When you do things from your soul, you feel a river moving in you and you feel joy

বরফ

কোনওদিকেই ঘরের দরজা নেই। যখন ঢুকেছিলাম ছোট্ট একটা সুড়ঙ্গ মনে হয়েছিল। এখন দেখি সেটাও বন্ধ। কীভাবে কে ওটা বন্ধ করল দেখতে পাইনি। মনোরমা আমাকে নিয়ে এসেছে। এটাই নাকি তার স্বামীর গোপন আস্তানা ছিল। ডাকাতি করতে গিয়ে মারা গেছে তার স্বামী বিজয়। স্বামীর মৃত্যুর পর সে এখন একা। একমাত্র ছেলে পূর্ণেশ বাইরে থাকে। পড়াশোনার কারণেই তার বাইরে থাকা। এখানে এই প্রথম এলাম মনোরমার সঙ্গে। আমাদের দুজনের যে কথাবার্তা হল :

— কতদিন পর তোমাকে একা পেলাম !

— ঠিক তাই ।

— আমাদের স্কুলজীবনের দিনগুলি মনে পড়ে? কত চিঠি লিখেছি!

— মনে তো পড়েই ! একবার পালিয়ে যেতেও চেয়েছিলাম! বিয়েটা হল না ধর্ম আর জাত নিয়ে। শুধু কলঙ্ক হল।

— আজ কলঙ্ক সত্যি হবে।

— কিন্তু!

— কিন্তু কী ?

— আমার বউ, ছেলেমেয়ে…..!

— সবাই থাকুক, কারও কিছু হবে না।

মনোরমা এগিয়ে এসে জাপটে ধরল আমাকে। ঠোঁটে ঠোঁট ঠেকাল ।  কী শীতল ওর ঠোঁট ! তারপর আমার কী হল আর কিছুই বুঝতে পারলাম না। কতক্ষণ সেখানে ছিলাম জানি না। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল।

        বাইরে তখন উজ্জ্বল রোদ উঠেছে। মাঘের কুয়াশা নেই বললেই চলে। আমার ছোট মেয়ে বিনীতা একখণ্ড বরফ হাতে নিয়ে হি হি করে হেসে যাচ্ছে একটানা।

Writer: তৈমুর খান

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply