Author: Bongoogle

  • লাল গোলাপ

    সেই লাল গোলাপের খোঁজ রাখে নি কেউই!
    অথচ কথা ছিল সেই গোলাপে করে
    একগুচ্ছ ভালোবাসা উপহার দেয়ার!
    লাল গোলাপ টা তো শুধু একটা বাহানা ছিল তাকে ভালোবাসার!

    অথচ গোলাপকে তুচ্ছ করে,
    তার কাঁটা দিয়ে আঘাত করে গেল সে….
    রক্তলাল গোলাপের মতোই
    কিছু আঁচর থেকে ঝরলো কিছু তরল;
    সে ফিরেও দেখল না সেই ক্ষত…
    অথচ আমার ঔষধ হবার কথা ছিল তার!

    লেখক: নুরজাহান তাবাসসুম দিয়া

  • বনলতা সেন

    বনলতা সেন কবিতার প্রথম এই লাইনটি -র সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। কবিতাটি রচিত হয়েছে ‘রূপসী বাংলা-র কবি’ নামে খ্যাত জীবনানন্দ দাশ কতৃক ১৯৩৪ সালে যখন তিনি কলকাতায় বসবাসরত ছিলেন। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৫ সালে ‘কবিতা ’ নামক পত্রিকায়(বুদ্ধদেব গুহ এর সম্পাদক ছিলেন )।

    এটা বাংলা কবিতার মধ্যে অন্যতম চিরস্থায়ী কবিতা, বনলতা সেন এর মধ্যে পৃথিবী -র সর্বোত্তম নারী চরিত্র অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায়। তার চরিত্রের মধ্যে The solitary reaper(Willaiam Shakespeare), Lucy(William Wordsworth), Maria, Phenomenal women(Maya Angelou ) এবং অন্যান্য দের সাথে নিবৃত।শ্বাশত কবি Herman Goering এবং William Butler Yeats এর কবিতা থেকে অনুপ্রানিত বনলতা সেন। সে প্রকাশ করে আশা, অন্ধকারের অতলস্পরসী গহ্বর,ক্ষুদ্র সুখের ভান্ডার নিঃস্নগতার মাঝে। সে মানবতার মুর্তিস্বরূপ, বনলতা যুগ যুগ ধরে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে অধিষ্ঠিত যা romanticism কে জাগায়।

    জীবনানন্দ এর বাকি কবিতার মতো বনলতা সেন ও মুক্ত শ্লোকে রচিত। এই কবিতার অন্যতম মহত্ত্ব এর শব্দ চয়ন, শব্দের মাহাত্ত্ব্যের মাধ্যমে শূন্যতা প্রকাশ করেছে,যা এই কবিতা কে তুলনাহীন করেছে। শব্দগুলো Michelangelo এর আর্ট এর মতো খোঁদায় করা। রূপক, উপমা , বিরোধাভাস, বৈপীরিত্য উল্লেখ কবিতাটিকে অনন্তযৌবনা এবং চিরস্থায়ী করে রেখেছে। কবিতাটির গঠন খুবই সাধারণ আর প্রবাহ উর্বর। এতে তিনটি স্তবক আছে যার প্রত্যেকটিতে ৬ টি করে লাইন আছে।অক্ষেরবৃত্তে চন্দে রচিত।

