💥জন্মদিনের উপহার💥

(শুভ আর শারমিনের brack up এর ১০ মাসের একটু বেশি হয়েছে.. শারমিনের বিয়ে হয়েছে একজন সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ার সাথে..
হঠাৎ একদিন রাত ১২ টার পর শুভ তার ফোনে unknown number একটা call দেখতে পেলো..
ফোনটা receive করে শুভ বললো:-
-হ্যালো! আসালামু আলাইকুম, কে বলছেন??
-আমি! চিন্তে পারছো?
-ও হ্যা! জি বলেন শুনতেছি..
-কেমন আছো?
-আমিতো সব সময় ভালো থাকি!!
-আমাকে প্রশ্ন করলে না??
-প্রয়োজন মনে হয় না.. ভালো থাকার জন্যতো ছেড়ে গেছেন, তাহলে ভালো আছেন নিশ্চয়ই..
-এত রাত প্রয়ন্ত জেগে আছো যে, ঘুমাবে না?? না কী কারো জন্য অপেক্ষা করছো?
-হুমম! অপেক্ষা করছি পুজেক্ট কাজটা শেষ হওয়ার.. তা হঠাৎ এত রাতে কী মনে করে??
-আজকে কারো জন্মদিন! তার কী সেটা মনে নাই??
-ওফ! সত্যি ভুলে গেছিলাম.. তাছাড়া যেটা মনে রাখলে কষ্ট বারে, তা মনে রেখে লাভ কী??
-কেউ wish করে নাই?
-এতখনে কেউ wish করলে হয়তো ভুলে যেতাম না নিশ্চয়ই..
-তার পর, নতুন করে কাউকে ভালোবাসো নাই, আর বিয়ে করছো কবে??
-হুমম! নিজের সপ্নটাকে ভালোবেসেছি.. আর বিয়ে, “যেদিন নিজের সফটয়্যার কোম্পানি তৈরি করবো, তার পর”
-আমাকে কী এখনো ক্ষমা করতে পারো নাই??
-আমার সব কষ্টের জন্য আমি দায়ী.. এটা বিশ্বাস করে সবাইকে অনেক আগে ক্ষমা করে দিয়েছি..
-তোমার কী কোনো প্রশ্ন নেই, আগেতো দিনে হাজারো প্রশ্ন করতে??
-প্রশ্ন অধিকার থেকে আশে.. আর যেখানে অধিকার থাকে না, সেখানে প্রশ্ন আশা করটা অবান্তর.
-ও! আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না??
-আগে মন যা বলতো, তাই করতাম.. এখন আমি যা বলি মন তাই শোনে..
ওর অনেক বার ইচ্ছে হয়, কিন্তু আমি নিষেধ করাতে আর জেদ করে না..
-অনেক বদলে গেছো দেখি??
-চোখের চিকিৎসা হয়, দেখার চিকিৎসা হয় না..
-তোমার কী কিছু বলার নেই??
-হুমম ফোনটা রাখলে খুশি হতাম, কাজ শেষ হয়েছে, বায়ারকে কাজটা ডেলিভারি করবো..
-খুব তাড়াতাড়ি তোমার সপ্নগুলোকে পূরণ কোরো এই দোয়া করি!
-হা হা হা! প্রয়োজন নেই, তার পরেও করতে চাওয়ার জন্য ধন্যবাদ!
(এর পর শারমিন ফোনটা কেটে দিলো)

@অনাসক্ত আমি