বিশ্বাসীদের বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের যৌন অঙ্গকে সাবধানে সংয্ত রাখে, এটিই তাদের জন্য উত্তম৷ -24:30

— পবিত্র কোরআন

Web Series: His Dark Materials

Web Series: His Dark Materials
IMDb: 7.9/10
স্পয়লার_এলার্ট
পুলম্যানের উপন্যাস অবিলম্বনে নির্মাণ করা হয়া হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়ালস।
আমাদের পৃথিবীর মতোই ঠিক অন্য একটা পৃথিবী দেখানো হয়েছে, এই পৃথিবীতে মানুষদের জন্মের সময় নেয় তাদের ডিমন।ডিমন গুলো প্রাণী রূপে জন্ম নেয় যেমন,সাপ,ইঁদুর, ইত্যাদি। ডিমন হচ্ছে এই মানুষদের সল,ডিমন গুলো মানুষের মতোই কথা বলতে পারে,ডিমন গুলোকে মেরে ফেললে মানুষটাও মারা যাবে এবং মানুষকে মারলে সাথে তার ডিমন ও মারা যাবে।একে অপরের পরিপূরক।
এই পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে ম্যাজেস্টেরিয়াম নামক এক প্রভাবশালী দল,এই জায়গায় সবটা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলে উত্তর মেরু ম্যাজেস্টেরিয়ামের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।উত্তর মেরু নিয়ন্ত্রণ করে উইচ এবং রণসজ্জিত এক ভালুকের দল।
** গল্পের শুরু হয় লাইরা নামের এক ছোট্ট মেয়েকে দিয়ে যার বাপ-মা না থাকার কারণে ছোট থেকে সে জর্ডাম কলেজে বড় হয়।তার আংকেল সবসময়ই উত্তর মেরুতে যায় এইজন্য উত্তর মেরুতে যাওয়ার জন্যে তার আগ্রহ জাগে।একই সময় লাইরার এলাকাতে বেশ কিছু শিশু এবং লাইরার বেষ্ট ফ্রেন্ড রজার উধাও হয়ে যায়।
কলেজ থেকে লাইরা কে নেওয়ার জন্যে এক মহিলা আসে,যার সাথে মিশে, কথাবার্তা বলে মহিলাকে লাইরার কাছে ভালো লাগে এবং মহিলাটা লাইরা কে আশা দিয়ে রাখে, এইখান থেকে গেলে সে সহও তার ফ্রেন্ড রজার কে খুঁজে দিবে।কলেজের টিচার লাইরার হাতে এলথিওমিটার দিয়ে বলে এইটা যেন তার বাবার হাতে পৌছে দেয়।এলথিওমিটার হচ্ছে যা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারে,কখন কি করতে হবে,কি করা উচিত। লাইরার ফ্রেন্ডকে খুঁজে বের করতে গিয়ে নতুন সব চমক আশা শুরু করে সিরিজে,মোড়ে মোড়ে টুইস্ট ছিলো, একসময় সে জানতে পারে তার মা-বাবা এখনো বেচে আছে।
** সিরিজের যে ক্যারেক্টার নিয়ে এত্ত কাহিনী সে হচ্ছে লর্ড এজরিয়েল,এজরিয়েল ডাস্ট এবং নর্থ নিয়ে গবেষণা করে এবং সে বিশ্বাস করে তাদের পৃথিবী ছাড়াও একের অধিক পৃথিবী আছে। এই পুরো ব্যাপারটা ম্যাজেস্টিরাম জানলে সবার থেকে হাইড করে রাখে।এজরিয়েল গবেষণা করে আরও একটি প্যারালাল ইউনিভার্স খুঁজে পায়,প্রমাণ গুলো ম্যাজেস্টিরামকের নিকট নিয়ে গেলে তারা উলটো এজরিয়েল কে বন্ধি করার চেষ্টা করে।তাকে বন্ধি করবে বলে সে লাইরা কে পেলে উত্তরে চলে যায়,অইখানে গিয়ে ভালুকের দল এজরিয়েলকে আটকে রাখে।এজরিয়েলের নিকট এলথিওমিটার
পৌছে দেওয়ার জন্যে রণ সজ্জিত ভালুকের হাত থেকে এজরিয়েল কে লাইরা রক্ষা করে। এজরিয়েল সেখানে রজার কে হত্যা করে এক প্যারালাল ইউনিভার্স সৃষ্টি করে।
** মিসেস কোল্টার: কোল্টার হচ্ছে ম্যাজেস্টিরাম দলের লোক,এজরিয়েল প্ল্যান ভেস্তে দেওয়া,ছোট শিশুদের এনে তাদের থেকে ডিমন আলাদা করে এতে অনেক শিশু মারা যায়।
** উইল: সিরিজের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টার, উইল হচ্ছে অন্য এক জগতের মানুষ,ঠিক আমাদের মতোই এই জগতে কোন ডিমন নেই।জন্মলগ্ন থেকে উইল তার বাবাকে দেখে নাই, উইলের বাবার লেখা কিছু চিঠি সংগ্রহ করার জন্যে ম্যাজেস্টেরিয়ামরা তাদের জগত থেকে উইলের জগতে এসে উইল এবং তার মায়ের উপর নজর রাখতে শুরু করে।উইল এই লোকদের থেকে পালানোর সময় এক বিড়ালের পিছু নিতে গিয়ে সে এজরিয়েলের বানানো জগতে চলে যায়। যে জগতে এজরিয়েল কে অনুসরণ করে লাইরাও চলে আসে এবং এইখানে সাক্ষাৎ মিলে উইলের সাথে।
লাইরার কাজ হচ্ছে ডাস্ট সম্পর্কে জানা,উইলের কাজ হচ্ছে তার বাবা খুজে বের করা এবং এলথিওমিটার ও একই কথা বলে।ডাস্ট সম্পর্কে জানতে গিয়ে লাইরার ম্যাজেস্টেরিমাদের নিকট তার এলথিওমিটার হারিয়ে আসে।এলথিওমিটার রক্ষা করার জন্যে তাদের শর্ত দেওয়া হয় যে, এজরিয়েলের জগতে একটা চুরি আছে অইটা এনে দেওয়ার জন্যে।শেষ তারা চুরি, এলথিওমিটার সবে সংগ্রহ করে।এদিকে উইলের বাবা চুরির বাহকে খুজতে এজরিয়েলের জগতে আসে, এসে দেখে আর কেউ নয় তার ছেলেই হচ্ছে চুরির বাহক।যদিও বাবা ছেলে বেশ সুখকর কোন মূহুর্ত কাটাতে পারে নাই তার আগে উইলের বাবা মারা যায় এবং মারা যাওয়ার আগে বলে যায় উইল হচ্ছে এ চুরির বাহক।এই চুরি যাতে অন্য কারও হাতে না যায়।
উইল এ জগতে রয়ে গেলেও এর মাঝে মিসেস কোল্টার এসে লাইরা কে তার জগতে নিয়ে যায়।
আরও কিছু চরিত্র ছিলো যেগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম না,সিরিজ দেখলে বেশ উপভোগ করতে পারবেন।হিজ ডার্ক ম্যাটেরিয়ালস পুরো ভিন্নধর্মী মনোমুগ্ধকর একটি সিরিজ।

MD Sourav Hridoy(মুভি লাভারস অব বাংলাদেশ)

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply