জন্মাষ্টমীর পদাবলী-কীর্তন
[হে কৃষ্ণ !, তুমি কি শুধু
তিলকী-টিকি-মালাউনদের!]
|| শ্রী কমলেশ ধর ||
জগৎ সংসার বিশ্বময়
নামে-প্রেমে মাতোয়ারা
ব্রাহ্মণ-শুদ্র যেবা হয়
সবার তরে করো কৃপা
ওহে দয়াময়।
অহেতুকী কৃপা তোমার
বেদ-ভাগবত-শাস্ত্রে কয়।।
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।
আমার নাইতো সম্বল
নর্তনের(নাচনের) বল
তোমায় পূজিতে,
গোপীভাব দিও আমায়
চরণ সেবিতে।
প্রাণ গোবিন্দ ছন্দ দিও
মন্দ ভাবের করতে ক্ষয়।।২
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।০
আমার “কংস” মনে “হংস” ভাসাও
গুরুর প্রভাবে,
ভক্তির-ভিখারী আমি
নেচার-স্বভাবে।
“জ্ঞান”-“ভক্তি”-“কর্ম” কিরূপ
চিনলাম-না-তো জমানায়।।৩
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।০
বোবার মুখেও ফোটে কথা
তোমার কৃপাতে,
অন্ধ-খঞ্জর পারে আবার
গিরি লঙ্ঘিতে।
কুণ্ডলিনীর তালা খুলে
চরণেতে করো লয়।।৪
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।০
কেহ ডাকে “বাসুদেব”
কৃষ্ণ জনার্দ্দন,
“আশুদেবকে” আজ্ঞা করাও
সাজতে “পঞ্চানন”।
আমি “আশু-বাসুর” ভাব বুঝি না
তুমি হলে “রাধাময়”।।৫
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।০
ব্রাহ্মণ-ক্ষত্র-বৈশ্য-শুদ্র
অভেদ আত্মাতে,
আছো তুমি ভক্তি যোগে
নামের সহিতে।
তবে কেন ধর্মবণিক
উল্টা-পাল্টা কথা ক’য় !? ।।৫
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।০
পৈতা-টিকি-তিলক-মালায়
আমারে জ্বালায়,
কৃষ্ণ নামেই করবো আবাদ
গুরুতে দোহাই।
ওরে !
ফসল ফলুক, খরা আসুক
আমার চিন্তা নাই।
(আমার) মন-ভূমিটা কৃষ্ণ নামে
খাজ-না কেবা চায় ?
আমার আত্মেন্দ্রিয় কর্ষণ করো
কর্মে দিও বরাভয়।।
সবার তরে করো কৃপা
কৃষ্ণ দয়াময়।।।০