নিশির আধারে ঝিরিঝিরি ডাক
কাকতাড়ুয়ার কাকতালীয় সাজ
আধারে জোছনার চিমটি আলোকছটা
জোনাকির আলোয় উজ্জ্বল মাথার তাজ…
এক মেঘালয় দুপুরে,
কাঠের চেয়ারে বারান্দায় এক কাপ
চা হাতে,
চোখের পলক বাহিরে ফেলে
কবে কই যেন নিরবতার দেখা মেলে।
হঠাৎ বর্ষা,
টিনের চালে টিপ টিপ আওয়াজ
বিন্দু গড়িয়ে
পরে গাল হতে ঠোঁটে
অপরূপ তার চেহারার কারুকাজ!!
দূর হতে আচমকা হাওয়া
তার চুলে হানে আঘাত
যেন বরফের পাহারে সাদা তুষারের উৎপাত…
জানালার পর্দা আড়াল করে
একচোখে তাকিয়ে থাকে
মেলা বসে মনে তাহার
যার পুরোটাই আবেগে আবিষ্কার।
তারে ছুতে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে
কথা বলার বাহানা খুজে
লজ্জায় লুটিয়ে পরে
তার চোখের কালো মুদ্রা দেখে…
কতোই না অপরূপ গো তুমি
তোমার নিন্দা হাজারে হাজারে
কেন জালাও আগুন তুমি
এতো মানব মনে??
তবুও তোমার ছুটে চলা
সাদা বালির মতো
মুষ্টি বদ্ধ হাতে গড়িয়ে পড়া
চাহনির চাহিদা
কতোই না চমৎকার…
আমিও কি হতে পারি অংশীদার
তোমার ভালোবাসার???
মর্মাহত যেন প্রতিটা মুহূর্ত আমার!!!
আমি ভিনদেশী তারা না কো
যার ঠিকানা হয়নি তোমার জানা
আমি সেই উজ্জ্বল চন্দ্রিমা
কালো দাগ যার সৌন্দর্য বাড়ায়
রাত যার অপেক্ষায় কাটায়।।
দেবে কি আমাকে সুযোগ
তোমার ছিটকে পরা কোনো এক মনের আঙ্গিনায়??
আমি যে দূর হতে এখনো দেখছি তোমায়
প্রহর গুনছি
কবে তোমার গোলাপি ঠোঁট
নাম ধরে ডাকবে আমায়।।
এমনি কোনো এক বর্ষা
ভিজাবো তোমায়
মুখ ঢাকবে আকাশ
পাখিরা ফিরবে বাসায়
যখন শক্ত হাতে
বুকে জরাবো তোমায়।
দাও না কো মেয়ে তুমি
একটো সাড়া
আমার মনের এই রঙিন আলপনায়!!।।
….
কলমেঃ Sahnaj Rahman