তোমরা হৈমন্তীকে চেনোনা
এলো চুলের বিষণ্ণ মূর্তি
তার ঋষি পিতা তাকে নিতে এসে
কোঁচার খুটে চোখ মুছে বলে গেছেন
আবার আসবেন তিনি
আগামীবার আসতে একা আসবেননা
সঙ্গে নিয়ে আসবেন সিঁদকাটি ।
হৈম হৈমন্তী আমার পড়শির
সভ্যভব্য ছেলেটার স্ত্রী
মানুষের প্রেম দগ্ধ মেরু
মৌন বাসনাকে আতংকের মুখোমুখি
দাড় করায়।
ছেলেটা হৈমন্তীর স্বামী
তাকে আমার কি মনেহয়?
অজাত মূর্খ
ঘৃণার ত্রিশূলে বিঁধতে ইচ্ছে করে।
আবার বিভ্রান্তির একশেষ
জ্ঞানতাপস হলে ক্ষতি কি ছিলো?
হয়তো হবে উদাসীন একজন
নয়তো মহাপাতক
ছেলেটা আসলে কি কে জানে
তার অতীত আছে ভালোমানুষী জড়ানো
তার ভবিষ্যৎ যেনো বলে সে লোভের ক্রীতদাস
বর্তমানে সকলের কাছে সে একজন
নপুংসক ।
হৈমন্তী জাগ্রত দুঃস্বপ্নের এক নারী
বলতে চায় অনেক কথা
কিন্তু কিছুই তার কন্ঠ বেয়ে কথা হয়ে
বের হয়না।
পথ ভুলে এসে গেছে
এক দেবকন্যা
কারনহীন যুদ্ধের এক কারন হয়ে।
হৈম হৈমন্তী আমার দাদার মেয়ে
ধর্মলোভীও নয় পূর্ণলোভীও নয়
বাউল স্বভাবের আমার নানার মেয়ে।
আমার পরশীর ঘরে বসবাস করে
শশুর শাশুড়ি ননদে পরিবেষ্টিত হয়ে
একলা একলা বাড়ান্দায় হাঁটে
বাবার অপমানে অভিমানে কাঁদে
স্বামীকে কতকি ভাবতে গিয়ে পারেনা।
দৈব দেবতা হৈমর অন্তরতলে
ঘুরপাক খায় বারেবারে
বিশ্বাসের ভিদ ধরে নাড়ে
বরের পোশাকে স্বামীকে দেখে বলতে পারেনা
তোমাকে আর কারো হতে দেবোনা
তুমি আমার
তুমি আমার ভালোবাসা।
লিখেছেন ”হাসিনা খাতুন”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.