এই গলিতেই কি দাদার বাড়ি ?
৭/৩ রহমাতুল্লা অ্যাভিনিউ, এটাই তো হওয়ার কথা ! মোড়ে পানগুমটির দোকান। সাইনবোর্ডে লেখা আছে ‘ হরিশের মিঠা পান’ । তাহলে তো ভুল হবার কথা নয় !
সমস্ত গলি জুড়ে আবছা আলো। ঠেলাগাড়ি ও ট্রলির উপর ঘুমিয়ে পড়েছে মানুষজন। কয়েকজন নারী ও পুরুষ এদিক ওদিক চলাচল করছে। ফিসফাস কথা বলার আওয়াজ আসছে। রাত প্রায় বারোটা। শহরে অবশ্য এরাত কিছুই নয়। সারি সারি ছোট ছোট ঘরগুলিতে মিটমিটে আলো। ভিতরে কীসব কাজ করছে কিছুই অনুমান করা যায় না। দাদার বাড়িটা কি তবে পেরিয়ে চলে এলাম ? কাকেই বা জিজ্ঞেস করা যায় ? ভাবতে ভাবতে আর একটু এগিয়ে যায় রমিত। সামনে যতদূর দেখা যায় রাস্তা প্রায় বন্ধ। বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকে কিছুক্ষণ। হঠাৎ অন্ধকারে কে রমিতের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ?
— কে ?
— আমি ! আজ একটাও খদ্দের পাইনি, আসুন, সস্তায় হয়ে যাবে !
— কোথায় যাব ?
— এই তো আমার বাসায় !
আর ভাববার সময় পায় না রমিত । সারাদিনের ক্লান্তি আর ঘোরের মধ্যে এগিয়ে চলে তার সাথে। যেতে যেতে বলে , এই গলিতেই আমার দাদা থাকে মহসিন গাজী। চেনেন তাকে ?
মেয়েটি হাত ছেড়ে দিয়ে সরে দাঁড়ায়। গলা নামিয়ে বলে, আমি তারই আগের পক্ষের বউ।
রমিত আর স্থির থাকতে পারে না। অন্ধকারে তার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তাকে জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে , ওঃ জাহানারা ভাবি !
Writer: তৈমুর খান