Your time is limited, so don’t waste it living someone else’s life. Don’t be trapped by dogma – which is living with the results of other people’s thinking.

— Steve Jobs

বাঙালির স্ট্রিট ফুড সমাচার

বাঙালি আর স্ট্রিট ফুড – শব্দ দুইটা আমাদের ইতিহাস এর পাতায় চোখ বুলালে কখনোই সমার্থক করতে পারবোনা আমরা।আমাদের ইতিহাস মাছে ভাতে বাঙালির অকাট্য দলিল দেয়।কিন্তু,নিকট ইতিহাস কি বলে? সত্যি কি বাঙালি আর স্ট্রিট ফুড পরস্পরের সমার্থক? নাকি স্ট্রিট ফুড বাঙালির ক্ষয়িষ্ণু কালচারের একটি অংশ? এই নিয়ে আজকে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে ফেলা যাক।সেই সাথে জেনে নেওয়া যাক কিছু মুখরোচক স্ট্রিট ফুডের নাম এবং একই সাথে এর ক্ষতিকর দিকসমূহ।

প্রথমেই আসি স্ট্রিট ফুড কি সেই ব্যপারে।সোজা বাংলায় বলতে গেলে,রাস্তার আশে পাশে ব্যস্ত জায়গায় যেসব খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়,তাই স্ট্রিট ফুড।ভ্যানে করে বিক্রি করা ফুচকা থেকে শুরু করে রাস্তার ধারে বসে বানানো ঝাল চিকেন ফ্রাই আর গরম পরোটা- সবই স্ট্রিট ফুডের কাতারে পড়ে।তাই বলে আবার টং দোকানের বাটারবন,বিস্কুটকে স্ট্রিট ফুডের ছকে ফেলার দরকার নেই।

সচরাচর স্ট্রিট ফুডগুলো ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার,তেল যুক্ত এবং অধিকাংশই ঝাল খাবার হয়ে থাকে।তবে অসংখ্য মিষ্টান্ন জাতীয় স্ট্রিট ফুডেরও সন্ধান মিলবে।এসব স্ট্রিট ফুড দেখে জিভের জল কয়জন সামাল দিতে পারেন,এই বিষয়ে আমি সন্দিহান।

বাঙালির স্ট্রিট ফুড বলতেই ঢাকা এবং কলকাতা এই দুই শহরের স্ট্রিট ফুডের ছবি সবার চোখে ভেসে উঠে।ভারতের পশ্চিমবঙ্গে স্ট্রিট ফুডের বাহারি পশরা চোখে পড়লেও বাংলাদেশের ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত মহকুমা কোনোটাই কিন্তু কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।ঢাকার প্রতিটা জনপদে, অলিতে গলিতে বিকেল হলে হাজারো রকমের স্ট্রিট ফুডের ভ্যান বসে যায়।কেউ গরম ছোলা ভাজা,পিঁয়াজু,চপচপে তেলে ভাজা বেগুনি ভাজতে থাকে।কেউ চিংড়ির মাথা দিয়ে বেসনে ডুবিয়ে মুখরোচক বড়া তৈরীতে ব্যস্ত থাকে।কেউ কাস্টমারের চাপ সামাল দিতে ব্যস্ত হাতে ফুচকার ভিতর চটপটির ডাল ভরতে থাকে।কেউবা পুরান ঢাকার বাখরখানিতে বুদ হয়ে থাকে।

এই কয়টাই বাংলাদেশের স্ট্রিট ফুড? এই নিয়ে এত গর্ব? একদমই না।বাংলাদেশের স্ট্রিট ফুডের সমাচার একটা আর্টিকেলে ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব।তবুও চলুন, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু স্ট্রিট ফুডের ব্যপারে জেনে নেওয়া যাক।

১.ছোলা ভুনা:

গরম ছোলা ভুনা,সাথে এক ফালি টক লেবু এবং হালকা বিট লবণ ছিটিয়ে নেওয়া- অনেকের কাছে এটা এক প্লেট সুখ।বাংলাদেশের স্ট্রিট ফুডের রাজা ঢাকা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের হোটেল – সবখানে মুখরোচক এবং শক্তিবর্ধক এই স্ট্রিট ফুডটি পাওয়া যায়।পুষ্টিগুণ হিসেব করলে ছোলায় প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে।সুতরাং,খুব সহজেই অল্প টাকায় রসনা তৃপ্তির সাথে ক্যালরি অর্জনটাও করে ফেলা সম্ভব।

২.ঝালমুড়ি:

বাংলাদেশের মানুষ অথচ ঝালমুড়ি খায়নি এরকম মানুষ সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবেনা।ইউরোপিয়ানরা যখন আমাদের দেশে আসে এবং ঝালমুড়ি খেয়ে “too much spicy” বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়,তখন সত্যি অজানা একটা গর্ব কাজ করে।কাচা মরিচ,পেঁয়াজ,মুড়ি,লেবু,সরিষার তেল,বাহারি মশলা দিয়ে তৈরী এই মজাদার খাবারের বিকল্প খাবার আপনি ইহধামে পাবেননা।

৩.সিঙাড়া:

বিদেশীরা এটাকে “বাঙালির সমুচা” বলে অ্যাখায়িত করে থাকে।একবার এক বিদেশি এই দেশে ঘুরতে এসে মজা করে বলেছিলেন যে আবদ্ধ ময়দার আস্তরণের ভিতর কোন টেকনোলজি ব্যবহার করে বাঙালি আলু ঢুকালো,সেই তথ্য আজও তার অজানা!

আলু,ঝাল মশলা আর পুরু ময়দার আস্তরণে ঠাসা গরম গরম সিঙাড়া হট টমেটো সস এ ডুবিয়ে খেতে খেতে স্বর্গীয় সুখ অনুভব করেননি, এমন মানুষের অস্তিত্ব কি আদৌ দুই বাংলায় আছে?

৪.মোগলাই পরোটা:

শুনেছি মোঘল সম্রাটরা নাকি পরোটা খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে নতুন স্বাদের পরোটার সন্ধান করছিলেন।সেই থেকে মোগলাই পরোটার উৎপত্তি।জ্বি, এটা বাঙালির নিজস্ব কোনো খাবার নয় এবং সত্যিই মোঘল সম্রাটদের আমলের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।কিন্তু, বাংলার খাদ্য সংস্কৃতির সাথে এমনভাবে এই খাবারটি মিশে গিয়েছে যে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই।

ডিম আর পেঁয়াজের লুকোচুরি,সাথে তৈলাক্ত ময়দার সমাহারযুক্ত এই খাবারটি গরম গরম খেতে অনেক মজাদার।অতিথি পরিবেশনেও এই স্ট্রিট ফুডটি অহরহ ব্যবহৃত হয বাঙালি পরিবারগুলোতে।

৫.ফুচকা, চটপটি,হালিম:

তিনটা সম্পূর্ণ ভিন্ন খাবার হলেও একই দোকানি এই আইটেম দুইটা বিক্রি করে থাকেন।ফুচকা তৈরী করতে বেশ খানিকটা সময় লাগে বিধায় কাস্টমারদের বেশ ভীড়ের দেখা পাওয়া যাবে ফুচকাওয়ালার দোকানে।গোল গোল ফোলা ফুচকার ভিতর সিদ্ধ ভর্তা করা ডাল,সাথে বাহারি মশলা এবং তেঁতুলের টক দিয়ে তৈরী ফুচকা ছেলে বুড়ো আবালবৃদ্ধবণিতার পছন্দ।

একই দোকানে চটপটি নামক আরেকটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডের দেখা মিলে।হালকা ঝোল যুক্ত গরম গরম সিদ্ধ চটপটির ডাল,সাথে কুচি কুচি করে কেটে দেওয়া ডিম আর তেঁতুলের ঘন রস- জিভে জল চলে আসার জন্য এটুকুই যথেষ্ট নয় কি?

আর হালিমের কথা আর কি বলবো।এটাও ডাল থেকে তৈরী এক ধরণের ঝাল জাতীয় খাবার।সাধারণত,ছোট ছোট মাংসের টুকরার উপস্থিতি খাবারটিকে আরও সুস্বাদু করে তুলে।

৬.পুড়ি:

পুড়ি খেতে যেমন মজাদার,তেমন দামেও কম।বাংলাদেশের দোকানগুলোতে নানারকমের পুড়ি পাওয়া যায়।ডালপুড়ি,আলু পুড়ি,কিমা পুড়ি- কোনো পুড়িই আপনাকে স্বাদের দিক থেকে হতাশ করবেনা।অল্প টাকায় উদরপূর্তি নাস্তার জন্য পুড়ির থেকে ভালো কিছু আর হয়না।

৭.আমড়া এবং পেয়ারা মাখা:

আমড়া এবং পেয়ারা তো এমনি খাওয়া যায় ফল হিসেবে।এগুলো আবার মাখিয়ে খাওয়ার কি আছে? আছে ভাই আছে! কাসুন্দির নাম শুনেছেন নিশ্চই? সরিষা থেকে বানানো ঝাঁঝালো একটা আইটেম হলো কাসুন্দি।সেই কাসুন্দি দিয়ে ঝাল করে যখন পেয়ারা বা আমড়া মাখানো হয়,তখন তার স্বাদ বহুগুণ বেড়ে যায়।বাংলাদেশের রাস্তায় রাস্তায় এই খাবারের দেখা মিলবে।

