When you reach the end of your rope, tie a knot in it and hang on.

— Franklin D. Roosevelt

মায়ার বাঁধন

সূচনা পর্ব

লেখিকাঃ jamila akter sompa

রাস্তায় অনেকক্ষণ যাবৎ দাড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য, কিন্তু আজকেই গাড়ি পাইতেছিনা আমার কাছে অফিসের ইম্পরট্যান্ট ফাইল আছে যেটা ১০.০০টার মধ্যেই পৌছেদিতে হবে। গাড়ির জন্য ওয়েট করা আর যাবে না এখনি আমাকে হাটা শুরু করতে হবে নাতো আমার আজ চাকরি থাকবে না।যেইভাবলাম হাটা শুরু করে দিলাম হাটতে হাটতে কিছুদুর যাওয়ার পর কিছু ছেলে একটা মেয়েকে প্রচুর পরিমাণ ডিস্টাব করছে মেয়েটা প্রচুর পরিমাণ কান্না করছে।

মেয়েটা বললো আপু প্লিজ সাহায্য করুন।ওদের মধ্যে একজন বললো এক মুরগি আরেক মুরগিকে এসেছে সাহায্য করতে। আর বাকি গুলো দাত কেলিয়ে হাসছে,আমি তো রেগে ফায়ার হাতের কাছে একটা লাঠি পাইলাম তা দিয়ে তাদের উরাধূরা মারতে শুরু করলাম মানুষ জন আসতে শুরু করলো ছেলে গুলো ভয়ে দৌড় দিয়ে পালালো আমি বললাম কিরে মুরগির হাতে মার খেয়ে এই অবস্থা হলো তোদের পালাছিস কেন? মেয়ে বলে যা ইচ্ছা বলবি মেনে নিব কখনো না।ছেলে গুলো পালিয়ে যাওয়ার পর লোকজন এসে হাজির। আমি বললাম এখন কি এখানে তামাশা দেখার জন্য এসেছেন আপনারা এতক্ষণ একটা মেয়েকে কতগুলো ছেলে মিলে ডিস্টার্ব করছিলো
তখন তো দেখেও না দেখার ভান করেছিলেন এখন কেন? আপনার দেরও মেয়ে, বোন আছে তারাও কিন্তু বিপদে পরতে পারে, মানুষ একে অপরের বিপদে সাহায্য করবে এটাই মনুষ্যত্ব।

সবাই চলে যাওয়ার পর মেয়েটি বললো আপু তোমাকে কি বলে যে ধন্যবাদ বলব সে ভাষা টায় নেই।
ইটস ওকে বোন। এরপর থেকে সাবধানে চলাফেরা করবে। এইরে এতো ঝামেলার মধ্যে ভুলেই গেছিলাম আমাকে অফিস যেতে হবে ১০টার মধ্যে। আপু আপনার নাম টা কি? আমার এ মূহুর্তে সময় নেই আপু আমি তোমাকে পরে বলবো।
আরে আপু আমি তোমাকে কিভাবে খুঁজে পাবো আর তা তো বলে যাও।পৃথিবীটা গোল ঘুরতে ঘুরতে আবার দেখা হয়ে যাবে।

যেতে যেতে একটা গাড়ি পেয়ে গেলাম, অফিসে পৌছে গেলাম সোজা বসের রুমে এদিক সেদিক না তাকিয়ে কারণ ১০টা বাজতে আর মাএ ৩ মিনিট বাকি।

মে আই কামিং স্যার।
স্যার আর মাএ ২ মিনিট বাকি আছি ফাইল জমা দেওয়ার প্লিজ আসি।

কোম্পানির এমডি হচ্ছে জনাব মতিউর রহমান তিনি খুব দয়ালু প্রকৃতির।কিন্তু কাজে একদম ফাঁকিবাজি পছন্দ করে না।কাজের ব্যাপারে খুব কঠিন।সময়ের কাজ সময়ে করা তিনি পছন্দ করেন।

না ভিতরে আসবে না ,তোমাকে বলিনি আমাকে স্যার বলে ডাকবে না। সরি স্যার উপস..মানে আংকেল আসবো।

হুম হয়সে এইবার ভিতরে আসতে পারো তুমি।

ভিতরে ঢুকে ফাইল জমা দিলাম একদম ১০ টায়।আংকেল ঠিক দশটায় তোমার ফাইল জমা দিলাম।তুমি যে সময় দিয়েছিলে তার মধ্যেয়।তাহলে আমিও টাইম মেনটেন করতে পারি বলো।

হুম ওই জন্য তো তোমাকে আমি এই দায়িত্ব দিয়েছি, আমি জানতাম তুমি ঠিক টাইমেই কাজ টা করবে।আমি মানুষ চিনতে ভুল করিনা কখনো।

তাহলে আংকেল আমি আমার কেবিনে গিয়ে বসলাম অনেকটা ক্লান্ত লাগছে।

কেবিনে আসার পথে সারা র সাথে দেখা সারা হচ্ছে আমার কলিগ প্লাস ফেন্ড।কিরে এতো দৌড়াতে দৌড়াতে বসের রুমে গিয়েছিলি কেন?গতকাল বস যে ফাইল টা দিলো না সেটায় দেওয়ার জন্য দৌড় দিয়েছিলাম।ওহহ এজন্য এতো দৌড় দেয় কেউ।হুম আমি দিলাম দেখলিনা।এখন কেবিনে গেলাম পরে কথা বলছি।