    ১৯১৯ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বকে যন্ত্রণা সহ্য করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। জীবন ও সম্পত্তির ব্যয়বহুল ক্ষতি বিশ্বকে আলোকিত করে তোলে সুখের পরিচয়। পৃথিবীর বাহ্যিক অস্তিত্বের অন্ধকার প্রেমের ধারণাকে প্ররোচিত করেছিল। কবি সর্বদা প্রতিক্রিয়াশীল এবং সিসমোগ্রাফিক। তিনি নিজের নোটকে বোঝাতে বিশ্বের নোটগুলি নিয়ে যান। জীবনানন্দ সেই সময়ে জীবনের স্ফুলিঙ্গটি অনুভব করছিলেন। এইভাবে পবিত্র প্রেসিডেন্সি কলেজে বাঙালি পড়ানোর সময় তিনি এমন কিছু লেখার মতো জঘন্য কাজ গ্রহণ করেছিলেন যা বাঙালি সমাজে প্রেমের চেতনা জাগিয়ে তুলবে। স্বপ্নে কবি কখনও অনুভব করেন নি যে তাঁর সৃষ্টি এতটা খ্যাতি অর্জন করবে যে এটি সাধারণ মানুষের স্ট্যান্ডের ওপরে উঠবে এবং এমন এক মহিমা তৈরি করবে যা যুবসমাজ ও যুগে যুগে যুবকদের অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলবে। এটি তাকে সময়ের চোখে অমর করে তুলবে। বনলোতা সেন যুগে যুগে কবিদের অনুপ্রাণিত করেছেন। সুনীল গাঙ্গুলির মতো কবিরা নীরার চরিত্রটি লিখেছিলেন, শক্তি চ্যাটার্জির মতো কবি মীরা এবং আরও অনেককে কয়েকজনের নাম লিখেছিলেন। সুতরাং বনলতাকে নতুন ধরণের বাংলা কাব্য রচনার পূর্বসূরী হিসাবে দেখা যেতে পারে।

    হাজার বছর ধরে ………। নাটোরের বনলতা সেন

    কবি একা একা ভ্রমণকারী যিনি হাজার বছর ধরে সময় কাটাচ্ছেন। এটি হাইপারবোলের ব্যবহার যা সাধারণত কোনও নির্দিষ্ট জিনিস বা বিষয়টির গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। তিনি বলেছিলেন যে ভ্রমণের গুরুত্ব বাড়াতে তিনি এক হাজার বছর ভ্রমণ করছেন। প্রকৃতপক্ষে তার অর্থটি বোঝানো যেতে পারে কারণ তিনি সময়ের ভ্রমণে ভ্রমণকারী একজন ভ্রমণকারী।

    তিনি বলেছেন যে তিনি বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করেছেন। তার নাম দেওয়া শহরগুলি হ’ল আধুনিক সময়ের সিংহালা বা শ্রীলঙ্কা, মালে সাগর বা মালায় সমুদ্র যার অর্থ পাহাড়। আধুনিক কালের ভারত মহাসাগর। যার সমুদ্র বেড়িবাঁধাগুলির উপরে মহাসাগর রয়েছে বিশ্বের সাম্রাজ্যের বৃহত্তমতম স্থানে। তিনি বিম্বিসারা ও আশোকার অন্ধকার যুগে ভ্রমণ করেছেন। তিনি এই পৌরাণিক জায়গাগুলির নাম চিত্রিত করেছেন যে তিনি সাম্রাজ্য এবং বিভিন্ন রাজ্যের মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। জীবনের শুভ্র ফ্যাকাশে সমুদ্র তিনি দেখেছিলেন। তবুও তিনি শান্তি পেলেন না। তিনি নাটোরে শান্তি পেয়েছিলেন যেখানে তিনি বনোলোটা সেনের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন।

