দারুচিনি হলো এক প্রকার মশলা ও এটকি অর্থকরি ফসল। এই দারুচিনির অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। এটি মূলত হলো গাছের বাকল যা অত্যন্ত সুগন্ধিময় ও ঝাঁজালো। বিভিন্ন দেশের খাবারে এই মসলা সুগন্ধির ও স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দারুচিনির অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই দারুচিনিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা অনেক রোগ প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। এত আরো রয়েছেঃ
• কার্বোহাইড্রট
• ফাইবার
• ভিটামিন-কে
• ক্যালসিউম
• ম্যাগনেসিউম
• পটেসিউম
• ভিটামিন-এ
• মাংগানিজ
দারুচিনি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। এটি কি কি উপকারে আসে সেটি সম্পর্কে জানা যাকঃ
I. ব্যাথা নিরাময়ঃ
আমরা অনেক সময়ই ব্যাথা নিরামক ঔষধ সেবন করে থাকি। কিন্তু প্রায়ই দারুচিনি সেবন করলে তা আমাদের শরীরকে অনেক প্রকার ব্যাথা থেকে নিস্তার প্রদান করে। ঔষধ যতই নিরাময় প্রদান করুক না কেন তা কম খাওয়াই ভালো। তাই শরীরের বিভিন্ন ব্যাথা থেকে নিস্তার পেতে দারুচিনি খাওয়া উচিত।
II. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণঃ
আমাদের বর্তমানের জীবনের চাল – চলন ও খাওয়া — দাওয়ার কারনে আমাদের অনেক প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হয়, সাথে অনেক প্রকার রোগও।ডায়াবেটিস বর্তমানে একটি অনেক বড় রোগ ভাবা হয়। কারন এই রোগ প্রথম পর্যায়ে কোনো সমস্যা মনে ন হলেও এটি অনেক বড় সমস্যা হয়ো দাড়ায় সময় পার হতে হতে। দারুচিনিতে থাকা এন্টি এক্সিডেন্ট ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারি। দারুচিনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও শরীরে শর্রকরার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি ডায়বেটিস রোগীদের প্রায়ই খাওয়া উচিত।
III. সর্দি– কাশি ও মাথা ব্যাথা নিরাময়ঃ
মাথা ব্যাথা নিরাময়ে ও সর্দি কাশি নিরাময়ে দারুচিনির কমতি নেই। দারুচিনির চা বানিয়ে খেলে উপকার দেয় । দারুচিনিতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রবিয়াল এইসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
IV. মস্তিষ্কের চাপ কমায়ঃ
মস্তিষ্কের জন্য এটি টনিকের মত কাজ করে থাকে। মস্তিষ্ক যখন বিভিন্ন চাপে থাকে তখন দারুচিনির এক কাপ চা বানিয়ে খেলে তা মস্তিষ্ককে ফ্রেশ করে।
V. কোলেস্টোরল কমায়ঃ
দারুচিনি কোলেস্টোরল কমায়। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন রোগ হতে মুক্তি পাওয়া যায়। হার্টের সমস্যা থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়।
VI. হাড় মজবুত করেঃ
বয়স যতই বাড়তে থাকে মানুষের শারীরিক সমস্যা ততই বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়লে মানুষের হাড়ে সমস্যা দেখা দেয়। দারুচিনি হাড় মজবুত করে, যার ফলে হাড়ের ব্যাথার সমস্যা দূর হয়।
VII. ওজন কমায়ঃ
আমাদের বর্তমানের জীবন ব্যবস্থার ফলে আমাদের চাল – চলনের কারনে শরীরের দিকে অনেকেই অবহেলা করে। কাজের ব্যস্ততার কারনে ব্যায়াম না করার ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমতে থাকে। এর ফলে শরীরের ঔজন রাড়তে থাকে। দারুচিনি খাওয়ারে রাখলে তা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
VIII. সুস্থতা বাড়ায়ঃ
দারুচিনি আমাদের শরীরের অনেক রোগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি হজম শক্তিও বাড়ায় ও বিভিন্ন পেটের সমস্যাও দূর করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরে ফূর্তি থাকে এবং রোগ থেকে নিস্তার পোয় বলে মানুষের দীর্ঘ জীবনও হয়।
Writer: মারজান আক্তার