৮.ভুট্টার খৈ:

পপকর্ণ বলে যেটাকে,সেটারই স্ট্রিটনফুড ভার্সন বাংলাদেশে ভুট্টার খৈ হিসেবে পরিচিত।এটা তো মুভি দেখতে দেখতে খায় সবাই।জ্বি, কিন্তু বাংলাদেশের ভুট্টার খৈ এর মজাটাই আলাদা। লবণ ছিটিয়ে গল্প করতে করতে এক প্যাকেট ভুট্টার খৈ খাবেন কিংবা আনমনে হাঁটতে হাঁটতে খাবেন।দেখবেন, চিরাচরিত পপকর্ণ এর সাথে বাংলাদেশের এই স্ট্রিট ফুডের পার্থক্য আপনি নিজেই ধরতে পারছেন।
Rahman Fida
৯.ভুড়ি/বট ভুনা:

গরুর ভুড়ি অনেকেই খেতে চাননা।অনেকে পরিস্কার করার ভয়ে খাননা, অনেকে বিস্বাদ লাগে তাই খাননা।কিন্তু, রাস্তার পাশে ভাজতে থাকা বট ভাজি/ভুনা যে একবার খেয়েছে,তার কখনোই খারাপ লেগেছে বলে মনে হয়না।তবে,অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার হওয়ায় পরামর্শ থাকবে বেশি একটা না খাওয়ার।

১০.চানাচুর মাখা:

চানাচুর জিনিসটা এমনি মজাদার একটা খাবার।কিন্তু,মরিচ,পেঁয়াজ,তেল দিয়ে মাখালে এর স্বাদ বহুগুণে বেড়ে যায়।চানাচুরের ভিতর বাদামের লুকোচুরির মত আপনার মুখের লালার সাথে ঝালও লুকোচুরি খেলতে ব্যস্ত থাকবে!

১১.মাংসের বড়া:

বিভিন্ন প্রাণীর মাংস দিয়ে বড়া বানিয়ে বিক্রির পাশাপাশি দোকানি পরোটাও বানিয়ে থাকে।পরোটা ছাড়া মাংসের বড়া জমে নাকি? মুরগি,গরু সব ধরণের মাংসের বড়া, মাংস ফ্রাই এসব মিলবে বাংলাদেশের স্ট্রিট ফুডের পশরায়।
Rahman Fida
১২.পিঁয়াজু-বেগুনি-আলুর চপ:

নাম পেঁয়াজু হলেও খাবারটি মোটেই পেঁয়াজে ঠামা কোনো ধরণের খাদ্যদ্রব্য নয়। মূলত বেটে রাখা ডাল দিয়ে বানানো ঝাল মুখরোচক একটি খাবার।

বেগুনি হলো বেসনে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজা একটি খাবার।খেতে তুলনামূলক কম ঝাল এবং তেলে চপচপে অবস্থায় থাকে।

আর আলুর চপ নাম শুনে না বোঝার তো কিছু নেই।বেসনে ডুবিয়ে আলুর ঝাল ভর্তা সম্বলিত একটি খাবার এটা।সবগুলো খাবার খুবই অল্প দামে বিকেল থেকেই ব্যস্ত জনপদগুলোর আশে পাশের কোনো হোটেলে না হয় রাস্তার পাশের ভ্যানে পাওয়া যায়।আর দাম? সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের সাধ্যের ভিতরেই।

১৩.ঘোল,মাঠা,লাচ্চি:

এতক্ষণ ঝাল স্ট্রিট ফুড নিয়ে কথা বলতে বলতে মিষ্টি স্ট্রিট ফুডের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।ঘোল,মাঠা,লাচ্চি সবগুলোই মুখরোচক মিষ্টি জাতীয় খাবার।বাংলাদেশের রাস্তার ধার থেকে গ্রীষ্মকালে এই ধরণের পানীয় কিনে খেয়ে তেষ্টা মেটায়নি এরকম মানুষ খুব বেশি স্বাস্থ্য সচেতন ছাড়া আর কেউ নেই।

১৪.কাবাব-পরোটা:

কাবাব পরোটা অভিজাত শ্রেণির খাবার হলেও স্ট্রিট ফুডে এর স্থান বেশ উপরের দিকেই।এই খাবারটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।ভরপুর একটা ভারি নাস্তার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয়না।

১৫.চিংড়ি এবং রসুনের বড়া:

চিংড়ি মাছের মাথা, রসুন এসব দিয়েও বড়া বানানো হয়।খেতেও খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে এসব বড়া।তেলে ভাজা হওয়ার পরেও মানুষ হুমড়ে পরে ভাজা পোড়া এই খাবারগুলোর উপরে।

স্ট্রিট ফুডের লিস্ট দেওয়া শুরু করলে আসলে থামা সম্ভব নয়।আমি শুধুমাত্র জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি চলা স্ট্রিট ফুডগুলো নিয়ে কথা বলেছি।অসংখ্য স্ট্রিট ফুড রয়েছে যেসব শুধু বিশেষ জায়গাভেদে পাওয়া সম্ভব।যেমন: পুরান ঢাকার বাকরখানি।
Rahman Fida
স্ট্রিট ফুড কি অপকারী?