    চুল তার ……।। কারুকার্য তিনি বলেছেন যে তিনি বিভিন্ন শহরে ভ্রমণ করেছেন। তার নাম দেওয়া শহরগুলি হ’ল আধুনিক সময়ের সিংহালা বা শ্রীলঙ্কা, মালে সাগর বা মালায় সমুদ্র যার অর্থ পাহাড়। আধুনিক কালের ভারত মহাসাগর। যার সমুদ্র বেড়িবাঁধাগুলির উপরে মহাসাগর রয়েছে বিশ্বের সাম্রাজ্যের বৃহত্তমতম স্থানে। তিনি বিম্বিসারা ও আশোকার অন্ধকার যুগে ভ্রমণ করেছেন। তিনি এই পৌরাণিক জায়গাগুলির নাম চিত্রিত করেছেন যে তিনি সাম্রাজ্য এবং বিভিন্ন রাজ্যের মধ্য দিয়ে সময় কাটাচ্ছেন। জীবনের শুভ্র ফ্যাকাশে সমুদ্র তিনি দেখেছিলেন। তবুও তিনি শান্তি পেলেন না। তিনি নাটোরে শান্তি পেয়েছিলেন যেখানে তিনি বনোলোটা সেনের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। কবি নাটোরের নাম উল্লেখ করেছেন কারণ নাটোর ছিল প্রাচীন বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আসন। বিশ্বের যুদ্ধরত অঞ্চলগুলি ভ্রমণ করার পরে তিনি তার মাতৃভূমির কোলে শান্তি পেয়েছিলেন যেখানে একজন মহিলা তার যন্ত্রণাদায়ক আত্মাকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ প্রত্যাশিত বিশ্রাম দেয়। “হাল ভঙ্গে…।নাটোর এর বনলতা সেন” তিনি জাহাজে বিধ্বস্ত নাবিককে বোঝান যিনি ইন্দোনেশিয়ার দারুচিনি দ্বীপের মধ্যে অবলম্বন খুঁজে পান তিনি বলেছিলেন যে তিনি সেই নাবিকের মতো, যিনি নিজের জায়গা থেকে অনেক দূরে। মেয়ে বনোলোটা তাকে সেই রিসোর্ট এবং শান্তি দেয়। তার চোখকে পাখির নীড়ের সাথে তুলনা করা হয়। পাখির নীড়ের চোখের মেয়েটি শান্তি দেয় এবং কবি তার মধ্যে ভালবাসার প্রয়োজনীয় নিরন্তরতার সন্ধান করেন। সমস্ত দিনের শেষে বনলতা সেন পুরো এলাকা ঘুরে দেখার পর তিনি তার স্বদেশে ফিরে যান। শিশিরের ফোঁটা পড়ার সাথে সাথে অন্ধকার নিঃশব্দে চলে আসে। পাখিগুলি বিকাশমান বাসাতে ফিরে আসার সাথে সাথে ’sগলের ডানা থেকে দিনের শ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, এবং নদীগুলি ওয়ার্কফোক দিবসে সমস্ত জল গ্রহণ শেষ করে। সন্ধ্যা আরেকটি যাত্রার প্রস্তুতি করে। কবি অন্ধকারের সাগরে বিশ্রাম নেন। বোনোলোটার জন্য সর্বদা তাকে জটলা করার জন্য তিনি এখন একাকী নন। যে মানুষকে ভালোবাসা হয় না তাই কবি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি প্রাচীন দেশগু

    যে মানুষকে ভালোবাসা হয় না তাই কবি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি প্রাচীন দেশগুলি ঘুরে দেখেন এবং শান্তি পান না। তিনি নাটোরের অনুমানে এসে বনলতা সেনের সঙ্গী হন সেখানে তিনি শান্তি পান। এটি তার কাছে হাজির যে মেয়েটির সৌন্দর্যের মধ্যে; দারুচিনি দ্বীপটি জাহাজে বিধ্বস্ত সৈনিকের জন্য হওয়ায় একটি অবলম্বন রয়েছে। দিনের পরিশ্রমের পরে কবি বনলতায় আসেন এবং এভাবেই প্রেমের কাহিনী পূর্ণ হয়।

    Writer: Liza

  • হ্যালোইনের ইতিবৃত্ত

    হ্যালোইনের ইতিবৃত্ত

    প্রায় দুই হাজার পুর্বে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী কেল্টিক জনগোষ্ঠী অক্টোবরের শেষ দিনটিকে অশুভ মনে করত। তারা বিশ্বাস করত,সমস্ত অতৃপ্ত আত্মা এই রাতে ফিরে আসে।উড়ন্ত ঝাড়ুতে বসে এই অতৃপ্ত আত্মা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। অতৃপ্ত আত্মার মুখোমুখি হলে ক্ষতি হতে পারে এই ভেবে তারা নানারকম মুখোশ, ভয়ংকর সব পোশাকে নিজেদের সজ্জিত করতো। আত্মারা বাড়ির আশেপাশে যেন না ভিড়তে পারে সে জন্য সারা রাত আগুন বা বাতি জালিয়ে রাখতো। ধীরে ধীরে এই বিশ্বাস উৎসবে রূপ নেয় যা হ্যালোইন উৎসব নামে সারাবিশ্বে এখন পরিচিত। এই উৎসবের মূল আকর্ষণ, মিষ্টিকুমড়োকে বিভিন্ন আকৃতিতে কেটে তাতে জ্যাক লাইট জ্বালানো। আইরিশ পৌর নিকে আছে, স্টিঙ্গি জ্যাক নামে এক ব্যাক্তি অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য দেবতাদের সাথে প্রতারণা করার পরিনতি হিসেবে না স্বর্গ না নরকে স্থান পায়।জ্যাকের অতৃপ্ত আত্মা স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝাখানে অন্ততকাল ঘুরে বেড়াতে থাকবে, এই ছিলো তার শাস্তি। পরবর্তীতে এই জ্যাকের নামানুসারে হ্যালোইন রাতে জালিয়ে রাখা বাতির নাম হয়ে যায় জ্যাক লাইট। কালের বিবর্তনে হ্যালোইন বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে,যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। কেনাকাটা, উপহার বিতরণ, আলোকসজ্জা, ভৌতিক সাজে সজ্জিত হওয়া, ট্রিক অর ট্রিট খেলা, পার্টি করা হাল আমলের হ্যালোইনের মূল আকর্ষণ।

    Writer: Shirin Nila
  • শেষ চিঠি

    শেষ চিঠি

    শেষ চিঠি

    শেষ চিঠির ঠিকানা যদি,
    ডাকবাক্সেই আটকে থাকতো।
    তবে সেই কবুতর
    কার খোঁজ নিয়ে আসতো।
    আমি তো সকালের খবরের পাতায়,
    তোমার মৃত্যুর খবর পড়তে চাইনি।

    সুক্তা 🖌️

  • সত্যজিৎ রায় এবং অপু ত্রয়ী

    সত্যজিৎ রায় এবং অপু ত্রয়ী

    সত্যজিৎ রায় এবং অপু ত্রয়ী

    বাংলা সিনেমার কথা শুনলেই যে মহা পুরুষের কথা সর্বপ্রথম মাথায় আসবে তিনি হলেন সত্যজিৎ রায়। যার হাত ধরেই বাংলা সিনেমা পেয়েছিলো অন্য রুপ। অপু ত্রয়ী বা অপু ট্রিলজি। পথের পাঁচালি, অপরাজিত এবং অপুর সংসার এই তিনটি বাংলা চলচ্চিত্র একত্রে অপু ত্রয়ী বা ট্রিলজি হিসেবে পরিচিত। তিনটি চলচ্চিত্রই তৈরী করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের মহাপুরুষ সত্যজীত রায়। এরমধ্যে পথের পাঁচালি সত্যজিৎ রায়ের তৈরী প্রথম সিনেমা। পথের পাঁচালীতে উঠে এসেছে বাংলার গ্রামের এক নিন্মবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের দিনলিপি এবং সংগ্রাম । কিশোরী দূর্গার চাওয়াপাওয়া,চঞ্চলতা বেদনা। এরইমাঝে সেই পরিবারে জন্ম নেয়া শিশু অপুর বেড়ে উঠা। অপরাজিততে অপুর কৈশোর কাল এবং যৌবনকালের সংগ্রাম ফুটে উঠেছে। অপু ট্রিলজির শেষ পর্ব হলো অপুর সংসার। যে সিনেমায় অপুর জীবনে প্রেম আসে,বিরহ আসে। অপু নিজেই একজন সন্তানের পিতা হিসেবে আবিষ্কৃত হয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী ট্রিলজির প্রথম দুটি অংশ। তিনটি সিনেমারই চিত্রনাট্য,প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেন সত্যজীত রায়। চিত্রগ্রাহক ছিলেন সুব্রত মিত্র এবং সম্পাদনা করেন দুলাল দত্ত। সিনামাগুলোতে সুর করেছিলেন রবিশংকর। মূখ্য ভুমিকাগুলোতে অভিনয় করেছিলেন কানু বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,চুনিবালা দেবী, সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় , উমা দাশগুপ্ত এবং শর্মিলা ঠাকুর। অপু ট্রিলজির প্রথম সিনেমা ‘পথের পাঁচালির জন্য সত্যজিৎ রায় পান অস্কার এবং ১৯৫৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ‘হিউম্যান ডকুমেন্ট প্রাইজ’ জিতে নেয়। এই তিনটি সিনেমা বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে যুগের পর যুগ।

