To be yourself in a world that is constantly trying to make you something else is the greatest accomplishment.

— Ralph Waldo Emerson

হ্যালোইনের ইতিবৃত্ত

প্রায় দুই হাজার পুর্বে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী কেল্টিক জনগোষ্ঠী অক্টোবরের শেষ দিনটিকে অশুভ মনে করত। তারা বিশ্বাস করত,সমস্ত অতৃপ্ত আত্মা এই রাতে ফিরে আসে।উড়ন্ত ঝাড়ুতে বসে এই অতৃপ্ত আত্মা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। অতৃপ্ত আত্মার মুখোমুখি হলে ক্ষতি হতে পারে এই ভেবে তারা নানারকম মুখোশ, ভয়ংকর সব পোশাকে নিজেদের সজ্জিত করতো। আত্মারা বাড়ির আশেপাশে যেন না ভিড়তে পারে সে জন্য সারা রাত আগুন বা বাতি জালিয়ে রাখতো। ধীরে ধীরে এই বিশ্বাস উৎসবে রূপ নেয় যা হ্যালোইন উৎসব নামে সারাবিশ্বে এখন পরিচিত। এই উৎসবের মূল আকর্ষণ, মিষ্টিকুমড়োকে বিভিন্ন আকৃতিতে কেটে তাতে জ্যাক লাইট জ্বালানো। আইরিশ পৌর নিকে আছে, স্টিঙ্গি জ্যাক নামে এক ব্যাক্তি অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য দেবতাদের সাথে প্রতারণা করার পরিনতি হিসেবে না স্বর্গ না নরকে স্থান পায়।জ্যাকের অতৃপ্ত আত্মা স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝাখানে অন্ততকাল ঘুরে বেড়াতে থাকবে, এই ছিলো তার শাস্তি। পরবর্তীতে এই জ্যাকের নামানুসারে হ্যালোইন রাতে জালিয়ে রাখা বাতির নাম হয়ে যায় জ্যাক লাইট। কালের বিবর্তনে হ্যালোইন বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে,যুক্ত হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। কেনাকাটা, উপহার বিতরণ, আলোকসজ্জা, ভৌতিক সাজে সজ্জিত হওয়া, ট্রিক অর ট্রিট খেলা, পার্টি করা হাল আমলের হ্যালোইনের মূল আকর্ষণ।

Writer: Shirin Nila
What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply