অন্ধকার আমার বড় বেশি প্রিয়,
দুহাতে ছোঁয়া তোমার অবয়ব টুকু,
নিমিষেই কাঁঠাল চাপার তীব্র ঘ্রান হয়ে
গলে গলে মিশে যায় সারা ঘর জুড়ে।
গায়ে, একটা সোদা গন্ধ আমি পাই
কচি ধানের প্রথম সুবাস আর প্রথম ছোঁয়া,
ডিসেম্বরের ভোরে নদীর কনকনে পানিতে পা
শিরশির গা কাপানো কিছু একটা
পায়ের নখ থেকে চুলের জটা পর্যন্ত, সেতো প্রথম আলিঙ্গন।
একি ঠিক আলিঙ্গন!
শব্দ পাই,আমার পাজরের এক কি দুটো হাড়,
মড়মড় করে গুড়িয়ে চুরচুর হয়ে বাতাসে হেসে হেসে ভাসে।
আমার পিঠ জুড়ে লালচে গভীর নকশা আকে।
হয়তো সে নিজেকে পিকাসো বা ভ্যান গগ ভাবে।
এরই মাঝে,
একটানা বৃষ্টির পুরাতন ক্ষয়ে যাওয়া সুর
আদিম মাদকতার ঘুংগুর বাজায়,
ইসসস,,,আমি যে মরেই যাই,,,আঁজলা ভরা সুখ
পরক্ষণেই নৃত্যের মুদ্রায় মগ্নচৈতন্য হারা।
রাতের গর্ভে বিলীন হয় সব অসুখী মানব-মানবী
চাঁদ শুধু নিরব সাক্ষী রয় সব পাপ আর অপাপের।
Writer: Meghna