সামান্য ছাই রঙ
ধুলোয় ধুয়াশা কালো কোনো আবরণ
কেমন জানি আড়ষ্ট গন্ধ
নাকে লাগে,গলা ধরে
শ্মশানের হাহাকার বুকে বেদনার চাবুক ছুড়ে মারে।
তার বিয়ের একমাস ও পেরোয় নি
স্বামী তার বড্ড ভালো,মাস শেষে ভালো মাইনে ঘরে আনে
গৃহকত্র্রীকে যেন পলকে পলকে রাখে
চারচোখে সপ্ন বুনে,তিলে তিলে নতুন জগত সাজাবো
দুই হতে তিন চারে সংসার গড়ে তুলবো
আগে নিজের সময়খানায় তোমার বুকে মাথা রাখবো।
রঙিন সারি,গলাভরা হার,শাখা বালা, সিঁতি রঙ লাল
কতোই না অপরূপ,উৎকৃষ্ট সমাহার।
বিধাতার লেখনী করে সকল বিবেচনার তোলপাড়!
আজ পোড়া কাঠের ধারে, চোখের নিচে তাহার কালো দাগ পড়ে
হাতে ভাঙা বালা শাখা,সিঁতি ও যে তার ফাঁকা
সাদা কাপড়ে বৃত্ত-পরিধি ঢাকা।
এই কেমন লীলাখেলা,বিধাতার কাছে যেন অভিযোগের মেলা
তার চাহুনিতে বদ্ধ চিৎকার,ফিরে পাওয়ার হাহাকার
সমাজের কালো নজর এই বুঝি পড়লো এবার।
অল্প বিধবা,তোরে নজরে নজরে রাখিবো এবার।
সে কেন এতো অসহায়,সাহায্যের হাত কেউ কেনো বাড়ায় না আর।
স্বামী হারা, তোর মূল্য কী আছে আর?
কর্তা গৃহের কর্মধার,
না থাকিলে পরিত্যক্ত কারাগার।
এই শুনে শুনে বড়ো করে তুলে
অল্প হতেই মানসিকার দাঁড়ি চিহ্ন বসিয়ে দিলে
হারানোর বেদনায়,সাহস জোগানোর সুযোগ কই আর।
হাইরে!
কতোই না ভালো হতো
শুরুতেই যদি শেষ না হতো
রুপা তাহার মুক্তার রূপ নিতো।
তবে আমি দূর হতেই নিহারন করিতেছি
দুর্ভাগ্য তোমার মাগো
সাথে নিম্ন সম্প্রদায়ে তোমার বসবাস।
…..
কলমেঃ শাহনাজ রহমান প্রমি