কেবিনে বসলাম আমার পরিচয় টায় দেওয়া হয়নি আমার নাম জামিলা আক্তার সম্পা।সবাই সম্পা নামেই ডাকে আমার বাবা তার মায়ের সাথে মিল রেখে মানে আমার দাদির নামের সাথে মিল রেখে নাম রাখে তাহার নাম জমিলা আর আমি জামিলা।এই নাম শুধু সার্টিফিকেট এর জন্যই রাখা বাবা ছাড়া এই নামে কেও ডাকে না।

কিছুক্ষণ পর আংকেল ফোন করে তার কেবিনে আসার জন্য বললো আমিও সাথে সাথে তার কেবিনে হাজির কি হলো বলো, আজকে ১২.০০ টার দিকে তোমাকে আমার সাথে ডিল কনফার্ম করার জন্য এন্জেলস রেস্টুরেন্টে যেতে হবে। কিন্তু আমি কেন তুমি গেলেই তো হবে।আমি চাই অডারটায় তুমি নিজে সব ফর্মালিটি পূরণ করবে। ওকে তুমি যেহেতু দায়িত্বটা ভরসা করে আমকে দিচ্ছ আমি সম্পূর্ণ চেষ্টা করবো চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবো না।আমার সেই ভরসাটা আছে তোমার ওপর। তুমি শুধূ আমার জন্য দোআ করবে।ইনশাআল্লাহ্।।।

১০ মিনিট থেকে বসে আছি রেস্টুরেন্টে আমি আর আংকেল কিন্তু ওদের আসার পাত্তায় নাই।আংকেল তুমি বসো আমি একটু আসছি বাইরে থেকে ছোট্ট কাজ ছিলো আমার, যাও তাড়াতাড়ি এসো, এই যাবো আর দৌড়ে চলে আসবো।

বাইরে আসলাম দোকানে যাবো আর একটা গাড়ি এসে হালকা ধাক্কা দিলো, পড়ে গেলাম টাল সামলাতে না পেরে। গাড়ির ভিতর থেকে ড্রাইভার নেমে বললো রাস্তায় দেখে চলতে পারেনা,আপনি দেখে গাড়ি চালাতে পারেননা।এভাবে গাড়ি চালালে রাস্তায় পাবলিক প্যাদানি ছাড়া আর কিছুই জুটবে না কপালে।

গাড়ির ভিতর থেকে একটা ভয়েস আসলো কি হয়েছে তাড়াতাড়ি গাড়ি সাইড করো, আমার অলরেডি লেট হয়ে গেছে। স্যার দেখেন না এই আপা কি আজে বাজে কথা বলছে আমি তখন তেড়ে গেলাম কি আমি বাজে কথা বলছি ভিতর থেকে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসলো একটা ছেলে। আমি তো তার দিকে তাকিয়ে বললাম এই যে মশাই গাড়ির ড্রাইভার দেখে শুনে রাখবেন বলা তো যায় না ড্রাইভার সাথে সাথে আপনাকেও না পাবলিক প্যাঁদানি খেতে হয়।

আজব তো আপনি এইদিক দিয়ে আসলেন আর ড্রাইভার গাড়ি সাইড করছিলো। যদি যুক্তি দিয়ে দেখা যায় তাহলে আপনি ও দায়ি।আর আপনার কি ক্ষতি হয়েছে বলুন আমি পেড করে দিচ্ছি। দেখুন আমাকে টাকা দেখাতে আসবেন না পোষাকে ভদ্রতা দেখায় না ভদ্রতা মানুষের ব্যবহারে বোঝা যায় অভদ্রোচিত লোক একটা।

কথা শুনিয়ে আমি রেস্টুরেন্টে চলে আসলাম।

এই মেয়েটা কি বলে গেল আমি অভদ্র এতো সাহস ওর জিয়ান চৌধুরী কে অপমান করা এর মাসুল তোমাকে দিতেই হবে।আমাদের নায়ক হাজির বুঝতেই পারছেন জিয়ান চৌধুরী। জিয়ান চৌধুরী খুব অহংকারী একজন মানুষ। বয়স বেশি না মাএ ২৭। ২৭বছরে তিনি চৌধুরী গ্রুপ এর মালিক এবং তিনি শহরের বেষ্ট বিজনেস ম্যান জিয়ান চৌধুরী নামে পরিচিত। তাহাকে এক নামে সবাই চিনে।তিনি খুব কর্মঠ ব্যক্তি সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কাজ ছাড়া যেন সে কিছুই বোঝেনা।কাজ পাগল ছেলে যাকে বলে।হনহন করতে করতে রেষ্টুরেন্টে ঢুকলো।

মতিউর রহমান জিয়ান চৌধুরীকে আসতে দেখে বললেন হ্যালো মি.জিয়ান আই এ্যাম মতিউর রহমান এমডি অফ রোমানা গ্রুপ। আই এম সরি।অনেক লেট করে ফেললাম।নো প্রবলেম টেক ইউর সিট প্লিজ।
এ্যান

What’s your Reaction?
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0
+1
0

Leave a Reply