কাব্যগ্রন্থঅবান্তর নীলা
শাওন_মল্লিক
মেঘ বলছিলো….
কি জানি বলছিলো সে?
ও আচ্ছা….…!
হয়তো তার জীবদ্দশার পরিপ্রেক্ষিতে কার সামনে যেনো.
নীলার বিস্তৃত খণ্ডের একাংশ তুলে ধরছিলো…
ও আচ্ছা!
নীলার নীলাভ আকাশের সামনে….
অনেকটা সময় জুড়ে ইতি টেনে নিতে নিতে নাকি…
সে উড়ে বেড়াচ্ছে….
নীলার নীলাভ নীল আকাশ টা জুড়ে…
মেঘটা না ইদানীং অনেকটা….
রঙের পরিবর্তনের আলাগোনায় মেতেছে….
হয়তো কিছুদিন পর টুপ টুপ করে ঝড়ে পড়বে বৃষ্টির মতো…
বিরহ নদীতে নতুন রূপে
সৃষ্টি করবে তাকে…
নদী থেকে সাগর…..
আবার সেই সাগর থেকে মহাসাগরীয় ভূত্বকের বিরহে…
আজ হয়তো অনেক টা বৃষ্টির…
সাথে তার তুলনায় মেতেছে মেঘ…
সে মহাসাগর থেকে বাষ্পীভূত হয়ে
কম্পনের বিস্তার ঘটতে ঘটতে…
নতুন মেঘের সৃষ্টি হবে নীলার নীলাভ আকাশে….
এদিকে ভূত্বকের বিরহে আচ্ছাদিত বৃষ্টির
পুরোনো সেই জল মাঘা কর্দমাক্ত মেঘ …..
চেয়ে রবে নীলার নীলাভ আকাশটার দিকে….
আজীবন অনন্তকাল ধরে….
এটাই নাকি সে মেঘের অনতিদূর ভবিষ্যতের বেঁচে থাকা….
যুগের পর যুগ ধরে এর পুনরুক্তি ঘটবে…..
অনন্ত ভালোবাসার মেঘ এভাবেই ঝড়ে পড়বে…
অন্ততকাল ধরে সে মেঘ কর্দমাক্ত জল হয়ে
তাকিয়ে রবে নীলার নীলাভ নীল আকাশের দিকে…
আসলে নীলা ব্যাপারটা কি জানো?
একবার বৃষ্টি হয়ে গেলে….
আর নীলার আকাশ ছোঁয়া যাবে না……
একবার ডুবন্ত বিরহ নদীতে মিলিয়ে গেলে…
সেখান থেকে মহাসাগরীয় ভূত্বকের বিরহে যে যেতেই হবে…..
না! না!
নীলার সেই আকাশে আর বিচরণ করা যাবে না…
তার দিকে শুধু….
অনন্ত অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকতে হবে….
নীলা!
এটাই যে অন্তিম রহস্যের অন্তিম নিয়তি….