    Writer: প্রজ্ঞা আহম্মদ জ্যোতি
  • ব্যাকস্পেস

    ব্যাকস্পেস

    ব্যাকস্পেস

    পাতায় পাতায় গড়ে ওঠা,
    জীবন নামক বইটাতে,
    কিছু অধ্যায় যদি,
    ব্যাকস্পেস দিয়ে কাঁটা যেত।
    তবে জীবন নামক বইটির সমাপ্তিটা,
    আরো সুন্দর হতো।

    সুক্তা 🖌️

    Writer: Sukta Rani Sheel

  • ইশ্বরের সাথে কথোপকথন

    শাওন মল্লিক

    কাব্যগ্রন্থ অবান্তর নীলা

    ইশ্বর তুমি নিশ্চিহ্ন করে আমায়…
    দিয়ে দাও সুখ তাকে….
    অকথ্য যন্ত্রণা মেশাও আমার শিরায় শিরায়….
    দিয়ে দাও সে দগদগে ক্ষত আমায়…
    নরকের কীটপতঙ্গ এর মতো…
    জ্বালিয়ে দাও আমার শরীর….
    আধমরা দীপশিখার মতো
    জ্বালিয়ে রাখো আমায়….
    তবুও তাকে দিয়ে দাও সুখ স্বর্গলাভ….
    সে যে বড্ড পবিত্র আত্মা….
    অমরত্বের নরকে প্রতিষ্ঠা করে দাও আমায়
    সমস্ত বিভৎসতা দিয়ে দাও আমায়….
    খিলখিল হাসিতে বিলীন করে দাও
    তবুও অশ্রুসিক্ত চোখ দিয়ো না তাকে…
    আমার আমিকে খুন করে দাও….
    আমার মাঝে সৃষ্টি করে দাও অসুরত্ব…..
    হে ইশ্বর মিনতি করি তোমায়…
    তুমি নিশ্চিহ্ন করে আমায়…
    দিয়ে দাও সুখ তাকে….

  • আদা ফুল

    আদা ফুল

    আদা ফুল আমাদের দেশের পার্বত্য গ্রামে বহূল পরিচিত ও ব্যবহৃত একটি ফুল । এটিকে আদা ফুল নামে সবাই চেনে ।

    এর বৈঞ্জানিক নামAlpinia Purpurata.

    প্রাপ্তিস্থানঃ

    আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও পাহাড়ি উচু জমিতে বানিজ্যিকভাবে আদা চাষ করা হয় । এছাড়া এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এর বহুল চাষ হয় । আমাদের দেশে আশ্বিন-কার্তিক মাসে আদা গাছে ফুল আসে । ফুল একটু বড় হলে তা সংগ্রহ করে বাজার জাত করা হয় ।

    ব্যবহারঃ

    আদার পাশাপাশি এই ফুলও মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় । মাছের তরকারি রান্না করতে এই ফুল ব্যবহার করা হয়ে থাকে । আবার মরিচের সস/সালাদেও ব্যবহার করা হয় । শুঁটকি ও আদা ফুল একসাথে ভর্তা করে খাওয়া হয় । পার্বত্য এলাকায় উপজাতিরা নাপ্তি বা সিদল সহযোগে ভর্তা করে খেয়ে থাকে ।

    উপকারিতাঃ

    ১। জ্বর, ঠান্ডা লাগা, ব্যাথ্যায় আদা ও আদা ফুল বিশেষ উপকারী ।

    ২। অতিরিক্ত ওজন ঝড়াতে আদা ফুল সাহায্য করে ।

    ৩। বদ হজম , পেট ফাঁপা ইত্যাদির উপসম পাওয়া যায় ।

    writer: Mukta Akter