যে কথা গুলো বলব ওইগুলা সবাই জানে… বুঝে..আর হয়তো কেউ কেউ এই কথা গুলো আরও ভালো জানে..
প্রথমত, আমরা নিজেদের অনেক সময় খুব দুর্বল মনে করি..মনে করি হয়তো আমি পারফেক্ট না..আমার পারসোনালিটি দুর্বল।আবার কেউ ছ্যাঁকা নামক জিনিসটা পেয়েও নিজেকে ছোট মনে করে…যেটাকে এক কথায় বলা যায় নিজের সত্তাকে নিজেই অন্যের কাছে ছোট করে ফেলা।
দ্বিতীয়ত, অনেকে নিজেকে একটু বেশিই বড় মনে করে..তবে সেটা বয়সে না ক্ষমতায়। যেটার কারণে মানুষ তাদের ভয়। পেয়ে সম্মান করে…আর পিছে গেলে গালি মারে…আর কেউ কেউ তো ভয় দেখানোতেই মজা পায়..কিন্ত এই কাজেও অনেক সমস্যা হয়।
স্বাভাবিক মানসিকতার ব্যক্তিদের আমি ধন্যবাদ জানাই কারন তারা খুব ভাগ্যবান।মানুষ হিসেবে আমাদের প্রথমত আর দ্বিতীয়ত দুই সত্তার মানুষই দেখা যায়।
প্রথম সমস্যাটি স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মাঝে আসে যখন আমরা নিজেদের যাচাই করতে যাই।তাই নিজেকে যাচাই করা কিন্ত প্রয়োজন,কিন্ত এইটা মাথায় রাখতে হবে যেন এই যাচাই এর ফলে যেন আমাদের পারসোনালিটি আরো উন্নত হয়..আর যদি যাচাই এর ফলে নিজের পারসোনালিটি একটু নরবরে হয়ে যায় তাহলে আমাদের উচিত নিয়মিত কাজ গুলোর উপর আমাদের মানসিকতার প্রয়োগ লক্ষ্য করা এবং সময় নিয়ে নিজের পারসোনালিটিকে আরও উন্নত করা।
আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি কিন্ত জন্মের পরই সবাই সফলতা আবিষ্কার করি নি।তাই সবাই যে সহজেই সফলতা পাব তা চিন্তা করা ঠিক না…কথাটা হলো এই যে আমি সফলতা পাব আর তার জন্য আমি সবসময় তৈরি।মানুষ জন্মায় একা মরবেও একা। তাই একা বেঁচে থাকতে পারাও একটি বড় সফলতা।
দ্বিতীয় সমস্যায় যারা জড়িত তারা নিজেদের খুব বড় মনে করে।যেটা স্বভাবগত।কিন্তু তাদের নৈতিকতা,উপলব্ধি করার ক্ষমতা,ধৈর্য, চিন্তা করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই বলা যায় তাদের বুঝার ক্ষমতাও কমে যায়। আর অন্যের কাছে নিজের অবস্থান বুঝতে পারলেও সেটা এড়িয়ে যান।তবে তাদের উচিত নিজের অতীত আর বর্তমানের মধ্যে সময় নিয়ে তুলনা করা।তাহলেও ব্যক্তি স্বাভাবিক হতে পারে।
এইবার একটু আসি নিজের জন্য নিজের ব্যক্তিত্বকে নিয়ে,
প্রতিটা মানুষের ব্যক্তিত্বের মাঝেই ব্যক্তি সবার মাঝে বেঁচে থাকে। তাই নিজের ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণ ভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের নিজেরই।ভিতরের চিন্তাধারা আর বাহিরের করা কাজ দুইটাই ব্যক্তিত্বের সাথে জড়িত।তাই নিজের ভিতরে ভাল গুন আনতে হবে আর বাহিরেও ভালভাবে চিন্তাভাবনা করে ভবিষ্যৎ এগিয়ে নিতে হবে।
সময়ের সাথে সাথে নিজেই নিজের ক্ষমতায় পরিণত হতে হবে যেন যে কোন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারা যায়। মনোবল বাড়াতে হবে।যার মনোবল যত বেশি আর আত্তক্ষমতাও বেশি আর তার সফলতা তত বেশি কাছে।
অন্যের আগে নিজেকে বিচার করা শিখতে হবে…যা ভবিষ্যৎ এ আমাদের সাবধান করবে ভুল কাজ থেকে…অন্যের কথা যাচাই না করে বিশ্বাস করা যাবে না।।।যদি বিষয়টি খুব প্রয়োজনীয় হয়।
পাশাপাশি নিজের নিয়মিত কাজ গুলোকেও যদি নির্দিষ্ট রুটিন মতো করা যায় তাহলে পারসোনালিটির উন্নতি দ্রুত আর মজবুত হয়।
আরও। বলা যায় যে নিয়মিত যোগাসন,ব্যয়াম, বইপড়া,মেডিটেশন বাস্তব ভাবে অন্যের আর নিজের কাছে আমাদের ব্যক্তিসত্তা সবল রাখে।
আবার নিজের প্রিয় কাজ গুলো করার মাধ্যমে অবসর কাটানো যায় আর ব্যক্তিত্ব গড়ে সহজ হয়।
Writer: Joynab Jahin Jeba
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.