The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched – they must be felt with the heart

— Helen Keller

বাদাম( Nuts)

আমরা প্রত্যেকদিন অনেকেই বাদাম খেয়ে থাকি। বাদাম অনেক প্রকার আছে। সব ধরনের বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। উচ্চমাত্রায় আমিষ ও আঁশ রয়েছে বাদামে। স্নেহজাতীয় পদার্থও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই স্নেহজাতীয় উপাদানের বেশির ভাগই প্রয়োজনীয় ও উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। কিছু খনিজ পদার্থও থাকে বাদামে, আরও আছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেশিয়াম। ভিটামিন ই ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। ত্বকে বয়সের ছাপ কমিয়ে আনতেও সাহায্য করবে বাদাম। রোগ প্রতিরোধে ম্যাগনেশিয়ামের ভূমিকা আছে। বাদামে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলির পরিমাণ খুব বেশি, যা মানুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক।

বাদামের প্রকারভেদ :
বাদাম অনেক প্রকার রয়েছে । সকল প্রকার বাদাম এর আলাদা আলাদা উপকার রয়েছে। বাদামের প্রকারভেদ হলোঃ
I. চীনা বাদাম
II. কাজুবাদাম
III. পেস্তাবাদাম
IV. কাঠ বাদাম
V. আখরোট
চীনা বাদাম(Peanuts):

সববয়সের মানুষের জন্য চিনা বাদাম স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এটি শরীরের অনেক উপকার করতে সক্ষম। এটি পুষ্টি গুণসম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে খেতেও বেশ দারুণ। হার্টের রোগী, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এই বাদাম অনেক উপকারি। এটি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ বি৩ আছে যেটি মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতৃ করে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কাঠ বাদাম ( Almonds) :

এই বাদাম পৃথিবীতে ভালো জনপ্রিয়।অনেকে মনে করেন, কাঠবাদাম চর্বিতে পূর্ণ একটি খাবার এবং এটি ওজন বাড়িয়ে দেয় কিন্তু এমন ধারণা সঠিক নয়। কাঠবাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য অত্যন্ত চমৎকার একটি খাবার।
এই বাদাম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি চুল ও ত্বকের জন্য ভালো। কাঠবাদামের রয়েছে অগণিত উপকারিতা। এই বাদাম শীররে শক্তি বাড়ায়, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমায়, কাঠবাদামে থাকা ফসফরাস, মিনারেল ও ভিটামিন হাড়কে সুরক্ষা দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক, ডায়বেটিসের জন্য উপকারী।
কাজুবাদাম( cashew):

কাজুবাদামের উপকারিতা অনেক। এতে আছে প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের উপকার করে।কাজুবাদামে ভিটামিনের পরিমান অনেক বেশি। কাজুবাদাম দেখতে অনেকটা কিডনির মতো। নিয়মিত যদি কাজু বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে নান পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর হয়, সেই সঙ্গে আরও কিছু উপকার পাওয়া যায়। এই বাদামে থাকা জিঙ্কের কারনে শরীর ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়। ব্লাত প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের জন্য উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য উপকারী, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পেস্তা বাদাম (pistachio):

পেস্তা বাদামের রঙ সুস্বাদ, মনোরম হাল্কা গন্ধের জন্য এটি অধিক জনপ্রিয় এবং যার কারণে এই বাদাম অন্য বাদামের তুলনায় এই বাদাম অনেক দামী। পরিমিত পরিমাণে পেস্তা বাদাম খেলে এর মতো উপকারী ড্রাই ফুড আর নেই । এই বাদামে আছে শর্করা, স্নেহ, প্রোটিন, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৪ আরও অনেক ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। পেস্তাবাদাম কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।শরীরে গ্লুকোজের পরিমান ঠিক রাখতে সাহায্য করে।শরীরের দুর্বলতা দূর করে। চোখ, লিভারের জন্য ও এর উপকারিতা অনন্য।
আখরোট(Walnuts):

আখরোট এমন এক প্রকার বাদাম যার মধ্যে পুষ্টিগুণ রয়েছে ভরপুর। শরীরের হাজারও সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। আখরোটের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা শরীরের জন্য উপকারী, যা আমাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।এই বাদামে শর্করা, স্নেহ, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। আখরোট ওজন কমাতে সাহায্য করে, ত্বক উজ্জ্বল করে, হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

বাদামের অপকারিতাঃ
বাদামের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও পরিমানের বেশি বাদাম খেয়ে পেললে তার কিছু পার্শ্বপতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেগুলো হলোঃ
I. অতিরিক্ত বাদাম খেলে তা ওজন বাড়ায়।
II. গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়।
III. অ্যার্লাজির সমস্যা হতে পারে।
পরিমানের বেশি কোনো কিছুই খাওয়া উচিত না। বাদামও যদি পরিমান মতো খাওয়া হয় তাহলে এর উপকারিতার কমতি নেই।
“Nothing extra is good, but trying to do something good is good”.

Writer: মারজান আক্তার

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply