একবার দুবার বারবার চুমু খেতে থাকে ওকে। চুমু খাওয়ার যেন নেশা ধরে গেছে। আজ প্রায় তিনমাস ওর দেখা নেই। কোথায় গিয়েছিল তাও জানায়নি। মোবাইলও সর্বদা সুইচ অফ। এই তিনমাস শুধু খাওয়া দাওয়া ছেড়ে রাত জেগে দুশ্চিন্তায় কী কষ্টে কেটেছে দীনেশের তা কাকেই বা বোঝাবে !
যার কথা বলছি সে তো দীনেশের প্রেমিকা উৎসা। আঠারো অতিক্রম করে সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে। দীনেশের পড়ার রুমে তার অবাধ যাতায়াত। এটা লিখে দিতে হবে। ওটা করে দিতে হবে। কী করে আবৃত্তি করে দেখিয়ে দাও — প্রতিদিন কতই না আবদার। আর এই করে করেই তাদের স্বপ্নের বাগানে অনেক গোলাপ ফুল ফুটে গেছে।
উৎসার লাল ঠোঁট চুমুতে চুমুতে শিশির সিক্ত গোলাপ।
— এতদিন কোথায় গিয়েছিলে !
উৎসা নিরুত্তর ।শাস্তি স্বরূপ আরও চুমু।
— মোবাইল সুইচ অফ কেন ?
উৎসা নিরুত্তর। শাস্তি স্বরূপ আরও চুমু।
— আমার কথা মনে পড়েনি ?
উৎসা নিরুত্তর। শাস্তি স্বরূপ আরও চুমু।
এবার ওর চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরতে থাকে। ফোঁটা ফোঁটা ঝরে পড়ে দীনেশের কোলে।
দীনেশ জানতে চায় , কাঁদছ কেন ?
এবার আরও বাঁধ ভাঙা কান্না নেমে আসে। উৎসা দীর্ঘশ্বাস ফেলে থেমে থেমে বলে, আজ একটা কথা বলতে এসেছি। আগামী দশই ফাল্গুন আমার বিয়ে। বাবাকে কিছুতেই বোঝাতে পারলাম না !…
কথাটা বলতে বলতেই ওর ঠোঁট কাঁপল। দীনেশেরও কথা হারিয়ে গেল ।
Writer: তৈমুর খান