স্ট্রিট ফুড খুব মুখরোচক এবং অল্প দামে উদরপূর্তির ভালো অপশন হলেও এর রয়েছে একটি অন্ধকার অধ্যায়।অস্বাস্থ্যকর স্ট্রিট ফুড গ্রহণে ফুড পয়জনিং,জটিল রোগ থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।

টাইফয়েড রোগ মূলত একটি পানিবাহিত রোগ।গবেষণায় দেখা গিয়েছে,টাইফয়েড রোগ ছড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো এই স্ট্রিট ফুড।রাস্তার পাশে ধুলাবালিযুক্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী স্ট্রিট ফুডগুলো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝৃুঁকির সৃষ্টি করে।অনেক সময় স্ট্রিট ফুড তৈরীকারীর হাতে জীবাণু থাকার ফলে খাবারে সঞ্চারিত হতে পারে।

ফুটপাতে এমন কিছু মুখরোচক খাবার রয়েছে যা দেখলে লোভ সামলানো অনেকের পক্ষেই কঠিন। কিন্তু খুব কম মানুষই জানে এসব খাবার কতটা ভয়ঙ্কর। কিন্তু এসব খাবার নিয়ে খারাপ খবর দিয়েছে জাতিসংঘের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র খাদ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি (এনএফএসএল)। গত এক বছর ধরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার ৪৬টি স্কুলের সামনে থেকে তারা ঝালমুড়ি, ফুচকা ও আচারের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলোতে কৃত্রিম রং, ইস্ট, কলিফর্ম, মাইকোটক্সিন, সিসার মতো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছে। খোলা খাবারের জীবাণুতে খুব সহজেই শিশুরা ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে। গবেষণার জন্য ঝালমুড়ি, ফুচকা ও আচারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসবের সব কটিতেই মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্ম এবং সালমোনিলা পাওয়া যায়। ফুচকার সব কটিতে মেলে কলিফর্ম, ইস্ট মোল্ড।

বাসি তেল,নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে নিজেদের মুখরোচক খাবারটিই বিষ হয়ে শরীরে প্রবেশ করে অনেক সময়।ক্ষতি সাধন করে শরীরের মূল্যবান কিছু অঙ্গের।তাই,সাবধানতার জুড়ি নেই।
Rahman Fida
স্ট্রিট ফুড কি তাহলে খাবোনা?

উত্তরটা যদি এক কথায় দিতে বলেন,তবে আমি বলবো যে খাবেন।তবে অবশ্যই সেসব স্ট্রিট ফুড খাবেন যারা খাবার তৈরী থেকে সার্ভ পুরো প্রক্রিয়াটা গ্লাভস ব্যবহারের মাধ্যমে করে,খাবারে ফুড কেমিক্যাল মেশায় না এবং মশলার পরিমিত ব্যবহার করে।এছাড়া,ইন্টারনেট থেকে নিজেই চাইরে ঘরে বসে তৈরী করে ফেলতে পারেন মুখরোচক সব স্ট্রিট ফুড।

স্ট্রিট ফুড এপাড় কিংবা ওপাড় দুই বাংলার মানুষেরই পছন্দের তালিকার শীর্ষে।অনেকে এর ক্ষতিকর দিক জেনেও খেয়ে থাকেন নিয়মিত।বাইরে ঘুরতে যাওয়ার মুখ্য উদ্দ্যেশ্যই থাকে অনেকের কাছে স্ট্রিট ফুড খাওয়া।শখের বসে মুখরোচক খাবারগুলো খাওয়া যায়,কিন্তু প্রতিদিন কখনোই নয়।প্রতিদিন স্ট্রিট ফুডগুলো গ্রহণের ইচ্ছা জাগলে অবশ্যই ঘরোয়া পরিবেশে তৈরী করে খাওয়াই শ্রেয়।কম তেল,কম মশলায় ঘরে বানানো স্ট্রিট ফুডের আইটেমগুলোকে তখন হোমমেড ফুড নামে চালিয়ে দিবেন পেটে।আর যাই হোক,ভোজনরসিক বাঙালির স্ট্রিট ফুড খাওয়া কি আর অস্বাস্থ্যের কথা বলে থামানো যায়?

তথ্যসূত্র:উইকিপিডিয়া, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছবি:সংগৃহীত

Writer: মিকাদাম রহমান

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply