ফাগুনের রঙে রেঙেছো তুমি, না বলা কথা আজ বলবো আমিঃ হৃদয়ের ডাক শুনবে কি তুমি?

— – সংগৃহীত

পেঁচার দ্বীপে রৌদ্রস্নাত বিকেল কক্সবাজার

pechar dwip cox’s bazar

কি ভাবছেন নামের শেষে দ্বীপ তাহলে পাহাড় কেন! আসলে এই জায়গাটির নাম পেঁচার দ্বীপ। মূল গ্রামের নাম গোয়ালিয়া পালং হলেও এটি পেঁচার দ্বীপ নামেই পরিচিত। এর অবস্থান কক্সবাজার থেকে মেরিন ড্রাইভ ধরে ইনানি যাওয়ার সময় হিমছড়ির পরে রেজুখাল থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পায়ে হাঁটার দুরত্বে। এটি মূলত রেজুখাল টু মরিচ্ছা রোড। এই রোডটি ছোট ও অল্প কিছু যায়গা নিয়ে থাকা একটি পাহাড় কে অতিক্রম করেছে। আর এই পাহাড়ি রাস্তা টুকি মূলত দেখার মতো যায়গা। পাহাড়ি রাস্তাটুকু ছোট হলেও এর সৌন্দর্য কিন্তু অনেক বেশি। কক্সবাজার গিয়ে আমরা যে দরিয়া নগর কিংবা হিমছড়ি পাহাড় দেখতে যায় এসবের চাইতে এর সৌন্দর্য অনেক বেশি হবে বলে আমার বিশ্বাস।
রেজুখালের ঠিক আগে চেকপোস্ট এ CNG থেকে নেমে হাতের বাম দিকের রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু করলাম। রাস্তার দুইপাশে সারি সারি সুপারি গাছ আর দূরে পাহাড়। নিরিবিলি সড়ক, মাঝে-মাঝে দুই একটি অটো আর CNG ছুটে চলছে। শীতের বিকেল। হাল্কা মিষ্টি রোদ। ৫ মিনিট হেঁটে চলে আসলাম পাহাড়ি রাস্তায়। ধীরে ধীরে আঁকাবাকা হয়ে রাস্তা উঠে যাচ্ছে পাহাড়ের উপর। খানিক বাদেই রাস্তা নিচে নেমে আবার উঠে গেলো পাহাড়ের ভেতরে। মুলত উঁচু পাহাড় কেটে মাঝখান দিয়ে রাস্তা করা হয়েছে। দেখতে অনেকটা গুহার মতো মনে হচ্ছিলো।
হাঁটতে হাঁটতে আর একটু সামনে আসলাম। রাস্তার পাশে পর্যটক দের জন্য গোলকরে বানানো ছনের চালার যাত্রী ছাউনি। এটি জায়গাটির সৌন্দর্যের সাথে একটু ভিন্ন মাত্রা যোগ করে রেখেছে।
আরো একটু সামনে একাকী দাঁড়িয়ে থাকা গাছের নিচে অস্থায়ী চায়ের দোকান। ঠিক মনে মনে যে জিনিস টার কথা চিন্তা করছিলাম তাই পেয়ে গেলাম। বিকালের রূপালি রৌদ মিশ্রিত রঙ চায়ের সাথে কাটিয়ে দিলাম কিছু সময়।
আয়েস করে হাঁটতে হাঁটতে আরো সামনের দিকে এগুতে থাকলাম। ছোট ছোট টিলার উপর মাটির ঘর আর প্রকৃতি দেখতে দেখতে চলে এলাম পাহাড়ের শেষ মাথায়। এবার রাস্তা নেমে গেলো সমতলে। পাহাড়ি রাস্তা শেষে ফুটবল মাঠ। মাঠে বসে একটু জিরিয়ে ফিরে এলাম যাত্রী ছাউনির নিচে। এবার উঠতে চাই রাস্তার পাশের উঁচু কোন পাহাড়ে।
গুহা আকৃতির রাস্তার পাশ দিয়ে পায়ে হাঁটা পথ উঠে গেছে পাহাড়ে। সেই পথ ধরে ধিরে ধিরে উঠে গেলাম উপরে। যতই উপরে উঠছিলাম ততই যেন নিচে পরে থাকা থাকা সৌন্দর্য ধরা দিচ্ছিলো চোখে। ঠন্ডা বাতাসে অলসতায় ভরে যাচ্ছিলো শরির। এক পাশে সাগর , এক পাশে রেজুখাল, নিচের গ্রাম্য বসতি আর দূরে আবছায়ায় ঢাকা পাহাড়। সবি আছে এক দৃষ্টিতে। মনে হচ্ছিলো আর কিছুক্ষণ থাকি, আর কিছুক্ষণ থাকি। কিন্তু পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যা নামার প্রস্তুতি চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশাল সাগরে ডুব দেবে পৃথিবী থেকে লক্ষ কোটি মাইল দূরে থাকা সূর্যটি। তাই আমাদেরো ফিরতে হবে।
আপনারা চাইলে আমাদের মতো একটি বিকেল কাটাতে পারেন এখানে। খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। কক্সবাজার ঘুরতে এলে হিমছড়ি, ইনানি প্ল্যান এর সাথে এটি যোগ করেনিন।
( দয়া করে অপচনশীল পলিথিন শহ যেকোন ধরনের ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে না ফেলে নিদিষ্ট স্থানে ফেলুন)

Ariful Rajib(Travelers of Bangladesh (ToB))

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply