You will learn by reading But you will understand with love.

অভিনেতা Leonardo DiCaprio পছন্দের ১০টি মুভি

তিনি আমার সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা।এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সফল অভিনেতাদের একজন তিনি। যার গুডলুকিং, ব্যতিক্রম স্ক্রিপ্ট চয়েজ,ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করা, দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতার কারনে বিশ্বজুড়ে ভক্ত অনুরাগীর কমতি নেই। তিনি স্ক্রিনে থাকা মানেই দারুন কিছু। শুধু তার দিকে তাকিয়ে থেকেই মুভির রান টাইম শেষ করে ফেলা যায়। এক কথায় তাকে দেখে আমি কখনো ক্লান্ত হই না। কি করে পারেন তিনি এত নিখুঁত অভিনয় করতে! বারবার অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করার ক্ষমতা তাঁর একটু বেশিই আছে।
মার্টিন স্করসেসি, জেমস ক্যামেরন, রিডলি স্কট, স্টিভেন স্পিলবার্গ, ক্রিস্টোফার নোলান, কুয়েন্টিন টারেন্টিনোর মতো বিখ্যাত নির্মাতারা তো আজকাল স্ক্রিপ্ট লেখেন তার নাম মাথায় রেখে।
আর অপরদিকে তাঁর ভক্তরা তার নতুন একটি সিনেমার জন্য অতি আগ্রহ নিয়ে বছরজুড়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এতগুলো কথা বলছিলাম যাকে নিয়ে তিনি আমার অত্যন্ত প্রিয় অভিনেতা Leonardo DiCaprio. যে নামটিই যথেষ্ট একটি মুভি দেখার জন্য।
আমার মনে হয় এই নামের চেয়ে মানুষ তাকে “টাইটানিক হিরো” বা “জ্যাক” নামেই বেশি চিনে। ১৯৯৭ সালে রিলিজপ্রাপ্ত বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা সিনেমা “টাইটানিক” দেখে নি এমন মানুষ খুব কম-ই পাওয়া যাবে। জ্যাকের চরিত্রটি আজও গেঁথে আছে মানুষের মনে। তবে এই মুভি রিলিজের আগে এবং এখন পর্যন্ত তিনি তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স দিয়েছেন বারবার।
যদিও তাঁর প্রত্যেকটি মুভি মাস্ট ওয়াচ এবং সেরা। তাই নির্দিষ্ট কয়েকটি বাছাই করা অসম্ভব। তারপরও তাঁর সেরা অভিনয় সম্পর্কিত আমার পছন্দের ১০টি মুভি সম্পর্কে বলবো আজ-
🟢 ১০. Revolutionary Road (2008)
এই মুভিটি যারা দেখেছে তাদের মধ্যে সবারই হয়তো মুভিটি মোটামুটি-র তালিকায় আছে। কিন্তু অভিনয় প্রসঙ্গে আসলে লিওর সেরা পারফরম্যান্সের একটি মানতেই হবে। একজন মধ্যবিত্ত, ডিপ্রেসড হাজবেন্ডের চরিত্রে তার অভিনয় যে এতটা অসাধারণ হবে আমি দেখার আগে ভাবতেই পারি নি। পাশাপাশি জুটি বেধেছিলেন আরেকজন সেরা অভিনেত্রী Kate winslet. দুই জনের অভিনয় দেখার জন্য হলেও এই মুভিটি দেখা উচিত।
🔵 ৯. The Basketball Diaries (1995)
হাই স্কুল পড়ুয়া ছেলেটির হঠাৎই ড্রাগের নেশায় পড়ে যাওয়া। বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া একজন কিশোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন লিও। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি এডিক্টেড চরিত্রটি এত বাস্তবিক ভাবে তুলে ধরেছেন যা সত্যিই প্রসংশনীয়।
🟢 ৮. Titanic (1997)
এই মুভি সম্পর্কে আর বিশেষ কিছু বলার প্রয়োজন নেই। জ্যাক এর লাইফ জ্যাকেট না পড়ার আক্ষেপ বোধহয় আমার কখনোই শেষ হবে না!
🔵 ৭. Catch Me if You Can (2002)
স্টিভেন স্পিলবার্গ, টম হ্যাংকস,ডিক্যাপ্রিও একসাথে! ভাবা যায়?!
সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ক্রাইম জনরার এই মুভিটি সবার জন্য মাস্টওয়াচ। দেখুন চোর – পুলিশের রেস কাকে বলে!
🟢 ৬.Inception (2010)
পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান এবং ডিক্যাপ্রিও ডুয়োর সাই-ফাই জনরার অসাধারণ একটি মুভি। দেখুন এবং স্বপ্নে ডুবে থাকুন!
🔵 ৫.Django Unchained (2012)
ওয়েস্টার্ন ধাচের এই মুভিতে নেগেটিভ রোলে অভিনয় করেছেন লিও। রোমান্টিক, অ্যাকশন বাদেও তিনি নেগেটিভ রোলে কতটা নিখুঁত সেটা এই মুভি দেখলেই বুঝতে পারবেন। তাঁর এই চরিত্রের প্রতি ঘৃনা চলে আসবে। আর এখানেই তার সার্থকতা।
🟢 ৪. Shutter Island (2010)
থ্রিলার জনরার এই মুভিটি সকল মুভি লাভারসদের অতি প্রিয় একটি মুভি। গল্প, টুইষ্ট, লিওর অনবদ্য অভিনয় এবং স্করসেসির অসাধারণ ডিরেকশনের জন্য মুভিটি মাস্টওয়াচ একটি মুভি।
🔵 ৩. Blood Diamond (2006)
এই মুভির জন্য অস্কার না পাওয়ার আফসোস হয়তো লিওর চেয়ে বেশি তাঁর ভক্তদের। এত সুন্দর একটি মুভি! এত অসাধারণ স্টোরি! প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। ড্যানি আর্চার চরিত্রটির কথা সিনেমাপ্রেমীদের মনে থাকবে সবসময়।
🟢 ২. The Wolf of Wall Street (2013)
এটি এমন একটি মুভি যার কোনো না কোনো ছবি প্রতিদিন অনলাইনে ঢুকলেই পাওয়া যায়। তাঁর একেকটি এক্সপেশন ছিলো দুর্দান্ত। লিওর পরিবর্তে অন্য কাউকে এই মুভিতে ভাবাই যায় না।
🔵১. What’s Eating Gilbert Grape (1993)
লিওর বয়স তখন মাত্র ১৯। কিন্তু তিনি যা করে দেখিয়েছেন এই মুভিতে জাস্ট অনবদ্য। রীতিমত মুগ্ধ করে ছেড়েছেন সবাইকে। অটিস্টিক চরিত্রে অনেক অভিনয় দেখেছি কিন্তু এত অল্প বয়সে একজন আর্টিস্টের এমন বাস্তব অভিনয় আমি দেখি নি। অস্কার নমিনেশন তখন থেকেই শুরু। মাস্টওয়াচ, মাস্টওয়াচ।
🔴 The Revenant (2015)
আলাদা ভাবে মেনশন করছি এটি। কারন এই মুভির জন্যই প্রথমবারের মত অস্কার লাভ করে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। অভিনয়ে তাঁর ডেডিকেশন ছিলো চোখে পড়ার মত।
খুব ই প্রিয় একটি মুভি এটি।
◾Honorable Mention —
The Departed (2006)
Once upon a time in…Hollywood (2019)
The Great Gatsby (2013)
The Aviator (2004)
Romeo+Juliet (1996)
Gangs of New York (2002)
This Boy’s Life (1993)
Body of Lies (2008)
J. Edgar (2011)
The Beach (2000)
প্রিয় অভিনেতা প্রসঙ্গে লেখার ইচ্ছে ছিলো খুব। কিন্তু পোস্ট বেশ বড় হয়ে গেছে। ধৈর্য নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।
হ্যাপি ওয়াচিং

Writer: মুনিয়া মনি(মুভি অ্যান্ড সিরিজ অ্যাডিক্টেড)

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply