Your task is not to seek for love, but merely to seek and find all the barriers within yourself that you have built against it.

করলা ও এর উপকারিতা

করলাকে এক প্রকার সবজি হিসেবেই আমরা সবাই চিনি, কিন্তু এটি ফল জাতীয় একটি সবজি । এর ইংরেজি নাম হলো alligator pear, bitter gourd। করলা খেতে অনেক তেতো স্বাদযুক্ত। করলা হলো এমন একটি সবজি য়ার অনেক গুণাবলি রয়েছে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করলা খেলে অনেক সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

করলায় অনেক পুষ্টগুন রয়েছ, এবার সেগুলো সম্পর্কে জানা যাক। সেগুলো হলোঃ
• প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ইত্যাদি।
করলার উপকারিতাঃ
• করলা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। করলার রস এ্লার্জির জন্য অনেক উপকারি, এটি এলার্জি প্রতিরোধ করে।
• করলা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। করলা শরীরের সুগার ও শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভালো, তাই ডায়াবেটিস রোগীকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলার রস খাওয়ার জন্য বলা হয়।
• যাদের রক্ত সল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য করলা অনেক উপকারি। করান করলায় থাকা আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
• করলা প্রত্যেকদিন খেলে শরীরের তারুণ্যতা বজায় থাকে। কারন করলাতে রয়োছে ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, জিংক ইত্যাদি যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান রাখে।
• প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় করলাকে অন্তর্ভুক্ত করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পায়। কারন করলাতে থাকা ভিটামিন-সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে সংক্রমণ অথবা ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
• করলা প্রতিদিন খাবারে খেলে লিভারের উন্নতি ঘটে। করলার খেলে শরীরে এনজাইমের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় যা লিভারের কার্যক্ষমতা দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে। যার ফলে লিভার ফেইলিওর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
• করলা খেলে ক্যান্সারের মতো রোগ থেকেও নিস্তার পাওয়া যায় । এটি শরীরে ক্যান্সারের কোষ তৈরি হতে দেয় না। তাছাড়াও এটি শরীরে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
• করলা খেলে শরীরে বিটা ক্যারোটিনের পরিমান বৃদ্ধি পায়, যার ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তির বৃদ্ধি ঘটে। তাই যাদের চোখে দৃষ্টি শক্তির সমস্যা রয়েছে তাদের করলা খাওয়া উচিত।
• প্রতিদিন করলা বা এর রস খেলে ওজন বৃদ্ধির সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। করলা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমার সুযোগ পায় না। তাই ওজন বৃদ্ধি ঘটে না।
• করলা খেলে পেটের সমস্যা দূর হয় ও অন্যান্য পেটের সমস্যা দেখা দেয় না।
• করলা খেলে শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ হয়। যার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও মানুষ সুস্থ ভাবে বাচঁতে পারে।
তাই বলা যায় যে, করলা খাওয়া অনেক উপকারি আমাদের সুস্থ ভাবে বাচাঁর জন্য। If you eat healthy, you will be healthy. Your eating habit will decided how your health will be. If you eat unhealthy food, it will effect your health.
করলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে তাই এই সময় করলা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাওয়া উচিত। কারন কোনো সমস্যা হলে তা বাচ্চার শরীরের উপর প্রভাব ফেলবে। তাই গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন বা এটি নিয়ে নিজে সঠিক তথ্য বের করে এরপর খান।

Writer: মারজান আক্তার

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply