে( ★৫৫০) ১১আগস্ট রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে, সহি সালামতে বাড়ি ফিরে যাই।
    ★দিয়ে প্রতিজনের টাকার হিসেব বুঝিয়েছি। মোট ২২০৫ টাকা আসছে। পানি বাবদ আরো ৪৫ টাকা খরচ দিলাম। আর ৮ জনের বেশী হলে টাকা আরো কম লাগবে…😀। আমরা চারজন গিয়েছিলাম তাই বেশী পড়েছে।

    আমরা অপচনশীল কোন ময়লা যেন লেকের পানিতে না ফেলি সেদিকে খেয়াল রেখেছি। আশা করি আপনারাও সতর্ক থাকবেন।

    # ঝর্নায় কোন ময়লা ফেলিনি। আশা করি আপনারাও ফেলবেন না।

    ধুপপানি বৌদ্ধ ধর্মাবলাম্বীদের জন্য পবিত্র জায়গা তাই হৈচৈ থেকে বিরত থাকি। শুনেছি ঝর্নার উপরের পাহাড়ে নাকি সন্ন্যাসী ধ্যান করে থাকেন।