আইসথেরাপি ও থার্মোথেরাপিঃ সহজ বাংলায় ঠান্ডা ও গরম সেক দেয়া।ছোটোখাটো সব ইঞ্জুরির ব্যথা, ফুলে যাওয়া এমনকি মাইনর কাটাছেড়াতেও ভালো সমাধান দেয় এ দুই পদ্ধতি।তবে সমস্যা হলো কিসের চিকিৎসায় কোনটি ব্যবহার করবো!সঠিক ব্যবহার না জানায় আমরা এ দুই ট্রিটমেন্ট এর পুরো সুবিধা পাই না।যে ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি এপ্লাই করা উচিত সেটা না করলে তেমন সুফল আসে না।মনে রাখতে হবে, একিউট পেইন মানে অল্পমেয়াদি পেইন যেমন মাইগ্রেন, টেন্ডন বা রগে টান, আঘাতে কোথাও ফোলা, মচকানো, স্পোর্টস ইঞ্জুরি,জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি তে আইসথেরাপি বেশি কাজ করে।কেননা বরফ কুচি ব্লাড ফ্লো কমায়, পেইন রিসেপ্টর এর অনুভূতি কমায়, শিথিলতা দান করে এক কথায় লোকাল এনেস্থিসিয়া হিসেবে কাজ করে।তবে মাস্ট মনে রাখতে হবে, সরাসরি বরফ কুচি লাগানো যাবে না, তাতে উল্টো ফ্রস্ট বাইট হতে পারে।এর মানে হলো প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্কিন ও এর নিচের পেশি ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে।
আর ক্রনিক পেইন মানে দীর্ঘমেয়াদি পেইনে যেমন পিঠ, কোমর এর পেইন, অস্টিওঅার্থ্রাইটিস, পিরিওডিক পেইন, পেশির খিচুনি ইত্যাদিতে থার্মোথেরাপি বেশি উপকারি কেননা থার্মোথেরাপি ব্লাড ফ্লো বাড়িয়ে আক্রান্ত যায়গার অসাড়তা দূর করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।বিশেষ করে বয়স্ক লোকদের দীর্ঘদিনের পেইনে থার্মোথেরাপি টনিক হিসেবে কাজ করে।
Writer: Sher Mohammad Bin Shahjahan (Joy)
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.