নিজের চিন্তা, মতামত এবং কাজকর্মকে সর্বাপেক্ষা উত্তম মনে করা এবং অন্যের সবকিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করার নামই আত্মপ্রশস্তি এবং ইহা একটি মারাত্মক চারিত্রিক দোষ৷

— ইমাম গাজ্জালি

জহির রায়হান

আমার কবিতা জহির রায়হানের কথা
বলতে গিয়ে থেমে যায়।
কান্নাকে গিলে খায়।
দোষে গুনে সৃষ্টি,
মেঘে বানে বৃষ্টি।

বিপ্লবীর বিপুল জীবনে
চকিত বিদ্যুৎ।
জহির রায়হান নিজেই নিজের পরিচয়
জানতেননা।

আকাঙ্ক্ষাতে এমন কিছু পুরে রেখেছিলেন,
বিস্মিত বিস্ময়ে পৃথিবী তাঁকে
চেয়েচেয়ে দেখতো।

বিভ্রান্ত বিলয়ে তিনি ভুলে
গিয়েছিলেন
নিশ্চুপ দর্শন।
উদ্দেশ্য এবং আদর্শ কখনো এক হয়না,
হতে পারেনা।

মানুষ নিজেই নিজের অগোচরে
নড়েচড়ে বসে।
সমবিন্দুতে থাকেনা।

ইতিহাসের সেই শেষ পৃষ্ঠা
বোধহয় তিনি কখনো কোনোদিন পড়েননি।
বন্ধুর বন্ধুত্বেও সন্দেহ প্রবণ হতে হয়,
অবশ্যই সচেতন সন্দেহ
রাখতে হয়।

ইতিহাসের নাভিমূলে দাঁড়িয়ে বলা যায়,
ইভা আর হিটলারের সেই শেষ পৃষ্ঠা।
নেতাজীর শেষ পৃষ্ঠা অধ্যায়ন করা গেলোনা।
পর্দার অন্তরালের গোলক।
আপনি জহির রায়হান
কে ডেকেছে?
কেনো ডেকেছে?
৭১এর আলেয়া
৭১এর প্রহেলিকা।

লিখেছেন: হাসিনা খাতুন

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply