Your task is not to seek for love, but merely to seek and find all the barriers within yourself that you have built against it.

রহস্যময়ী লজ্জাবতী গাছের অবাক করা উপকারিতা

লজ্জাবতী গাছ অন্যান গাছ থেকে একটু আলাদা । গাছটির নামের সাথে তার আচরনে অতুলনিয় মিল রয়েছে । হাত ও পায়ের স্পর্শে লজ্জ্বাবতীর পাতা বুঁজে এসে বন্ধ হয়ে যায়। লজ্জাবতী গাছটিকে আবার কেউ কেউ লাজুক লতা ও বলে থাকে। লজ্জাবতী গাছটির অনেক অবাক করা ঔষধি গুণ রয়েছে।

প্রাপ্তি স্থানঃ

আমাদের বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানে এই গাছটি দেখা যায়। এই গাছটিকে সচরাচর রাস্তার পাশে ,নদীর পাশে দেখা যায়। এই গাছটি গ্রাম অঞ্চলে একটি অবহেলিত গাছ। লজ্জাবতী গাছটিকে আবার কিছু কিছু স্থানে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে।

উপকারীতাঃ

  • হাত-পা জ্বালা
  • অর্শ্ব, রক্তপিত্ত
  • যোনির ক্ষত
  • নাড়ি সরে আসায়
  • আঁধারযোনি ক্ষতে
  • আমাশয়
  • দমকা ভেদ
  • মল কাঠিন্যে
  • দাঁতের মাড়ি ক্ষতে
  • বগলে দুর্গন্ধ
  • কানের পুঁজে, গ্রন্থিবাত, কুজ্জতা বিভিন্ন রোগে লজ্জাবতী বেশ উপকারী।

ব্যবহারবিধিঃ

  • হাত-পা জ্বালা নিরাময়েঃ হাত-পা জ্বালার সঙ্গে শরীরে জ্বর থাকে। এ ক্ষেত্রে লজ্জাবতীর গাছ মূল পাতা ১০ গ্রাম ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সেবন করলে উপকারে লাগে।
  • অর্শ্ব রোগঃ এক্ষেত্রে গাছে ও মূলে ১০ গ্রাম আন্দাজ এক কাপ দুধ ও তিন কাপ পানি এক সঙ্গে মিশিয়ে একত্রে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে প্রত্যেক দিন সকাল-বিকেল দু’বার খেতে হবে। ছাগলের দুধ হলে ভাল হবে।
  • ঘামের দুর্গন্ধ দূরেঃ অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং পোশাকে হলদে দাগ লাগে। এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মাখতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দূর হবে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্যঃ এক্ষেত্রে মূল ৭ /৮ গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং ছেঁকে ঐ পানিটা খেতে হবে। তাহলে উপকার হবে।
  • আমাশয়ঃ লজ্জাবতীর ডাঁটা পাতা মিলিয়ে ১০ গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে খেতে হবে। আর যাদের আমযুক্ত গাঁজলা দাস্ত হয়, তারা শুধু পাঁচ বা ছয় গ্রাম সিদ্ধ করে ছেঁকে ওই পানি খেলে উপকার পাবেন।

Writer: Mukta Akter

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply